১৮ মাসে অপহরণ ২৫৬
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত এক চাকমা যুবক ১০ ঘণ্টা পর দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পেয়েছেন।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের সোনালী ব্যাংক ঢালা এলাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস।
ছাড়া পাওয়া যুবকের নাম পাপেল চাকমা। তিনি টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হরিখোলা চাকমা পাড়ার বাসিন্দা ও পেশায় অটোরিকশা চালক।
শুক্রবার সকালে অটোরিকশা নিয়ে শামলাপুর স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেন পাপেল। পথে সোনালী ব্যাংক ঢালা এলাকায় পাহাড় থেকে নেমে আসা একদল অস্ত্রধারী তার গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায়।
দুর্জয় বিশ্বাস জানান, “ঘটনার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা পাপেলের পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে দরকষাকষার মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা নেওয়ার শর্তে তাকে ছেড়ে দেয়।”
স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, অপহরণকারীদের নির্দেশে পরিবারের সদস্যরা পাহাড়ের নির্দিষ্ট স্থানে টাকা পৌঁছে দেন। এরপর বিকেলে পাপেলকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার পর থেকে পাহাড়ের সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালানো হলেও কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ২৫৬ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন।
১৮ মাসে অপহরণ ২৫৬
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত এক চাকমা যুবক ১০ ঘণ্টা পর দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পেয়েছেন।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের সোনালী ব্যাংক ঢালা এলাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস।
ছাড়া পাওয়া যুবকের নাম পাপেল চাকমা। তিনি টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হরিখোলা চাকমা পাড়ার বাসিন্দা ও পেশায় অটোরিকশা চালক।
শুক্রবার সকালে অটোরিকশা নিয়ে শামলাপুর স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেন পাপেল। পথে সোনালী ব্যাংক ঢালা এলাকায় পাহাড় থেকে নেমে আসা একদল অস্ত্রধারী তার গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায়।
দুর্জয় বিশ্বাস জানান, “ঘটনার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা পাপেলের পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে দরকষাকষার মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা নেওয়ার শর্তে তাকে ছেড়ে দেয়।”
স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, অপহরণকারীদের নির্দেশে পরিবারের সদস্যরা পাহাড়ের নির্দিষ্ট স্থানে টাকা পৌঁছে দেন। এরপর বিকেলে পাপেলকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার পর থেকে পাহাড়ের সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালানো হলেও কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ২৫৬ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন।