বিজ্ঞানভিত্তিক সমীক্ষার মাধ্যমে নদীর সীমানা চিহ্নিত করার দাবি
বিগত বছরগুলোতে হবিগঞ্জ শহর ও আশপাশে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও কৃত্রিম বন্যা দেথা দিতো। শহরের মানুষের জলাবদ্ধতা ছিল নিত্য সঙ্গী। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খোয়াই নদী সংরক্ষণে নানা প্রকল্প গ্রহণ করছে। পরিবেশবাদীরা খোয়াই রক্ষায় দখলদারা যেন আর নদী দখল করতে পারেনা বিজ্ঞানভিত্তিক সমীক্ষার মাধ্যমে নদীর সীমানা চিহ্নিত করার দাবি জনান।
পুরাতন খোয়াই নদী দখলমুক্ত করার দাবিতে নাগরিক সভায় বক্তরা একথা বলেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টায় ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও নদীপাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী শ্যামলী এলাকার অরবিট স্কুল প্রাঙ্গণে এই সভা ও নদীর একাংশ পরিদর্শনের আয়োজন করে। অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ইকরামুল ওয়াদুদ ও হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব শরীফ জামিল।
তিনি বলেন, ‘অপরাপর সরকারের মতো বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও খোয়াই নদী সংরক্ষণে নানা প্রকল্প গ্রহণ করছে। হবিগঞ্জের মানুষ পুরাতন খোয়াই রক্ষায় যেকোনো সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তবে দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে চলমান নদী রক্ষার নামে গৃহীত প্রকল্প সমূহের মাধ্যমে দখলদারদের বৈধতা দেয়ার যে বাস্তবতা রয়েছে তার পুনরাবৃত্তি হবিগঞ্জের মানুষ হতে দেবেনা।’
‘পুরাতন খোয়াই পুনরুদ্ধার এর আগে চলমান দখল বন্ধ করে শ্যামলী, মুসলিম কোয়াটার, পুরান মুন্সেফ, শায়েস্তানগর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে চলমান মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলা করা উচিত’, দাবি তার।
শরীফ জামিল আরও বলেন, ‘পুরাতন খোয়াই সংরক্ষণে নদীর সীমানা নির্ধারণ যেকোনো সমন্বিত পরিকল্পনার প্রথম পদক্ষেপ। যেহেতু হবিগঞ্জের সিএস জরিপ নেই কাজেই স্থানীয় পরিবেশবাদী ও বয়োজ্যেষ্ঠদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক সমীক্ষার মাধ্যমে নদীর সীমানা চিহ্নিত করতে হবে।’
পরিদর্শনকালে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ও ধরা’র আজীবন সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, ‘পুরাতন খোয়াই নদী হচ্ছে হবিগঞ্জের ফুসফুস। দখল দূষণের মাধ্যমে কেবল এ নদীর সর্বনাশা ডেকে আনা হয়নি, পুরো শহরের পরিবেশ ও প্রতিবেশকে হুমকিতে ফেলা হয়েছে। অথচ এই নদীর মাধ্যমে হবিগঞ্জ একটি পরিকল্পিত সুস্থ সুন্দর শহর হতে পারতো। এ নদীর সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে পানি নিষ্কাশনসহ নগরায়নের যাবতীয় অবকাঠামোগত সমস্যার সমাধান সম্ভব।’
খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ‘দীর্ঘদিন দখল- দূষণ বন্ধ না করার কারণে জলাবদ্ধতায় হবিগঞ্জে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। মাছুলিয়া থেকে বগলাবাজার এর মাছবাজার পর্যন্ত কোথাও দখল থেমে নাই। দখল কেবল ব্যক্তি পর্যায়ে হয়নি, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনও গড়ে তোলা হয়েছে পুরাতন খোয়াই নদীর বুকে। এখনও দখল অব্যাহত রয়েছে। পুরাতন খোয়াই পুনরুদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে হবিগঞ্জের মানুষ এর দীর্ঘদিনের আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।’
