alt

সারাদেশ

ভৈরবে ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্য ২০টি স্পট

প্রতিনিধি, ভৈরব : বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

আগস্টের পর ভৈরব পৌর শহরে ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেলেও এলাকাভিত্তিক বিএনপির কিছু নেতাকর্মীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করছে কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ভৈরবের র‌্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ছিনতাইকারীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

পুলিশ ও র‌্যাবের সূত্রমতে, ভৈরবে ছিনতাই যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। মাসে ঘটছে অর্ধশতাধিক ঘটনা। সব ঘটনা আবার জানাজানিও হয় না। ভৈরবের ২০টি স্পট এখন ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। আতঙ্ক বেড়েছে পথচারিদের মনে। আগে রাতে ছিনতাই হলেও এখন দিন দুপুরেই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পৌর শহরের অনেক স্থানেই লোক চলাচল কমে গেছে। ভয় আর অনিশ্চয়তার মধ্যে বসবাস করছেন এখানকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে একটু রাত করে যাদের বাড়ি ফিরতে হয়, তারা ভোগেন ভীষণ টেনশনে। পুলিশ বলছে, সেনা, র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে পুরো ভৈরব শহরে। এর মধ্যে অন্ততপক্ষে ২ শতাধিক ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করা হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না।

পুলিশ, বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং ভৈরবের সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সূত্রমতে, গত আগস্ট থেকে ৫ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় কয়েক শতাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। কেউ আবার ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মৃত্যুবরণও করেছে। অনেকে গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা ও অন্যকোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা এর কয়েকগুণ বেশি। পুলিশের ভাষ্য, অধিকাংশ ঘটনাতেই থানায় মামলা বা জিডি হয় না। বেশিরভাগ ভুক্তভোগীই কোনো লিখিত অভিযোগ করেন না। ছিনতাইয়ের ঘটনায় খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হলে খুব কম মানুষই থানা-পুলিশ করতে যান। ফলে যে হারে ছিনতাই ঘটে, সে তুলনায় থানায় মামলার সংখ্যা কম।

ভৈরব পৌর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সোলায়মান মিয়া এই প্রতিবেদককে জানান, অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে সম্প্রতি মেঘনা নদী তীরবর্তী এলাকার নাম বেশি আলোচনায় এসেছে। কিন্তু তার কাছে মনে হয়েছে, ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে চলাচলের রাস্তা আরও বেশি ভয়াবহ। সন্ধ্যার পরপর এই এলাকার সড়কগুলোতে একটা আলো-আঁধারি পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যা আতঙ্ক হয়ে নেমে আসে। মাঝেমধ্যে পুলিশের কোনো টহল নেই বললেই চলে। এখানকার ছিনতাইকারীদের বেশিরভাগই ভৈরব শহরের প্রভাবশালী লোকজনের ছত্রছায়ায় বহিরাগতরা এ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ও এলাকার মাদকসেবী। অপরাধ করেই তারা আবার নিজ বাসা বাড়িতে থাকেন। ভৈরব বাজার পৌরসভার সামনে থেকে পানাউল্লারচর বাজার পর্যন্ত অপরাধের হার সবচেয়ে বেশি। এখানে একাধিক টানা পার্টি ছুরি ও সুইচ গিয়ার চাকু হাতে সক্রিয় থাকে। দিনে থাকে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি ও পকেটমার। প্রতিদিন এই এলাকায় গড়ে ২টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঝামেলা এড়িয়ে চলতে ভুক্তভোগীরা থানায় যান না।

ছবি

অভয়নগরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মতুয়া সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি হস্তান্তর

ছবি

গোপালগঞ্জে এনসিপি কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতা, সেনা-পুলিশ টহল

ছবি

রহিম উদ্দিন সিকদার হত্যা: বিএনপির অভিযোগে ‘জামায়াত নেতা’র নাম, জামায়াতের অস্বীকার

দুর্যোগের সময় ভুল তথ্য ঠেকাতে টিকটকের নতুন টুল

চান্দিনা পৌরসভার সাবেক মেয়র গ্রেপ্তার

জয়পুরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটে অগ্নিকা-, দুই দিনের ছুটি

ট্রাকের ধাক্কায় বাইকচালক নিহত

ছবি

পানের দামে ধস, বিপাকে চাষিরা

মহেশপুরের দত্তনগর হাই স্কুলের মালামাল চুরি

পাদুকা শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে কারখানা মালিক গ্রেপ্তার

ছবি

সিরাজগঞ্জ সালেহা ইসহাক সরকারি বিদ্যালয়ে পরীক্ষায় প্রতিনিয়ত প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ

ভালুকায় চাঞ্চল্যকর ৩ খুনের আসামি গ্রেপ্তার

মহেশপুরে ৭ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ

ছবি

৩৪ ভারতীয় জেলেকে কারাগারে প্রেরণ

চুয়াডাঙ্গায় দুটি হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি

ফকিরহাট ফলতিতা বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

ছবি

বরুড়ায় মিনি শিশু পার্ক, উচ্ছ্বসিত শিশুরা

শ্রীমঙ্গল পৌরসভায় ৫৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা

কলমাকান্দায় ক্ষতিপূরণ পেল নার্সারি মালিকরা

ছবি

ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত কুষ্টিয়া শহর, দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি

