# বাস না পেয়ে ট্রাকে দাঁড়িয়ে আসছে হাজার হাজার যাত্রী # মহাসড়কে তীব্র যানজট
ঈদ উপলক্ষে নাড়ির টানে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে রংপুর বিভাগের ৭ জেলায় আসতে হাজার হাজার মানুষকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঢাকা থেকে রংপুর বিভাগের প্রবেশ দ্বার মর্ডান মোড়ে আসতে সময় লাগছে ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা । তার উপর বাসের টিকিট না পাওয়ায় হাজার হাজার নারী পুরুষ ও শিশুকে আসতে হচ্ছে খোলা ট্রাকের উপর দাঁড়িয়ে, ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা যানজটে নাকাল হয়ে ।
ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় ঈদ উদযাপন করতে আসা যাত্রীরা বলেন, ঢাকা বাইপাইল , আব্দুল্লাপুর , গাজিপুরসহ ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে রওয়ানা দিয়ে ২০ ঘন্টা সময় লেগেছে মর্ডান মোড়ে আসতে। ঢাকা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ৪ ঘন্টার পথ আসতেই ১০ ঘন্টা লেগেছে। এ ছাড়াও টাঙ্গাইল থেকে শুরু করে বগুড়া হয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগজ্ঞ আসতে সময় লাগছে ১০ ঘন্টা।
সরেজমিন মর্ডান মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজার থেকে রংপুরের বদরগজ্ঞে যাবার জন্য মর্ডান মোড়ে বাসে করে এসেছেন নাজমুল আলম। তিনি জানান, কক্সবাজার থেকে রংপুরে আসতে তার ৩৬ ঘন্টা লেগেছে। তিনি জানান, মহাসড়কে অসহনীয় যানজট, কোথাও কোথাও ঘন্টা পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক সময় সর্র্বোচ্য ১২ ঘন্টায় কক্সবাজার থেকে রংপুরে আসা যায়। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে সময় লাগলো ৩৬ ঘন্টা।
ঢাকার বাইপাইল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় বাসে উঠেছেন নাজমা বেগম, তিনি গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। রংপুরের মর্ডান মোড়ে আসতে সময় লেগেছে ২০ ঘন্টা । তিনি বলেন, তার বাড়ি লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামে। মর্ডান মোড় থেকে সেখানে যেতে আরও ৫/৬ ঘন্টা লাগবে। এতো কষ্ট করে আসা যায় নাকি।
মর্ডান মোড়ে এসে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, ঢাকা থেকে রংপুর পর্যন্ত বাস ভাড়া ৮শ’ টাকা। কিন্তু ঈদের কারনে দেড় হাজার টাকা দিয়ে আসতে হয়েছে। ট্রাকে দাঁড়িয়ে আসতেও ৫/৬ শ’ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, এখনো রংপুর ঢাকা মহাসড়কের পলাশবাড়ি , গোবিন্দগজ্ঞ , বগুড়া , টাঙ্গাইল , সিরাজগজ্ঞ ঢাকার বাইপাইলসহ বিভিন্ন স্থানে দেড় থেকে দু লাখ যাত্রী আটকা পড়ে আছেন। মহাসড়কের যে অবস্থা তাতে অনেক যাত্রী ঈদের নামাজও বাড়িতে গিয়ে আদায় করতে পারবে কিনা সন্দেহ।
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
# বাস না পেয়ে ট্রাকে দাঁড়িয়ে আসছে হাজার হাজার যাত্রী # মহাসড়কে তীব্র যানজট
ঈদ উপলক্ষে নাড়ির টানে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে রংপুর বিভাগের ৭ জেলায় আসতে হাজার হাজার মানুষকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঢাকা থেকে রংপুর বিভাগের প্রবেশ দ্বার মর্ডান মোড়ে আসতে সময় লাগছে ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা । তার উপর বাসের টিকিট না পাওয়ায় হাজার হাজার নারী পুরুষ ও শিশুকে আসতে হচ্ছে খোলা ট্রাকের উপর দাঁড়িয়ে, ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা যানজটে নাকাল হয়ে ।
ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় ঈদ উদযাপন করতে আসা যাত্রীরা বলেন, ঢাকা বাইপাইল , আব্দুল্লাপুর , গাজিপুরসহ ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে রওয়ানা দিয়ে ২০ ঘন্টা সময় লেগেছে মর্ডান মোড়ে আসতে। ঢাকা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ৪ ঘন্টার পথ আসতেই ১০ ঘন্টা লেগেছে। এ ছাড়াও টাঙ্গাইল থেকে শুরু করে বগুড়া হয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগজ্ঞ আসতে সময় লাগছে ১০ ঘন্টা।
সরেজমিন মর্ডান মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজার থেকে রংপুরের বদরগজ্ঞে যাবার জন্য মর্ডান মোড়ে বাসে করে এসেছেন নাজমুল আলম। তিনি জানান, কক্সবাজার থেকে রংপুরে আসতে তার ৩৬ ঘন্টা লেগেছে। তিনি জানান, মহাসড়কে অসহনীয় যানজট, কোথাও কোথাও ঘন্টা পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক সময় সর্র্বোচ্য ১২ ঘন্টায় কক্সবাজার থেকে রংপুরে আসা যায়। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে সময় লাগলো ৩৬ ঘন্টা।
ঢাকার বাইপাইল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় বাসে উঠেছেন নাজমা বেগম, তিনি গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। রংপুরের মর্ডান মোড়ে আসতে সময় লেগেছে ২০ ঘন্টা । তিনি বলেন, তার বাড়ি লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামে। মর্ডান মোড় থেকে সেখানে যেতে আরও ৫/৬ ঘন্টা লাগবে। এতো কষ্ট করে আসা যায় নাকি।
মর্ডান মোড়ে এসে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, ঢাকা থেকে রংপুর পর্যন্ত বাস ভাড়া ৮শ’ টাকা। কিন্তু ঈদের কারনে দেড় হাজার টাকা দিয়ে আসতে হয়েছে। ট্রাকে দাঁড়িয়ে আসতেও ৫/৬ শ’ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, এখনো রংপুর ঢাকা মহাসড়কের পলাশবাড়ি , গোবিন্দগজ্ঞ , বগুড়া , টাঙ্গাইল , সিরাজগজ্ঞ ঢাকার বাইপাইলসহ বিভিন্ন স্থানে দেড় থেকে দু লাখ যাত্রী আটকা পড়ে আছেন। মহাসড়কের যে অবস্থা তাতে অনেক যাত্রী ঈদের নামাজও বাড়িতে গিয়ে আদায় করতে পারবে কিনা সন্দেহ।