alt

সারাদেশ

১৪ বছরের শিশুর জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন আড়াই লাখ টাকা

প্রতিনিধি, জাজিরা শরীয়তপুর : শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার লকাই কাজী কান্দি গ্রামের বাসিন্দা ১৪ বছর বয়সি নূরে আলম থ্যালাসেমিয়া নামক জটিল রক্তরোগে আক্রান্ত হয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে।

একই গ্রামে নানাবাড়িতে থাকে নূর ও তার বাবা-মা। তার বাবা গাজী মৃধা ঢাকায় কামরাঙ্গীরচরে ক্ষুদ্র ব্যবসা করতেন। তবে গত এক বছর যাবৎ তিনি গ্রামে ফিরে এসে একটি ছোট চায়ের দোকান চালাচ্ছেন। ওই দোকান থেকেই পরিবারের খরচ, ছেলের চিকিৎসাসহ সবকিছুই চালাতে হয় তাকে। প্রতি মাসেই নূরের জন্য প্রয়োজন হয় অন্তত দুই ব্যাগ রক্ত। সঙ্গে থাকে ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা খরচ। এতে সব মিলিয়ে নূরের জন্য মাসিক ব্যয় প্রায় পাঁচ হাজার টাকারো বেশি। অথচ চায়ের দোকান থেকে মাসে আয় হয় মাত্র ১৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে দোকান ভাড়া দিতে হয় চার হাজার টাকা।

চিকিৎসকদের মতে, একটি জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নূরের রক্তের প্রয়োজন অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু সেই অপারেশনের জন্য প্রয়োজন প্রায় আড়াই লাখ টাকাÑ যা সংগ্রহ করা নূরের পরিবারের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব।

অর্থাভাবে এক বছর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে নূরের পড়াশোনা। সে ঢাকার একটি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল। নূরের বাবা-মায়ের আর্থিক সামর্থ্য নেই ছেলেকে আবার স্কুলে পাঠানোর বা তার চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়ার।

জাজিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান হাওলাদার সংবাকে বলেন, ‘নুরে আলমের পরিবার খুবই অসহায়। ছেলেটি দীর্ঘদিন ধরে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। অপারেশনের জন্য যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন, তা তাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা জরুরি।’

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডা. রোমান বাদশা সংবাদকে বলেন, ‘থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তরোগ। এ রোগের কারণে ত্রুটিপূর্ণ রক্তকণিকা তৈরি হয়। এর কারণে রক্তকণিকা দ্রুত ভেঙে যায়। সেক্ষেত্রে রোগীকে বার বার রক্ত দেয়ার প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া খুব দ্রুত রক্তকণিকা ভেঙে যাওয়ার কারণে সিপ্লন বড় হয়ে যায়। আর সিপ্লন বড় হয়ে গেলে আরও বেশি রক্তের চাহিদা বেড়ে যায়। এজন্য থ্যালাসেমিয়া রোগের সর্বশেষ চিকিৎসা হচ্ছে স্প্লিন কেটে ফেলে দেয়া। আর সেটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেললে রক্তের চাহিদা কমে আসবে।’

এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকার্তা(ইউএনও) কাবেরী রায়কে অবগত করলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করব এবং সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে আরও কিছু অনুদানের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া পড়াশোনা চালিয়ে নিতেও বিভিন্ন সংস্থাকে যুক্ত করার চেষ্টা করব।’

নূরের মা-বাবা এখন সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান মানুষের সহযোগীতার অপেক্ষায়। হয়তো কারো ছোট্ট একটি সহায়তাই বদলে দিতে পারে একটি শিশুর জীবন।

ছবি

কক্সবাজারে জামায়াত নেতার হামলা, বিএনপি নেতা নিহত

ছবি

শায়েস্তাগঞ্জ ও অলিপুরে উচ্ছেদ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা, উদ্বোধন হলো পুলিশ বক্স

ছবি

বিনা বিচারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি পেলেন কানু মিয়া

ছবি

ঐতিহাসিক ভবন ভাঙা ঠেকাতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চিঠি

ছবি

কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি বিশেষজ্ঞ নেই ১০ বছর

মহেশপুর আদালত চত্বরে জাল কোর্টফিতে সয়লাব

কমলগঞ্জে চা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

মোহনগঞ্জে হারিয়ে গেছে দেশি জাতের ধান

নবাবগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

মোরেলগঞ্জ ভেটেরিনারি হাসপাতালে ১১ পদের মধ্যে ৮ পদেই কেউ নেই

রংপুর চেম্বারের নির্বাচন সম্পন্ন

ছবি

৭ বছর আগের সেই মর্মান্তিক ঘটনায় চোখের জলে বুক ভাসান স্বজনরা

চাঁদপুরে অপরাধে জড়িত সন্দেহে আটক ২২

তারাগঞ্জে চাষিদের বীজ, সার ও অর্থ বিতরণ

ছবি

হরিপুর-চিলমারী সেতুর উদ্বোধন ২ আগস্ট

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে কলমাকান্দায় আলোচনা সভা

বাগাতিপাড়ায় সড়ক প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ, দুদকের অভিযান

