জুলাই আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের মাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় পিরোজপুর আদালতে কর্মরত পুলিশ সদস্য মাসুদ রেজাকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের।
গত বুধবার রাত ১১টার দিকে জেলা জজ আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর সদর থানার ওসি রবিউল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জে এনসিপির মার্চ টু গোপালগঞ্জ সমাবেশে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ ঘটানো ঘটায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই হামলার ভিডিও দেখে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ রেজা জুলাই আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের মাকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় স্থানীয় জনতা ওই পুলিশ সদস্যকে প্রতিবাদ জানালে সে তাদের উপরও ক্ষিপ্ত হয়, পরে ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় সদর থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক এসআই অপূর্বসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উচ্ছুক জনতাকে নিয়ন্ত্রণ আনতে ব্যার্থ হয়। এ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন সদর থানার ওসি রবিউল ইসলাম। পরবর্তীতে খবর পেয়ে পিরোজপুর জেলা জামাতের সেক্রেটারি জহিরুল হক এবং জেলা সহকারি সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই পুলিশ সদস্য মাসুদ রেজাকে পুলিশের গাড়িতে তুলে দেন।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক বলেন, শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করায় এলাকাবাসী তাকে আটক করে। এ খবর পেয়ে আমরা কয়েকজন তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করি এবং এসপি সাহেবকে অবগত করি। তার মতো অনেকেই প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে আছে তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রবিউল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে অব্যাহতি প্রদান করে পুলিশ লাইনে সংযুক্তি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
জুলাই আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের মাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় পিরোজপুর আদালতে কর্মরত পুলিশ সদস্য মাসুদ রেজাকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের।
গত বুধবার রাত ১১টার দিকে জেলা জজ আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর সদর থানার ওসি রবিউল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জে এনসিপির মার্চ টু গোপালগঞ্জ সমাবেশে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ ঘটানো ঘটায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই হামলার ভিডিও দেখে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ রেজা জুলাই আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের মাকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় স্থানীয় জনতা ওই পুলিশ সদস্যকে প্রতিবাদ জানালে সে তাদের উপরও ক্ষিপ্ত হয়, পরে ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় সদর থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক এসআই অপূর্বসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উচ্ছুক জনতাকে নিয়ন্ত্রণ আনতে ব্যার্থ হয়। এ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন সদর থানার ওসি রবিউল ইসলাম। পরবর্তীতে খবর পেয়ে পিরোজপুর জেলা জামাতের সেক্রেটারি জহিরুল হক এবং জেলা সহকারি সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই পুলিশ সদস্য মাসুদ রেজাকে পুলিশের গাড়িতে তুলে দেন।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক বলেন, শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করায় এলাকাবাসী তাকে আটক করে। এ খবর পেয়ে আমরা কয়েকজন তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করি এবং এসপি সাহেবকে অবগত করি। তার মতো অনেকেই প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে আছে তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রবিউল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে অব্যাহতি প্রদান করে পুলিশ লাইনে সংযুক্তি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।