ঈশ্বরগঞ্জে চিকিৎসকের গাফিলতিতে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ

ছবি

দুমকিতে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো থাকলেও নেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী

রায়গঞ্জে ৪৩টি গরু চুরি, আতঙ্কে কৃষক-খামারিরা

ছবি

হামলা, অগ্নিসংযোগ ও গুলি: গোপালগঞ্জে উত্তপ্ত এনসিপির সমাবেশ

ছবি

মোহনগঞ্জের পাটের দাম ভালো পেয়ে খুশি কৃষক

ভারতে আটক ৪ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

২১ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না শাহিনের

চাঁদপুরে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ

ছবি

কালীগঞ্জে নির্মাণাধীন সেতুর বিকল্প সড়কে পানি, ভোগান্তিতে ৫০ গ্রামের মানুষ

জুলাই শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা

পাথরঘাটায় শিক্ষকের পিটুনিতে দ্বিতীয় শ্রেণীর ৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

ছবি

বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা

পদ আছে দুই শিক্ষকের নেয়া হয়েছে তৃতীয় শিক্ষক

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক কমাতে ঐক্যবদ্ধ আলোচনার ওপর জোর দিলেন আমীর খসরু

বাউয়েটে ছয় দিনব্যাপী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন

tab

সারাদেশ

ভৈরবে ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্য ২০টি স্পট

প্রতিনিধি, ভৈরব

বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

আগস্টের পর ভৈরব পৌর শহরে ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেলেও এলাকাভিত্তিক বিএনপির কিছু নেতাকর্মীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করছে কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ভৈরবের র‌্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ছিনতাইকারীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

পুলিশ ও র‌্যাবের সূত্রমতে, ভৈরবে ছিনতাই যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। মাসে ঘটছে অর্ধশতাধিক ঘটনা। সব ঘটনা আবার জানাজানিও হয় না। ভৈরবের ২০টি স্পট এখন ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। আতঙ্ক বেড়েছে পথচারিদের মনে। আগে রাতে ছিনতাই হলেও এখন দিন দুপুরেই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পৌর শহরের অনেক স্থানেই লোক চলাচল কমে গেছে। ভয় আর অনিশ্চয়তার মধ্যে বসবাস করছেন এখানকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে একটু রাত করে যাদের বাড়ি ফিরতে হয়, তারা ভোগেন ভীষণ টেনশনে। পুলিশ বলছে, সেনা, র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে পুরো ভৈরব শহরে। এর মধ্যে অন্ততপক্ষে ২ শতাধিক ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করা হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না।

পুলিশ, বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং ভৈরবের সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সূত্রমতে, গত আগস্ট থেকে ৫ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় কয়েক শতাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। কেউ আবার ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মৃত্যুবরণও করেছে। অনেকে গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা ও অন্যকোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা এর কয়েকগুণ বেশি। পুলিশের ভাষ্য, অধিকাংশ ঘটনাতেই থানায় মামলা বা জিডি হয় না। বেশিরভাগ ভুক্তভোগীই কোনো লিখিত অভিযোগ করেন না। ছিনতাইয়ের ঘটনায় খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হলে খুব কম মানুষই থানা-পুলিশ করতে যান। ফলে যে হারে ছিনতাই ঘটে, সে তুলনায় থানায় মামলার সংখ্যা কম।

ভৈরব পৌর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সোলায়মান মিয়া এই প্রতিবেদককে জানান, অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে সম্প্রতি মেঘনা নদী তীরবর্তী এলাকার নাম বেশি আলোচনায় এসেছে। কিন্তু তার কাছে মনে হয়েছে, ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে চলাচলের রাস্তা আরও বেশি ভয়াবহ। সন্ধ্যার পরপর এই এলাকার সড়কগুলোতে একটা আলো-আঁধারি পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যা আতঙ্ক হয়ে নেমে আসে। মাঝেমধ্যে পুলিশের কোনো টহল নেই বললেই চলে। এখানকার ছিনতাইকারীদের বেশিরভাগই ভৈরব শহরের প্রভাবশালী লোকজনের ছত্রছায়ায় বহিরাগতরা এ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ও এলাকার মাদকসেবী। অপরাধ করেই তারা আবার নিজ বাসা বাড়িতে থাকেন। ভৈরব বাজার পৌরসভার সামনে থেকে পানাউল্লারচর বাজার পর্যন্ত অপরাধের হার সবচেয়ে বেশি। এখানে একাধিক টানা পার্টি ছুরি ও সুইচ গিয়ার চাকু হাতে সক্রিয় থাকে। দিনে থাকে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি ও পকেটমার। প্রতিদিন এই এলাকায় গড়ে ২টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঝামেলা এড়িয়ে চলতে ভুক্তভোগীরা থানায় যান না।

back to top