নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মর্জিনা আক্তার পারভীন নামে এক বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব-১১।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেনর্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ড। এর আগে, গত বুধবার বিকেল ও রাতে দুই আসামিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের মোহিবুল্লাপুর গ্রামের খোনার বাড়ির জোবাইদুল ইসলাম রনি (১৬) ও একই ইউনিয়নের দেবকালা গ্রামের আব্দুল করিম মুন্সি বাড়ির ফিরোজ আহমেদ রাকিব (২৩)।
র্যাববের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃদ্ধ মর্জিনা আক্তার পারভীন বাড়িতে একা থাকতেন। তার তিন ছেলে প্রবাসী। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ভিকটিমের ছেলে কামাল হোসেন প্রবাস থেকে তার মায়ের জন্য বন্ধুর মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা পাঠান।
ঈদের দিন টাকা নিয়ে তার বন্ধু বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করে ঘরে কারো কোনো সাড়া শব্দ পাননি। পরে ঘরের বারান্দার দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পেয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকেন। ঘরে ঢুকে দেখেন আলমারী খোলা, আসবাবপত্র এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক তিনি প্রতিবেশীদের ডাকলে, তারা ঘরে ঢুকে দেখেন মর্জিনা আক্তারকে গামছা দিয়ে চোখ, নাক, মুখ বাধা অবস্থায় ও গলায় বিছানার চাদর পেঁচানো। খাটের ওপর মরদেহ পড়ে আছে। পরবর্তীতে সৌদি আরব থেকে নিহতের ছেলে দেশে এসে মায়ের দাফন সম্পন্ন করে। পরে মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ড বলেন, মামলা রুজু হওয়ার পর অজ্ঞাতনামা আসামিরা পলাতক ছিল। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। আসামিদের বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ঈদপূর্ব রাতে ভিকটিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আনা হবে।
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মর্জিনা আক্তার পারভীন নামে এক বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব-১১।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেনর্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ড। এর আগে, গত বুধবার বিকেল ও রাতে দুই আসামিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের মোহিবুল্লাপুর গ্রামের খোনার বাড়ির জোবাইদুল ইসলাম রনি (১৬) ও একই ইউনিয়নের দেবকালা গ্রামের আব্দুল করিম মুন্সি বাড়ির ফিরোজ আহমেদ রাকিব (২৩)।
র্যাববের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃদ্ধ মর্জিনা আক্তার পারভীন বাড়িতে একা থাকতেন। তার তিন ছেলে প্রবাসী। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ভিকটিমের ছেলে কামাল হোসেন প্রবাস থেকে তার মায়ের জন্য বন্ধুর মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা পাঠান।
ঈদের দিন টাকা নিয়ে তার বন্ধু বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করে ঘরে কারো কোনো সাড়া শব্দ পাননি। পরে ঘরের বারান্দার দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পেয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকেন। ঘরে ঢুকে দেখেন আলমারী খোলা, আসবাবপত্র এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক তিনি প্রতিবেশীদের ডাকলে, তারা ঘরে ঢুকে দেখেন মর্জিনা আক্তারকে গামছা দিয়ে চোখ, নাক, মুখ বাধা অবস্থায় ও গলায় বিছানার চাদর পেঁচানো। খাটের ওপর মরদেহ পড়ে আছে। পরবর্তীতে সৌদি আরব থেকে নিহতের ছেলে দেশে এসে মায়ের দাফন সম্পন্ন করে। পরে মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ড বলেন, মামলা রুজু হওয়ার পর অজ্ঞাতনামা আসামিরা পলাতক ছিল। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। আসামিদের বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ঈদপূর্ব রাতে ভিকটিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আনা হবে।