চাঁদপুর মতলব দক্ষিণে ইয়াবা বেচাকেনার দায়ে দুজনকে ১ বছর করে কারাদণ্ড ও ৬ হাজার টাকার অর্থদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার রাতে শহরের টিঅ্যান্ডটি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ দণ্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমজাদ হোসেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মাদক বিক্রেতা মুদি ব্যবসায়ী আক্তার গাজী। তার বাড়ি পৌরসভার দক্ষিণ বাইশপুর এলাকায়। অন্যদিকে ক্রেতা ট্রাক ড্রাইভার মো. সালাউদ্দিন সরদারের বাড়ি উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে।

জানা যায়, শহরেরটিএন্ডটি রোডের গাজী স্টোর নামক একটি মুদী দোকানে মুদী ব্যবসার অন্তরালে দোকান মালিক আক্তার গাজী দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক বেচা-কেনা করে আসছে। এমন অভিযোগে দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণে থাকে পুলিশ প্রশাসন।

গতকাল সোমবার রাতে আক্তার গাজীর কাছ থেকে একজন ক্রেতা ৬০০ টাকার বিনিময়ে ২ পিস ইয়াবা ক্রয় করার সময় তাদের দুজনকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ যৌথভাবে ওই মুদী দোকানে তল্লাশি চালায়।

পরে মুদী দোকানটি সিলগালা করে তাদের দুজনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুজনকে ১ বছর করে কারাদণ্ড ও ৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমজাদ হোসেন বলেন, মাদক বেচাকেনায় দায়ে তাদের দুই জনকে ১ বছর করে কারাদণ্ড, ৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দোকানটিকে সিলগালা করা হয়েছে। জনস্বার্থে ও মাদক নিয়ন্ত্রণে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার,(২৪ জুন ২০২৫) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার লেমুছড়ি ইউনিয়েনর কুরখং এলাকার পাহারে ঢালু থেকে এই সব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্র জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি থানা’র অফিসার ইনচার্জ ওসি মাসরুরুল হক এর নেতৃত্বে এস আই ফেরুদৌস এ এস মুজাহিদসহ পুলিশের একটি বিশেষটিমের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লেমুছড়ি ইউনিয়নের কুরুখং পাকা রাস্তা দক্ষিণ পাহাড়ের ঢালুতে সাদা প্লাস্টিক মোড়ানো ৩টি, দেশীয় তৈরি গাধা বন্দুক পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসরুরুল হক জানান, বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পরিত্যাক্ত অবস্থায় দেশিয় তৈরি ৩টি গাধা বন্দুক উদ্ধার করা হয়।

.

উদ্ধারকৃত অস্ত্র ব্যবহারকারীর সন্ধানে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ অব্যহত রয়েছে।

উদ্ধারকৃত বন্দুকটি নাইক্ষ্যংছড়ি থানা হেফাজতে রয়েছে। বিধি মোতাবেক অস্ত্রটি বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি। ওসি আরও জানান পুলিশের এ ধরনের কার্যক্রম ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।