সাংবাদিক মুন্নী সাহা, তার মা আপেল রানী সাহা, স্বামী কবির হোসেন তাপস ও ভাই তপন কুমার সাহার নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত। দুর্নীত দমন কমিশনের আবেদনে (দুদক) গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।
দুদকের উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাত তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন করেন বলে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ তথ্য দিয়েছেন। আবেদনে বলা হয়, মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চলছে।
রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের নামে অসংখ্য ব্যাংক হিসাব ও তাতে অনেক ‘সন্দেহজনক লেনদেনের’ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব হিসাবে ১৮ কোটি ১৬ লাখ রয়েছে, যা তারা উত্তোলন করে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধানের তথ্যানুযায়ী অভিযুক্ত ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যেসব অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, তা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা মতে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
গত ৩ জুন সাংবাদিক মুন্নী সাহা, তার মা আপেল রানী সাহা, স্বামী কবির হোসেন তাপস, দুই ভাই তপন কুমার সাহা ও প্রণব কুমার সাহার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর কারওয়ান বাজারে নিজের অফিস থেকে বেরিয়ে একদল লোকের ঘেরাওয়ের মুখে পড়েন মুন্নী সাহা। পরে তাকে আটক করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা থাকার তথ্য দিয়ে তাকে নেয়া হয় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। চার ঘণ্টা পর পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয় মুন্নী সাহাকে। পুলিশ ‘স্বপ্রণোদিত’ হয়ে তাকে গ্রেপ্তার না করায় এবং তার বিরুদ্ধে থাকা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ‘আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে’ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা সে সময় বলেছিলেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে নাঈম হাওলাদার নামে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তার বাবা মো. কামরুল ইসলাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের একাধিক মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় এটিএন নিউজের সাবেক বার্তা প্রধান মুন্নী সাহাসহ সাত সাংবাদিককেও আসামি করা হয়।
২০২৪ সালের ৬ অক্টোবর মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য জানতে চেয়ে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে তার আমানত, ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, এক্সচেঞ্জ, লকার ও অফশোর ব্যাংকিংয়ের তথ্য চাওয়া হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মুন্নী সাহা এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। মুন্নী সাহা ‘এক টাকার খবর’ নামে একটি সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক।
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
সাংবাদিক মুন্নী সাহা, তার মা আপেল রানী সাহা, স্বামী কবির হোসেন তাপস ও ভাই তপন কুমার সাহার নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত। দুর্নীত দমন কমিশনের আবেদনে (দুদক) গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।
দুদকের উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাত তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন করেন বলে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ তথ্য দিয়েছেন। আবেদনে বলা হয়, মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চলছে।
রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের নামে অসংখ্য ব্যাংক হিসাব ও তাতে অনেক ‘সন্দেহজনক লেনদেনের’ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব হিসাবে ১৮ কোটি ১৬ লাখ রয়েছে, যা তারা উত্তোলন করে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধানের তথ্যানুযায়ী অভিযুক্ত ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যেসব অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, তা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা মতে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
গত ৩ জুন সাংবাদিক মুন্নী সাহা, তার মা আপেল রানী সাহা, স্বামী কবির হোসেন তাপস, দুই ভাই তপন কুমার সাহা ও প্রণব কুমার সাহার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর কারওয়ান বাজারে নিজের অফিস থেকে বেরিয়ে একদল লোকের ঘেরাওয়ের মুখে পড়েন মুন্নী সাহা। পরে তাকে আটক করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা থাকার তথ্য দিয়ে তাকে নেয়া হয় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। চার ঘণ্টা পর পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয় মুন্নী সাহাকে। পুলিশ ‘স্বপ্রণোদিত’ হয়ে তাকে গ্রেপ্তার না করায় এবং তার বিরুদ্ধে থাকা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ‘আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে’ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা সে সময় বলেছিলেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে নাঈম হাওলাদার নামে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তার বাবা মো. কামরুল ইসলাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের একাধিক মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় এটিএন নিউজের সাবেক বার্তা প্রধান মুন্নী সাহাসহ সাত সাংবাদিককেও আসামি করা হয়।
২০২৪ সালের ৬ অক্টোবর মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য জানতে চেয়ে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে তার আমানত, ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, এক্সচেঞ্জ, লকার ও অফশোর ব্যাংকিংয়ের তথ্য চাওয়া হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মুন্নী সাহা এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। মুন্নী সাহা ‘এক টাকার খবর’ নামে একটি সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক।