মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি খাবারের সন্ধানে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসছে। পাহাড় কাটা, উপকূলীয় বন উজাড় ও রিজার্ভ ফরেস্ট ধ্বংসের ফলে জীববৈচিত্র্য আজ চরম হুমকির মুখে।
উপজেলার পূর্বপাশে পাহাড় ও পশ্চিমে ম্যানগ্রোভ বন থাকা সত্ত্বেও মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের ফলে প্রায় ৮০ শতাংশ বনভূমি ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে বন্যপ্রাণীরা বিচরণক্ষেত্র হারিয়ে মানুষের বসতিতে আশ্রয় নিচ্ছে। দক্ষিণ সাহেরখালী থেকে মুহুরি প্রকল্প পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার উপকূলীয় বন এখন বিলুপ্ত।
গত ১৬ জুলাই মায়ানী ইউনিয়নের ভূঁইয়া গ্রামে চিতাবাঘ সদৃশ একটি প্রাণীকে দেখা যায়। পরবর্তীতে জানা যায় এটি একটি মেছোবাঘ। প্রাণীটির চলাফেরা ও গর্জন বাঘের মতো হওয়ায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, ঈদগাহ কবরস্থানে মেছোবাঘটি দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছে, সঙ্গে দুটি বাচ্চাও রয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত মানুষের ওপর আক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি, তবে গরু-ছাগলের ওপর আক্রমণের চেষ্টা করেছে বলে দাবি করেন তারা।
মসজিদের ইমাম মাওলানা রায়হান উদ্দিন জানান, ‘দুইটি বাঘের বাচ্চার মতো প্রাণী ঈদগাহ এলাকায় দেখা গেছে, তাই এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’
মীরসরাই উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফুর জানান, ‘বিষয়টি কেউ এখনও জানায়নি। সাধারণত বন্যপ্রাণীরা মানুষকে আক্রমণ করে না, যদি না তাদের উত্ত্যক্ত করা হয়।’
বনভূমি উজাড় হওয়ায় হরিণ, বানর, অজগরসহ বিভিন্ন প্রাণী প্রায়ই লোকালয়ে চলে আসছে। সম্প্রতি সাহেরখালীর মঘাদিয়া ঘোনা এলাকায় দুটি হরিণ গাড়ির ধাক্কায় মারা যায়। ধারণা করা হয়, মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে পণ্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি খাবারের সন্ধানে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসছে। পাহাড় কাটা, উপকূলীয় বন উজাড় ও রিজার্ভ ফরেস্ট ধ্বংসের ফলে জীববৈচিত্র্য আজ চরম হুমকির মুখে।
উপজেলার পূর্বপাশে পাহাড় ও পশ্চিমে ম্যানগ্রোভ বন থাকা সত্ত্বেও মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের ফলে প্রায় ৮০ শতাংশ বনভূমি ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে বন্যপ্রাণীরা বিচরণক্ষেত্র হারিয়ে মানুষের বসতিতে আশ্রয় নিচ্ছে। দক্ষিণ সাহেরখালী থেকে মুহুরি প্রকল্প পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার উপকূলীয় বন এখন বিলুপ্ত।
গত ১৬ জুলাই মায়ানী ইউনিয়নের ভূঁইয়া গ্রামে চিতাবাঘ সদৃশ একটি প্রাণীকে দেখা যায়। পরবর্তীতে জানা যায় এটি একটি মেছোবাঘ। প্রাণীটির চলাফেরা ও গর্জন বাঘের মতো হওয়ায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, ঈদগাহ কবরস্থানে মেছোবাঘটি দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছে, সঙ্গে দুটি বাচ্চাও রয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত মানুষের ওপর আক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি, তবে গরু-ছাগলের ওপর আক্রমণের চেষ্টা করেছে বলে দাবি করেন তারা।
মসজিদের ইমাম মাওলানা রায়হান উদ্দিন জানান, ‘দুইটি বাঘের বাচ্চার মতো প্রাণী ঈদগাহ এলাকায় দেখা গেছে, তাই এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’
মীরসরাই উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফুর জানান, ‘বিষয়টি কেউ এখনও জানায়নি। সাধারণত বন্যপ্রাণীরা মানুষকে আক্রমণ করে না, যদি না তাদের উত্ত্যক্ত করা হয়।’
বনভূমি উজাড় হওয়ায় হরিণ, বানর, অজগরসহ বিভিন্ন প্রাণী প্রায়ই লোকালয়ে চলে আসছে। সম্প্রতি সাহেরখালীর মঘাদিয়া ঘোনা এলাকায় দুটি হরিণ গাড়ির ধাক্কায় মারা যায়। ধারণা করা হয়, মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে পণ্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় এ ঘটনা ঘটে।