গোপালগঞ্জ শহরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পরদিন কোটালীপাড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে দেড় হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
শুক্রবার কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার সেন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৫৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও প্রায় এক হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, মামলার পর বিকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন: আব্দুল আলিম (১৮), মহিবউল্লাহ শেখ (৩৫), সিরাজুল শেখ (২০), দীপ্ত কাজী (২০), প্রিন্স অধিকারী (১৮), মোরশালিন মুন্সী (২৯), রিফাত বিশ্বাস (২৫), সাগর শেখ (৩৮), মানিক শেখ (৫৬), সজল দাড়িয়া (৩০), আব্দুল হাকিম (৩৫) এবং টুটুল হাওলাদার (২৮)।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার কোটালীপাড়ার ওয়াবদারহাট এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা গাছ কেটে সড়ক অবরোধ এবং জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করেন। এই অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার গোপালগঞ্জ শহরে এনসিপির সমাবেশে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো শহর। সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
নিহতরা হলেন—দীপ্ত সাহা (৩০), রমজান কাজী (১৭), সোহেল রানা (৩৫) এবং ইমন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমজান মুন্সি (৩৫) নামে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচজনে।
এ ঘটনায় সদর উপজেলার গোপিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহম্মেদ আলী বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন, যেখানে ৭৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪৫০–৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সংঘাতের জেরে বুধবার সন্ধ্যা থেকে শহরে কারফিউ জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও সন্ধ্যায় তা আবার শনিবার সকাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
গোপালগঞ্জ শহরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পরদিন কোটালীপাড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে দেড় হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
শুক্রবার কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার সেন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৫৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও প্রায় এক হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, মামলার পর বিকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন: আব্দুল আলিম (১৮), মহিবউল্লাহ শেখ (৩৫), সিরাজুল শেখ (২০), দীপ্ত কাজী (২০), প্রিন্স অধিকারী (১৮), মোরশালিন মুন্সী (২৯), রিফাত বিশ্বাস (২৫), সাগর শেখ (৩৮), মানিক শেখ (৫৬), সজল দাড়িয়া (৩০), আব্দুল হাকিম (৩৫) এবং টুটুল হাওলাদার (২৮)।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার কোটালীপাড়ার ওয়াবদারহাট এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা গাছ কেটে সড়ক অবরোধ এবং জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করেন। এই অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার গোপালগঞ্জ শহরে এনসিপির সমাবেশে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো শহর। সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
নিহতরা হলেন—দীপ্ত সাহা (৩০), রমজান কাজী (১৭), সোহেল রানা (৩৫) এবং ইমন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমজান মুন্সি (৩৫) নামে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচজনে।
এ ঘটনায় সদর উপজেলার গোপিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহম্মেদ আলী বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন, যেখানে ৭৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪৫০–৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সংঘাতের জেরে বুধবার সন্ধ্যা থেকে শহরে কারফিউ জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও সন্ধ্যায় তা আবার শনিবার সকাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।