alt

সারাদেশ

মুসলিম ইনস্টিটিউটের জমিতে পরিচালিত মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জমি ফেরত পাওয়ার দাবি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল : শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

বরিশালের শতবর্ষ মুসলিম ইনস্টিটিউটের নিজস্ব জমি নিয়ে জেলা প্রশাসন, ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও নগর ভবনের ত্রিমুখী লড়াই চলছে। অনেক বছর আগের থেকেই মুসলিম ইনিস্টিটিউটের অস্তিত্ব নেই। সেখানে মোহামেডান ক্লাব দৈনন্দিন খেলাধুলা চর্চা করত। তাও বন্ধ অনেক বছর ধরে। ওইখানে শেষ রাতে জুয়া খেলা চলতো বলে অভিযোগ আছে।

২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি রাতের অন্ধকারে তৎকালীন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নির্দেশে বরিশাল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবটির ভবন গুঁড়িয়ে বুলড্রোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। সে থেকে মাঝে মধ্যে প্রতিবাদ করা হয়েছে। ওই স্থানের পাশে রয়েছে বরিশালের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং সিটি করপোরেশনের অর্ধসমাপ্ত মিলনায়তন। ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি বিতারিত ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলছে বর্তমান নগর প্রশাসনও। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কোনো আইনও মানছে না নগর ভবন। এমনকি ভূমিবিরোধ নিরসনে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও দাঁড়িয়েছে নগর প্রশাসন। প্রকাশ থাকে যে, স্থানীয় প্রশাসন সেখানে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য স্থান নির্বাচন করেছেন।

১৯৩৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ যুগে কলকাতা মোহামেডান স্পের্টিং ক্লাব প্রতিষ্ঠার বছর কয়েক পরে ১৯৩৭ সালে বরিশালের তৎকালীন সদর রোডে সার্কিট হাউজের পাশে শায়েস্তাবাদের নবাবদের নিজস্ব ৩৩ শতক ভূমি মুসলিম ইনস্টিটিউটের নামে লিখে দেন নবাব বংশের তৎকালীন উত্তরাধিকারী সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন। ১৯৪২ সালে তার পুত্র সৈয়দ ফজলে রাব্বিসহ বরিশালের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার মিলে এখানে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন বলে দাবি করা হয়।

এক সময়ে বরিশাল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠেছিল। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল এবং ঢাকা মোহামেডানের দীর্ঘদিনের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, তার ছোট ভাই মঈন জাতীয় ফুটবল দলের একাধিকবারের অধিনায়ক গজনবীসহ দেশের খ্যাতিমান একাধিক ফুটবল তারকা বরিশাল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তৈরি।

এমনকি বরিশাল মোহামেডানের খেলোয়াড়রাই খুলনা ফুটবল লীগে সেখানের মোহামেডানের হয়ে দীর্ঘদিন খেলার মাঠ মাতিয়েছেন। ১৯৪০ সাল থেকে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব বরিশালের অনেক খেলাধুলাসহ সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু পরে খেলাধুলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

ক্লাবটির সম্পত্তি পুনরুদ্ধারসহ সব সম্পদ ফেরত দেয়ার দাবিতে কিছু সাধারণ নগরবাসী বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনসহ জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপিও প্রদান করেন। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রের শীর্ষ ক্ষমতার অনেক কাছের মানুষের কারণে সে সময় বরিশাল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবটির সম্পত্তি সিটি করপোরেশনের দখল থেকে উদ্ধার হয়নি।

পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পরে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বরিশাল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব পুনরুদ্ধারের আশা ছিল নগরবাসীর। কিন্তু আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত থাকার মধ্যে ক্লাব কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও নগর প্রশাসনের মধ্যে এখন ত্রিমুখী লড়াই শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচির মধ্যেই গত ১৪ জুলাই জেলা প্রশাসক মো. দেলয়ার হোসেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, বরিশাল সদরের এসিল্যান্ড ও সার্ভেয়ারদের নিয়ে ক্লাবটির ৩৩ শতাংশ জমির মধ্যে ২২ শতক ভূমি সরেজমিন বুঝিয়ে দেয়া হয়। ক্লাব কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অস্থায়ী সীমানা পিলার স্থাপনসহ বাঁশ ও কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে জমিটি বুঝে নেন।

কিন্তু পরদিনই নগর ভবনের লোকজন সেখানে গিয়ে মোহামেডান ক্লাবের জমি থেকে সীমানা পিলার ও কাঁটাতারের বেড়া অপসারণ করে পুনরায় তা দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক এবাদুল হক চাঁন। তার অভিযোগ, মোহামেডান ক্লাবের জমিতে এখন সিটি করপোরেশনের গাড়ির গ্যারেজ। তিনি বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, সিটি করপোরেশন শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির জমি বার বার দখল করছে। অথচ তাদের কাছে ক্লাবের নেতাদের কাছে মোহামেডান ক্লাবের কোনো কাগজপত্র নেই। ওই জমির মালিকানার কোনো কাগজপত্র নেই।

