জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই দেশের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার-ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সহসম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান। তিনি বলেন, বিভিন্ন দলের নাম ব্যবহার করে ব্যানার-পোস্টার লাগাতে গিয়ে অনেক চাঁদা তোলা হয়। এই চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়া দরকার। এই চাঁদাবাজি বন্ধ করতেই হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ী ইউনিয়নে গণেশ পাগল সেবাশ্রমে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় হেলেন জেরেনি খান আরও বলেন, আমাদের চারপাশে ছড়ানো ছিটানো এসব ব্যানার-পোস্টার নির্বাচনের সময় হতে পারে। তাও একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পোষ্টার টানানো যেতে পারে। কিন্তু নিয়মনীতির বাহিরে গিয়ে যেখানে-সেখানে, মহাসড়কের দুপাশে যত্রতত্র পোস্টার-ব্যানার লাগানো কোন দায়িত্বশীল কাজ নয়।

চাঁদাবাজদের একটি উদাহরণ টেনে মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান বলেন, বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে, কেউ ২০ হাজার পোস্টার ছাপিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করলো। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। এই পোস্টার লাগাতে গিয়ে চাদাবাজির পাশাপাশি মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। এই যত্রতত্র পোস্টার লাগানোর কোনো যুক্তিকতা নেই। বিএনপির পক্ষ থেকে বারবারই এসব পোস্টার-ব্যানার ও ফেস্টুন লাগাতে নিষেধ করা হচ্ছে। আমি কোন ব্যানার ফ্যাস্টুন বা পোস্টার কোথায় লাগিয়ে প্রচার প্রচারণা করি না। কিন্তু মাদারীপুরে দেখছি, অনেকেই এসব ব্যানার-পোস্টার ও ফেস্টুন টাঙিয়ে প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, চাঁদাবাজদের সবাই আমরা চিনি। মানুষের মুখেমুখে তাদের নামও শোনা যায়। আমিও তাদের চিনি। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, চাঁদাবাজদের কোন দল নাই। ওদের চাঁদাবাজ হিসেবেই চিহ্নিত করতে হবে। চাঁদাবাজদের হাত থেকে আমাদের দেশকে ও আমাদের দলকে (বিএনপি) রক্ষা করতে হবে। আমাদের দল চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে।

জনসভায় হেলেন জেরিন খান মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, আমি মাদারীপুর-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী।