alt

সারাদেশ

সিলেটের জীববৈচিত্র্য হুমকিতে

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে লজ্জাবতী বানর ও চশমা পরা হনুমানের মৃত্যু

প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার : শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

সিলেট বিভাগের চারটি জেলার বিভিন্ন বনাঞ্চলের গাছপালা বনাঞ্চল উজাড়, বনের জায়গার দখল করে বসতি স্থাপন, রিসোর্ট, আনারস, লেবু, কাঁঠাল ও চা বাগান তৈরি করার কারণে বনাঞ্চলের ভূমির কম পরিমাণ দিন দিন কমছে। বন্যপ্রাণী সংখ্যাও আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে, কমছে। ফলে নানা কারণে বনাঞ্চল ও জলাশয়ে খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় বন্যপ্রাণী ও জীবজন্তু নিরাপত্তা হুমকিতে পড়েছে। খাদ্যের সন্ধানে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে বেরিয়ে আসছে। ফলে বাড়িঘর শহরসহ লোকালয়ের বিভিন্ন স্থানে নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী ধরা পড়ছে। অনেক সময় আক্রান্ত হয়ে আহত ও মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে, ঘটছে।

সিলেটে বনবিভাগের প্রায় ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৪ একর জমির মধ্যে প্রায় ৫৮ হাজার একরই বেদখলে রয়েছে। নতুন করেও বেদখল হচ্ছে অনেক জমি। প্রায় এক তৃতীয়াংশ জমি বেদখলে থাকলেও তা উদ্ধারে বনবিভাগের তৎপরতা সামান্যই বলে দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড গত ১১ এপ্রিল ২০২১ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ‘জুড়ী রেঞ্জ’ এর লাঠিটিলা ও বড়লেখা রেঞ্জের মাধবকু- ইকোপার্কে বিদ্যুৎপৃষ্টে গত ১বছরে ৭টি বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতি বানর ও ৩টি চশমরাপরা হনুমানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ১২ মে ২০২৫ মাধবকু- ইকোপার্কের মূল ফটকের পাশে একটি প্রাপ্তবয়স্ক বানরের মৃত্যুসহ গত ৩১ মার্চ ২০২৫ ও ২৬ এপ্রিলে ২০২৫ আরও ২টি বানের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে লাঠিটিলা বন বিট এলাকায় এবছর আরও ৩টি ও বিনন্দপুর ১টিসহ মোট ৭টি লজ্জাবতি বানর ও লাঠিটিলা বনে আরও ৩টি চশমরাপরা মৃত্যু হয়। এভাবে প্রাণীরা মারা গেলে লাঠিটিলা ও মাধবকুন্ড বনে বন্যপ্রাণী শূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে বলে ধারণা করছেন পরিবেশবাদী সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। জানা যায়, মাধবকু- ইকোপার্কের মূল ফটক সংলগ্ন প্রায় ৫ কি.মি. রাস্তার দুই পাশে লজ্জাবতী বানরের গুরুপূর্ণ আবাস্থল। সেখানে রাস্তার পাশ দিয়ে বিদ্যুতের যে খোলা তার গিয়েছে তাতে মাঝে মধ্যেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাচ্ছে লজ্জাবতী বানর। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবেশবাদী সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিম’ ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এসব সংরক্ষিত বন এলাকায় ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী মারা গেছে।

এ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সংরক্ষিত বন এলাকায় ইনসুলেটেড (প্রলেপযুক্ত) তারের ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর দায় এড়াতে অল্প কিছু যায়গায় প্লাস্টিক মোড়ানো তার দিয়ে লাইনগুলো কাভার করেছে। তবে বনের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ঝুকিপূর্ণ স্থানে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । এভাবে চলতে থাকলে শীঘ্রই লাঠিটিলা ও মাধবকু- বনে বন্যপ্রাণী শূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্য রয়েছে মারাত্মক হুমকির মুখে।

স্থানীয় পরিবেশ কর্মী আবিদ হুসাইন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠে চশমাপরা হনুমান মারা যাওয়ার খবর বরাবরই পাই, এমন ঘটনায় সম্প্রতি জুড়ী বড়লেখা মিলে বেশ কয়েকটি চশমাপরা হনুমানও মারা গেছে।

২০২৩ সালে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ বনের ভেতরের তারগুলো ইনসুলেটেড করার জন্য বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করা হলেও দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এযাবৎ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