সিটি করপোরেশনের মতো একটি আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘গণবিরোধী’ ও ‘অনৈতিক’ বলে দাবি এবাদুল হক চাঁন অবিলম্বে ক্ষতিপূরণসহ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জমিসহ সমুদয় সম্পদ ফেরত দেয়ারও দাবি জানান। অন্যথায় বিষয়টি নিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলেও জানান একাধিক কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব কর্তৃপক্ষ ঐ জমি তাদের বলে দাবি করলেও তার সপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। জমিটি মূলত মুসলিম ইনস্টিটিউটের নামে বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব নেই।

কুয়াকাটায় যুবক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, গ্রেপ্তার ২

মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলার প্রধান ডাকাতির অপরাধে গ্রেপ্তার

জগন্নাথপুরে অসহায়দের মাঝে ডেউটিন ও চেক বিতরণ

ছবি

মোরেলগঞ্জে ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন প্রতিবন্ধী মা-মেয়ের

ছবি

একটি মাত্র সেতু বদলে দিতে পারে ৫০ গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা

শরণখোলায় হরিণ শিকারীকে কারাদণ্ড

ছবি

মঠবাড়িয়ায় সড়ক ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী

বরুড়ায় জুলাই শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ

ছবি

বনাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে চাম কাঁঠাল বা চাপালিশ

ফেক আইডির টার্গেটে মুন্সীগঞ্জের বিএনপি নেতা দোলন!

ছবি

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের পর ফের কারফিউ, শনিবার রাত ৮টা থেকে কার্যকর

ছবি

সিরাজগঞ্জে ঐতিহ্য হারাচ্ছে ৫০০ বছরের পুরোনো জয়সাগর দীঘি

ডুমুরিয়ায় হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধি, বিপাকে সাধারণ মানুষ

গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ

রাণীশংকৈলে কবরস্থান থেকে ১০ কঙ্কাল চুরি

বরেন্দ্র জাদুঘরে ঐতিহ্য সংরক্ষণ প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় ধাপ শুরু

ছবি

গাছের সঙ্গে শত্রুতা!

সাপাহারে ‘ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’ উদ্বোধন

ছবি

ভৈরবে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর, আহত ৫

নিখোঁজের ৬ দিন পর হাওরে মিলল পাহারাদারের মরদেহ

মাধবদীতে ময়লা পানি নিষ্কাশন ড্রেনে বিস্ফোরণ

ছবি

বাড়ির আঙিনায় নিরাপদ পুষ্টি বাগানে ভাগ্যবদল নারীদের

গঙ্গাচড়ায় প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

চকরিয়ায় বনাঞ্চলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি

তিস্তার বুকে ৫ম সেতু, নতুন ভোরের প্রতীক্ষায় দুই পাড়ের মানুষ

শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল থেকে ফিরে পলাশের যুবদল নেতার মৃত্যু

ঘোড়াঘাটে নারীর মরদেহ উদ্ধার

শহীদ শাহরিয়ার শুভর মা-বাবা আজও ছেলের অপেক্ষায়

ছবি

চান্দিনায় জুলাই শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

বন্যহাতির তাণ্ডবে ফসলের ক্ষতি, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

গোপালগঞ্জে কারফিউ বাড়ল রোববার সকাল পর্যন্ত

ছবি

কেন্দুয়ায় হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

রামপালে ৩ মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

ছবি

মাদারগঞ্জ পৌরসভার ৪টি সড়কই চলাচলের অযোগ্য

হবিগঞ্জে ছড়ার বাঁধ কেটে যুবলীগ নেতার অবৈধ বালু ব্যবসা

উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ অটোভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার

tab

সারাদেশ

মুসলিম ইনস্টিটিউটের জমিতে পরিচালিত মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জমি ফেরত পাওয়ার দাবি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

বরিশালের শতবর্ষ মুসলিম ইনস্টিটিউটের নিজস্ব জমি নিয়ে জেলা প্রশাসন, ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও নগর ভবনের ত্রিমুখী লড়াই চলছে। অনেক বছর আগের থেকেই মুসলিম ইনিস্টিটিউটের অস্তিত্ব নেই। সেখানে মোহামেডান ক্লাব দৈনন্দিন খেলাধুলা চর্চা করত। তাও বন্ধ অনেক বছর ধরে। ওইখানে শেষ রাতে জুয়া খেলা চলতো বলে অভিযোগ আছে।