ভিডব্লিউবি কার্ডধারীদের কাছে ট্যাক্সের নামে টাকা আদায়

ছবি

দশমিনায় বাড়ির আঙিনায় বস্তায় আদা চাষে সাফল্য

কাঁঠালিয়ায় জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

চিতলমারীতে মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

ছবি

বারবার প্রতিশ্রুতির পরও পাকাকরণ হয়নি সড়ক

পাঁচবিবি উপজেলা প্রশাসন ভবন উদ্বোধন

মা হত্যার দায়ে পুত্রের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি

মাদারগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠের সেতু পুনর্নির্মাণ

শ্রীমঙ্গলে চাঞ্চল্যকর হৃদয় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন দুই বন্ধু গ্রেপ্তার

ভুক্তভোগী দুই নারীকে হুমকির অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

ছবি

বড়াল নদীতে মাছ ধরার উৎসব

স্বজনদের আপত্তির মুখে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে গেল পিবিআই টিম

মোরেলগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রকে কুপিয়ে জখম

ছবি

চাঁদাবাজি বন্ধে বিএনপির সমাবেশ

অটোরিকশা চালককে মারধর করায় বিএনপি নেতার পদ স্থগিত

খাগড়াছড়িতে এনসিপির নেতানেত্রীর পাল্টাপাল্টি জিডি

ছবি

দোয়ারাবাজারে সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকোতে পারাপার

গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে প্যাকেজ অফারের প্রতারণার অভিযোগ, ভোগান্তিতে গ্রাহক

বাগেরহাটে শিশুকে যৌন নির্যাতন

tab

সারাদেশ

১৪ বছরের শিশুর জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন আড়াই লাখ টাকা

প্রতিনিধি, জাজিরা শরীয়তপুর

শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার লকাই কাজী কান্দি গ্রামের বাসিন্দা ১৪ বছর বয়সি নূরে আলম থ্যালাসেমিয়া নামক জটিল রক্তরোগে আক্রান্ত হয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে।

একই গ্রামে নানাবাড়িতে থাকে নূর ও তার বাবা-মা। তার বাবা গাজী মৃধা ঢাকায় কামরাঙ্গীরচরে ক্ষুদ্র ব্যবসা করতেন। তবে গত এক বছর যাবৎ তিনি গ্রামে ফিরে এসে একটি ছোট চায়ের দোকান চালাচ্ছেন। ওই দোকান থেকেই পরিবারের খরচ, ছেলের চিকিৎসাসহ সবকিছুই চালাতে হয় তাকে। প্রতি মাসেই নূরের জন্য প্রয়োজন হয় অন্তত দুই ব্যাগ রক্ত। সঙ্গে থাকে ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা খরচ। এতে সব মিলিয়ে নূরের জন্য মাসিক ব্যয় প্রায় পাঁচ হাজার টাকারো বেশি। অথচ চায়ের দোকান থেকে মাসে আয় হয় মাত্র ১৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে দোকান ভাড়া দিতে হয় চার হাজার টাকা।

চিকিৎসকদের মতে, একটি জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নূরের রক্তের প্রয়োজন অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু সেই অপারেশনের জন্য প্রয়োজন প্রায় আড়াই লাখ টাকাÑ যা সংগ্রহ করা নূরের পরিবারের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব।

অর্থাভাবে এক বছর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে নূরের পড়াশোনা। সে ঢাকার একটি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল। নূরের বাবা-মায়ের আর্থিক সামর্থ্য নেই ছেলেকে আবার স্কুলে পাঠানোর বা তার চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়ার।

জাজিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান হাওলাদার সংবাকে বলেন, ‘নুরে আলমের পরিবার খুবই অসহায়। ছেলেটি দীর্ঘদিন ধরে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। অপারেশনের জন্য যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন, তা তাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা জরুরি।’

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডা. রোমান বাদশা সংবাদকে বলেন, ‘থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তরোগ। এ রোগের কারণে ত্রুটিপূর্ণ রক্তকণিকা তৈরি হয়। এর কারণে রক্তকণিকা দ্রুত ভেঙে যায়। সেক্ষেত্রে রোগীকে বার বার রক্ত দেয়ার প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া খুব দ্রুত রক্তকণিকা ভেঙে যাওয়ার কারণে সিপ্লন বড় হয়ে যায়। আর সিপ্লন বড় হয়ে গেলে আরও বেশি রক্তের চাহিদা বেড়ে যায়। এজন্য থ্যালাসেমিয়া রোগের সর্বশেষ চিকিৎসা হচ্ছে স্প্লিন কেটে ফেলে দেয়া। আর সেটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেললে রক্তের চাহিদা কমে আসবে।’

এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকার্তা(ইউএনও) কাবেরী রায়কে অবগত করলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করব এবং সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে আরও কিছু অনুদানের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া পড়াশোনা চালিয়ে নিতেও বিভিন্ন সংস্থাকে যুক্ত করার চেষ্টা করব।’

নূরের মা-বাবা এখন সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান মানুষের সহযোগীতার অপেক্ষায়। হয়তো কারো ছোট্ট একটি সহায়তাই বদলে দিতে পারে একটি শিশুর জীবন।

back to top