সিংড়া (নাটোর) : ইউএনওর উদ্যোগে বিলদহর আত্রাই নদীতে জমে থাকা কচুরিপানা পরিষ্কার করা হচ্ছে -সংবাদ
নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিলদহর ব্রিজের নিচে আত্রাই নদীতে জমে থাকা কচুরিপানা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম।
নৌকা চলাচল, মৎস্যজীবী ও কৃষকের সুবিধার জন্য পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে প্রায় দেড় কিলোমিটার নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার করতে হবে।
উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে গত ১৫ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত তিনদিনে পরিষ্কার করা হয় কচুরিপানার স্তূপ।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক মাস ধরে আত্রাই নদীর বিলদহর ব্রিজের কচুরিপানার স্তুপ জমে ছিল। এতে করে নৌকা চলাচল, কৃষকের ফসল ঘরে তোলা ও মৎস্যজীবীদের মাছ শিকারে বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। কচুরিপানা পরিষ্কার করে নদীর পানি প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য এ এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল। বিষয়টি ইউএনও মহোদয়ের নজরে আসলে তিনি পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
সে দাবি বাস্তবায়নে ইউএনও মাজহারুল ইসলাম উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে দেড় কিলোমিটার নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার করতে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু করেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ নদীতে সারাবছর নৌকা চলাচল করতো। কিন্তু এ বছর নদীতে পানি আসার সময় কচুরিপানা জমে যাওয়ার কারণে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে নৌকা চলাচলসহ এ এলাকার লোকজন বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ইউএনও মহোদয়ের উদ্যোগে এখন পরিষ্কার হয়েছে।
স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক সরদার বলেন, এই নদী দিয়ে আত্রাই, সিংড়া হয়ে পাবনা যাতায়াত করা যায়। কয়েক মাসে কচুরিপানার জন্য নৌকা চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়। সিংড়ার ইউএনও মহোদয় আমাদের দুঃখের কথা শুনেছেন। তিনি উদ্যোগ নিয়ে নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। এ অঞ্চলের মানুষের কষ্ট লাঘব হয়েছে। এলাকাবাসী হিসেবে আমরা খুবই আনন্দিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিলদহর এলাকায় আত্রাই নদীর প্রায় দেড় কিলোমিটার কচুরিপানার স্তূপ জমেছিল। এতে করে অত্র এলাকার মানুষের দুুর্ভোগ বেড়ে যায়। বিষয়টি জানার পর সরেজমিনে পরিদর্শন করি এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে তিন দিনে শ্রমিক দিয়ে কচুরিপানার স্তূপ পরিষ্কার করেছি। নদীর পানি প্রবাহ এখন স্বাভাবিক হয়েছে। নৌকা চলাচলসহ জনদূর্ভোগ লাঘব হয়েছে।
নদীর পানির প্রবাহ নিশ্চিত করায় এলাকার কৃষক, মৎস্যজীবী থেকে সব পর্যায়ের লোকজনের প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও মাজহারুল ইসলাম।
সিংড়া (নাটোর) : ইউএনওর উদ্যোগে বিলদহর আত্রাই নদীতে জমে থাকা কচুরিপানা পরিষ্কার করা হচ্ছে -সংবাদ
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিলদহর ব্রিজের নিচে আত্রাই নদীতে জমে থাকা কচুরিপানা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম।
নৌকা চলাচল, মৎস্যজীবী ও কৃষকের সুবিধার জন্য পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে প্রায় দেড় কিলোমিটার নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার করতে হবে।
উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে গত ১৫ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত তিনদিনে পরিষ্কার করা হয় কচুরিপানার স্তূপ।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক মাস ধরে আত্রাই নদীর বিলদহর ব্রিজের কচুরিপানার স্তুপ জমে ছিল। এতে করে নৌকা চলাচল, কৃষকের ফসল ঘরে তোলা ও মৎস্যজীবীদের মাছ শিকারে বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। কচুরিপানা পরিষ্কার করে নদীর পানি প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য এ এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল। বিষয়টি ইউএনও মহোদয়ের নজরে আসলে তিনি পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
সে দাবি বাস্তবায়নে ইউএনও মাজহারুল ইসলাম উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে দেড় কিলোমিটার নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার করতে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু করেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ নদীতে সারাবছর নৌকা চলাচল করতো। কিন্তু এ বছর নদীতে পানি আসার সময় কচুরিপানা জমে যাওয়ার কারণে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে নৌকা চলাচলসহ এ এলাকার লোকজন বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ইউএনও মহোদয়ের উদ্যোগে এখন পরিষ্কার হয়েছে।
স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক সরদার বলেন, এই নদী দিয়ে আত্রাই, সিংড়া হয়ে পাবনা যাতায়াত করা যায়। কয়েক মাসে কচুরিপানার জন্য নৌকা চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়। সিংড়ার ইউএনও মহোদয় আমাদের দুঃখের কথা শুনেছেন। তিনি উদ্যোগ নিয়ে নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। এ অঞ্চলের মানুষের কষ্ট লাঘব হয়েছে। এলাকাবাসী হিসেবে আমরা খুবই আনন্দিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিলদহর এলাকায় আত্রাই নদীর প্রায় দেড় কিলোমিটার কচুরিপানার স্তূপ জমেছিল। এতে করে অত্র এলাকার মানুষের দুুর্ভোগ বেড়ে যায়। বিষয়টি জানার পর সরেজমিনে পরিদর্শন করি এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে তিন দিনে শ্রমিক দিয়ে কচুরিপানার স্তূপ পরিষ্কার করেছি। নদীর পানি প্রবাহ এখন স্বাভাবিক হয়েছে। নৌকা চলাচলসহ জনদূর্ভোগ লাঘব হয়েছে।
নদীর পানির প্রবাহ নিশ্চিত করায় এলাকার কৃষক, মৎস্যজীবী থেকে সব পর্যায়ের লোকজনের প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও মাজহারুল ইসলাম।