২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি রাতের অন্ধকারে তৎকালীন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নির্দেশে বরিশাল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবটির ভবন গুঁড়িয়ে বুলড্রোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। সে থেকে মাঝে মধ্যে প্রতিবাদ করা হয়েছে। ওই স্থানের পাশে রয়েছে বরিশালের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং সিটি করপোরেশনের অর্ধসমাপ্ত মিলনায়তন। ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি বিতারিত ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলছে বর্তমান নগর প্রশাসনও। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কোনো আইনও মানছে না নগর ভবন। এমনকি ভূমিবিরোধ নিরসনে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও দাঁড়িয়েছে নগর প্রশাসন। প্রকাশ থাকে যে, স্থানীয় প্রশাসন সেখানে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য স্থান নির্বাচন করেছেন।

১৯৩৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ যুগে কলকাতা মোহামেডান স্পের্টিং ক্লাব প্রতিষ্ঠার বছর কয়েক পরে ১৯৩৭ সালে বরিশালের তৎকালীন সদর রোডে সার্কিট হাউজের পাশে শায়েস্তাবাদের নবাবদের নিজস্ব ৩৩ শতক ভূমি মুসলিম ইনস্টিটিউটের নামে লিখে দেন নবাব বংশের তৎকালীন উত্তরাধিকারী সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন। ১৯৪২ সালে তার পুত্র সৈয়দ ফজলে রাব্বিসহ বরিশালের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার মিলে এখানে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন বলে দাবি করা হয়।

এক সময়ে বরিশাল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠেছিল। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল এবং ঢাকা মোহামেডানের দীর্ঘদিনের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, তার ছোট ভাই মঈন জাতীয় ফুটবল দলের একাধিকবারের অধিনায়ক গজনবীসহ দেশের খ্যাতিমান একাধিক ফুটবল তারকা বরিশাল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তৈরি।

এমনকি বরিশাল মোহামেডানের খেলোয়াড়রাই খুলনা ফুটবল লীগে সেখানের মোহামেডানের হয়ে দীর্ঘদিন খেলার মাঠ মাতিয়েছেন। ১৯৪০ সাল থেকে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব বরিশালের অনেক খেলাধুলাসহ সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু পরে খেলাধুলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

ক্লাবটির সম্পত্তি পুনরুদ্ধারসহ সব সম্পদ ফেরত দেয়ার দাবিতে কিছু সাধারণ নগরবাসী বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনসহ জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপিও প্রদান করেন। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রের শীর্ষ ক্ষমতার অনেক কাছের মানুষের কারণে সে সময় বরিশাল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবটির সম্পত্তি সিটি করপোরেশনের দখল থেকে উদ্ধার হয়নি।

পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পরে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বরিশাল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব পুনরুদ্ধারের আশা ছিল নগরবাসীর। কিন্তু আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত থাকার মধ্যে ক্লাব কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও নগর প্রশাসনের মধ্যে এখন ত্রিমুখী লড়াই শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচির মধ্যেই গত ১৪ জুলাই জেলা প্রশাসক মো. দেলয়ার হোসেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, বরিশাল সদরের এসিল্যান্ড ও সার্ভেয়ারদের নিয়ে ক্লাবটির ৩৩ শতাংশ জমির মধ্যে ২২ শতক ভূমি সরেজমিন বুঝিয়ে দেয়া হয়। ক্লাব কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অস্থায়ী সীমানা পিলার স্থাপনসহ বাঁশ ও কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে জমিটি বুঝে নেন।

কিন্তু পরদিনই নগর ভবনের লোকজন সেখানে গিয়ে মোহামেডান ক্লাবের জমি থেকে সীমানা পিলার ও কাঁটাতারের বেড়া অপসারণ করে পুনরায় তা দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক এবাদুল হক চাঁন। তার অভিযোগ, মোহামেডান ক্লাবের জমিতে এখন সিটি করপোরেশনের গাড়ির গ্যারেজ। তিনি বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, সিটি করপোরেশন শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির জমি বার বার দখল করছে। অথচ তাদের কাছে ক্লাবের নেতাদের কাছে মোহামেডান ক্লাবের কোনো কাগজপত্র নেই। ওই জমির মালিকানার কোনো কাগজপত্র নেই।

সিটি করপোরেশনের মতো একটি আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘গণবিরোধী’ ও ‘অনৈতিক’ বলে দাবি এবাদুল হক চাঁন অবিলম্বে ক্ষতিপূরণসহ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জমিসহ সমুদয় সম্পদ ফেরত দেয়ারও দাবি জানান। অন্যথায় বিষয়টি নিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলেও জানান একাধিক কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব কর্তৃপক্ষ ঐ জমি তাদের বলে দাবি করলেও তার সপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। জমিটি মূলত মুসলিম ইনস্টিটিউটের নামে বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব নেই।

back to top