প্রতিনিয়ত যদি এভাবে হনুমানগুলো মারা যায়, তবে এই প্রাণীটি এই বনগুলোতে বিলুপ্তি হয়ে যাবে। যত দ্রুত সম্ভব এদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন এই পরিবেশ কর্মী।

এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান বলেন, লজ্জাবতী বানর মারা যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় বন বিভাগের কেউ জানে না। তবে ইতোমধ্যে আমি একাধিকবার পল্লী বিদ্যুৎ কে চিঠি দিয়েছি, লাইনগুলো কাভার করার জন্য। পর্যায়ক্রমে তারা খোলা তারগুলো ইনসুলেট করার কথা বলেছে। এই বিষয়গুলো আবার তাদেরকে জানাবো তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আর কোনো বন্যপ্রাণীর মৃত্যু দেখতে চাই না।

সাটুরিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলা নেয়নি থানা, পরে আদালতে মামলা

ছবি

দোয়ারাবাজারের সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

ছবি

তুচ্ছ ঘটনায় সিরাজদিখানে দুই গ্রামের টেঁটাযুদ্ধ, আহত ১০

বাসের ধাক্কায় বাবা-মেয়ে নিহত

হরিজন জনগোষ্ঠীর মানবিক ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সভা

বন্যহাতির হামলায় গর্ভবতীর মৃত্যু

বেনাপোলের ধর্ষণ মামলায় কৃষক দলের নেতা কারাগারে

দর্শনায় ট্রেন স্টপেজের দাবিতে অবরোধ

ছবি

বিষ দিয়ে ৮০ হাজার টাকার মাছ নিধন

ছবি

২০০ তরুণ-তরুণীর নেতৃত্ব গড়ার যুব প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

ছবি

পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ফের শিশুসহ ৭ জনকে বিএসএফের পুশইন

উখিয়ায় ডাকাতের গুলিতে নিহত ১

৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেটে অবস্থান কর্মসূচি

অবৈধ আইসক্রিম তৈরি করায় কারখানা সিলগালা, জরিমানা

নড়াইলে গ্রাম আদালতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালা

ধান মাড়াইকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক ব্যক্তির মৃত্যু

ছবি

খোকসায় হাসপাতালে আসা রোগীরা ভোগান্তির শিকার

ছবি

মহেশপুরে পিপিআর টিকায় ছাগল মৃত্যুর অভিযোগ, আতঙ্কে খামারিরা

বাগেরহাটে স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

ধর্ষিতার পরিবারকে ভয়ভীতি সরিষাবাড়ীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৩

ছবি

মোহনগঞ্জে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

ঝিনাইদহে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি

ছবি

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৮০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত, নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন বাসিন্দারা

জামায়াত বিএনপির পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

ছবি

পোরশায় আমের ব্যবসা হবে ৯শ কোটি টাকা

ছবি

কুষ্টিয়ায় স্কুলের জমিতে জোরপূর্বক সড়ক নির্মাণের অভিযোগ

কালীগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি

ভূমিহীন কৃষকের ব্রি ধান-১০২, ১০৮ ছড়িয়ে পড়ার গল্প উঠে এলো পার্টনার কংগ্রেসে

মতলব উত্তরে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়ে স্ত্রী পলাতক

ইয়াবা বিক্রি, দুজনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১ বছরের কারাদণ্ড

নালিতাবাড়ী সীমান্তে অর্ধকোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি জব্দ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পলাশের যুবক নিহত, মরদেহ ফেরত ও দালালের বিচার দাবি

ছবি

মাদারগঞ্জে সমিতির ৩ কোটি টাকা উদ্ধারে দাবিতে বিক্ষোভ

লালপুরে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা

ছবি

বেতন বৈষম্য দূরীকরণসহ ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আশুলিয়া গণহত্যা মামলার শুনানি ২ জুলাই

tab

সারাদেশ

সিলেটের জীববৈচিত্র্য হুমকিতে

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে লজ্জাবতী বানর ও চশমা পরা হনুমানের মৃত্যু

প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার

শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

সিলেট বিভাগের চারটি জেলার বিভিন্ন বনাঞ্চলের গাছপালা বনাঞ্চল উজাড়, বনের জায়গার দখল করে বসতি স্থাপন, রিসোর্ট, আনারস, লেবু, কাঁঠাল ও চা বাগান তৈরি করার কারণে বনাঞ্চলের ভূমির কম পরিমাণ দিন দিন কমছে। বন্যপ্রাণী সংখ্যাও আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে, কমছে। ফলে নানা কারণে বনাঞ্চল ও জলাশয়ে খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় বন্যপ্রাণী ও জীবজন্তু নিরাপত্তা হুমকিতে পড়েছে। খাদ্যের সন্ধানে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে বেরিয়ে আসছে। ফলে বাড়িঘর শহরসহ লোকালয়ের বিভিন্ন স্থানে নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী ধরা পড়ছে। অনেক সময় আক্রান্ত হয়ে আহত ও মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে, ঘটছে।

