চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) : নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় প্রতিদিন পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে খোয়াই নদীতে -সংবাদ
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভায় এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি নির্দিষ্ট কোন ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিদিন শহর থেকে সংগ্রহ করা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে খোয়াই নদীতে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর অস্তিত্ব।নদীতে আবর্জনা ফেলার এ অপচর্চা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৌরবাসী বলছেন, এটি পরিবেশের ওপর সরাসরি আঘাত। শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া খোয়াই নদীতে ময়লা ফেললে শুধু পানি দূষিত হয় না, চারপাশের পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে নদীটির অস্তিত্ব নষ্ট হবে। বিষাক্ত বর্জ্যে নষ্ট হয়ে যাবে এর বাস্তু ব্যবস্থাপনা। সরেজমিন পৌর এলাকার নদী তীরবর্তী অংশ ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পাকুড়িয়া খোয়াই নদীর চরে অলিখিতভাবে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে নাগরিকদের। এসব জায়গা দিয়ে পথচারীকে চলাচল করতে নাক চেপে ধরতে হয়। বিগত দিনে পৌরশহরের পাকুড়িয়া জোড়া ব্রিজের সামনে ময়লা ফেলা হলে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের মুখে সে স্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ময়লা ফেলার স্থান। এখন গোটা খোয়াই নদী ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী জানান, তাদের কোনো বিকল্প স্থান সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তাই এখানেই ময়লা ফেলা হচ্ছে।
শামীম আলম নামে স্থানীয় এক শিক্ষক বলেন, ডাম্পিং স্টেশন না থাকা একটি পৌরসভার জন্য লজ্জার বিষয়। দীর্ঘ ২ দশকেও একটি সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে না তোলা দুর্ভাগ্যজনক। ২০০৫ সালের ১০ অক্টোবর চুনারুঘাট পৌরসভা গঠিত হয়। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়। ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। ৮ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে লোকসংখ্যা ৫০ হাজার। পাকুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা উজ্জ্বল মিয়া বলেন, খোয়াই নদীর পাশে প্রতিদিন ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপন পরিকল্পনা। এই ওয়ার্ডের নাগরিকরা স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে পরিত্রাণ চাইছেন। চুনারুঘাট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নাজিম উদ্দিন বলেন, চুনারুঘাট পৌরসভা এখন এক চরম বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে। পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং শহরের ভবিষ্যৎ রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে এখানে একটি ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে চুনারুঘাট পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন, এই পৌরসভা ভবিষ্যতে একটি বড় শহরে পরিণত হবে।
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য পরিকল্পিত একটি ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করার চেষ্টা চলছে।
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) : নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় প্রতিদিন পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে খোয়াই নদীতে -সংবাদ
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভায় এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি নির্দিষ্ট কোন ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিদিন শহর থেকে সংগ্রহ করা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে খোয়াই নদীতে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর অস্তিত্ব।নদীতে আবর্জনা ফেলার এ অপচর্চা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৌরবাসী বলছেন, এটি পরিবেশের ওপর সরাসরি আঘাত। শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া খোয়াই নদীতে ময়লা ফেললে শুধু পানি দূষিত হয় না, চারপাশের পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে নদীটির অস্তিত্ব নষ্ট হবে। বিষাক্ত বর্জ্যে নষ্ট হয়ে যাবে এর বাস্তু ব্যবস্থাপনা। সরেজমিন পৌর এলাকার নদী তীরবর্তী অংশ ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পাকুড়িয়া খোয়াই নদীর চরে অলিখিতভাবে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে নাগরিকদের। এসব জায়গা দিয়ে পথচারীকে চলাচল করতে নাক চেপে ধরতে হয়। বিগত দিনে পৌরশহরের পাকুড়িয়া জোড়া ব্রিজের সামনে ময়লা ফেলা হলে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের মুখে সে স্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ময়লা ফেলার স্থান। এখন গোটা খোয়াই নদী ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী জানান, তাদের কোনো বিকল্প স্থান সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তাই এখানেই ময়লা ফেলা হচ্ছে।
শামীম আলম নামে স্থানীয় এক শিক্ষক বলেন, ডাম্পিং স্টেশন না থাকা একটি পৌরসভার জন্য লজ্জার বিষয়। দীর্ঘ ২ দশকেও একটি সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে না তোলা দুর্ভাগ্যজনক। ২০০৫ সালের ১০ অক্টোবর চুনারুঘাট পৌরসভা গঠিত হয়। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়। ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। ৮ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে লোকসংখ্যা ৫০ হাজার। পাকুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা উজ্জ্বল মিয়া বলেন, খোয়াই নদীর পাশে প্রতিদিন ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপন পরিকল্পনা। এই ওয়ার্ডের নাগরিকরা স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে পরিত্রাণ চাইছেন। চুনারুঘাট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নাজিম উদ্দিন বলেন, চুনারুঘাট পৌরসভা এখন এক চরম বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে। পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং শহরের ভবিষ্যৎ রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে এখানে একটি ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে চুনারুঘাট পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন, এই পৌরসভা ভবিষ্যতে একটি বড় শহরে পরিণত হবে।
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য পরিকল্পিত একটি ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করার চেষ্টা চলছে।