সিলেটে বনবিভাগের প্রায় ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৪ একর জমির মধ্যে প্রায় ৫৮ হাজার একরই বেদখলে রয়েছে। নতুন করেও বেদখল হচ্ছে অনেক জমি। প্রায় এক তৃতীয়াংশ জমি বেদখলে থাকলেও তা উদ্ধারে বনবিভাগের তৎপরতা সামান্যই বলে দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড গত ১১ এপ্রিল ২০২১ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ‘জুড়ী রেঞ্জ’ এর লাঠিটিলা ও বড়লেখা রেঞ্জের মাধবকু- ইকোপার্কে বিদ্যুৎপৃষ্টে গত ১বছরে ৭টি বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতি বানর ও ৩টি চশমরাপরা হনুমানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ১২ মে ২০২৫ মাধবকু- ইকোপার্কের মূল ফটকের পাশে একটি প্রাপ্তবয়স্ক বানরের মৃত্যুসহ গত ৩১ মার্চ ২০২৫ ও ২৬ এপ্রিলে ২০২৫ আরও ২টি বানের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে লাঠিটিলা বন বিট এলাকায় এবছর আরও ৩টি ও বিনন্দপুর ১টিসহ মোট ৭টি লজ্জাবতি বানর ও লাঠিটিলা বনে আরও ৩টি চশমরাপরা মৃত্যু হয়। এভাবে প্রাণীরা মারা গেলে লাঠিটিলা ও মাধবকুন্ড বনে বন্যপ্রাণী শূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে বলে ধারণা করছেন পরিবেশবাদী সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। জানা যায়, মাধবকু- ইকোপার্কের মূল ফটক সংলগ্ন প্রায় ৫ কি.মি. রাস্তার দুই পাশে লজ্জাবতী বানরের গুরুপূর্ণ আবাস্থল। সেখানে রাস্তার পাশ দিয়ে বিদ্যুতের যে খোলা তার গিয়েছে তাতে মাঝে মধ্যেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাচ্ছে লজ্জাবতী বানর। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবেশবাদী সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিম’ ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এসব সংরক্ষিত বন এলাকায় ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী মারা গেছে।

এ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সংরক্ষিত বন এলাকায় ইনসুলেটেড (প্রলেপযুক্ত) তারের ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর দায় এড়াতে অল্প কিছু যায়গায় প্লাস্টিক মোড়ানো তার দিয়ে লাইনগুলো কাভার করেছে। তবে বনের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ঝুকিপূর্ণ স্থানে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । এভাবে চলতে থাকলে শীঘ্রই লাঠিটিলা ও মাধবকু- বনে বন্যপ্রাণী শূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্য রয়েছে মারাত্মক হুমকির মুখে।

স্থানীয় পরিবেশ কর্মী আবিদ হুসাইন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠে চশমাপরা হনুমান মারা যাওয়ার খবর বরাবরই পাই, এমন ঘটনায় সম্প্রতি জুড়ী বড়লেখা মিলে বেশ কয়েকটি চশমাপরা হনুমানও মারা গেছে।

২০২৩ সালে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ বনের ভেতরের তারগুলো ইনসুলেটেড করার জন্য বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করা হলেও দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এযাবৎ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

প্রতিনিয়ত যদি এভাবে হনুমানগুলো মারা যায়, তবে এই প্রাণীটি এই বনগুলোতে বিলুপ্তি হয়ে যাবে। যত দ্রুত সম্ভব এদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন এই পরিবেশ কর্মী।

এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান বলেন, লজ্জাবতী বানর মারা যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় বন বিভাগের কেউ জানে না। তবে ইতোমধ্যে আমি একাধিকবার পল্লী বিদ্যুৎ কে চিঠি দিয়েছি, লাইনগুলো কাভার করার জন্য। পর্যায়ক্রমে তারা খোলা তারগুলো ইনসুলেট করার কথা বলেছে। এই বিষয়গুলো আবার তাদেরকে জানাবো তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আর কোনো বন্যপ্রাণীর মৃত্যু দেখতে চাই না।

back to top