নাগরিক সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, এডভোকেট হাসবি সাঈদ চৌধুরী, আকলু মিয়া, ফয়সল আহমদ, আবদুল বাসিত প্রমুখ।সূচনা বক্তব্য দেন খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও ধরা হবিগঞ্জের সদস্য সচিব তোফাজ্জল সোহেল।
বিজ্ঞানভিত্তিক সমীক্ষার মাধ্যমে নদীর সীমানা চিহ্নিত করার দাবি
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
বিগত বছরগুলোতে হবিগঞ্জ শহর ও আশপাশে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও কৃত্রিম বন্যা দেথা দিতো। শহরের মানুষের জলাবদ্ধতা ছিল নিত্য সঙ্গী। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খোয়াই নদী সংরক্ষণে নানা প্রকল্প গ্রহণ করছে। পরিবেশবাদীরা খোয়াই রক্ষায় দখলদারা যেন আর নদী দখল করতে পারেনা বিজ্ঞানভিত্তিক সমীক্ষার মাধ্যমে নদীর সীমানা চিহ্নিত করার দাবি জনান।
পুরাতন খোয়াই নদী দখলমুক্ত করার দাবিতে নাগরিক সভায় বক্তরা একথা বলেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টায় ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও নদীপাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী শ্যামলী এলাকার অরবিট স্কুল প্রাঙ্গণে এই সভা ও নদীর একাংশ পরিদর্শনের আয়োজন করে। অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ইকরামুল ওয়াদুদ ও হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব শরীফ জামিল।
তিনি বলেন, ‘অপরাপর সরকারের মতো বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও খোয়াই নদী সংরক্ষণে নানা প্রকল্প গ্রহণ করছে। হবিগঞ্জের মানুষ পুরাতন খোয়াই রক্ষায় যেকোনো সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তবে দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে চলমান নদী রক্ষার নামে গৃহীত প্রকল্প সমূহের মাধ্যমে দখলদারদের বৈধতা দেয়ার যে বাস্তবতা রয়েছে তার পুনরাবৃত্তি হবিগঞ্জের মানুষ হতে দেবেনা।’
‘পুরাতন খোয়াই পুনরুদ্ধার এর আগে চলমান দখল বন্ধ করে শ্যামলী, মুসলিম কোয়াটার, পুরান মুন্সেফ, শায়েস্তানগর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে চলমান মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলা করা উচিত’, দাবি তার।
শরীফ জামিল আরও বলেন, ‘পুরাতন খোয়াই সংরক্ষণে নদীর সীমানা নির্ধারণ যেকোনো সমন্বিত পরিকল্পনার প্রথম পদক্ষেপ। যেহেতু হবিগঞ্জের সিএস জরিপ নেই কাজেই স্থানীয় পরিবেশবাদী ও বয়োজ্যেষ্ঠদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক সমীক্ষার মাধ্যমে নদীর সীমানা চিহ্নিত করতে হবে।’
পরিদর্শনকালে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ও ধরা’র আজীবন সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, ‘পুরাতন খোয়াই নদী হচ্ছে হবিগঞ্জের ফুসফুস। দখল দূষণের মাধ্যমে কেবল এ নদীর সর্বনাশা ডেকে আনা হয়নি, পুরো শহরের পরিবেশ ও প্রতিবেশকে হুমকিতে ফেলা হয়েছে। অথচ এই নদীর মাধ্যমে হবিগঞ্জ একটি পরিকল্পিত সুস্থ সুন্দর শহর হতে পারতো। এ নদীর সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে পানি নিষ্কাশনসহ নগরায়নের যাবতীয় অবকাঠামোগত সমস্যার সমাধান সম্ভব।’
খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ‘দীর্ঘদিন দখল- দূষণ বন্ধ না করার কারণে জলাবদ্ধতায় হবিগঞ্জে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। মাছুলিয়া থেকে বগলাবাজার এর মাছবাজার পর্যন্ত কোথাও দখল থেমে নাই। দখল কেবল ব্যক্তি পর্যায়ে হয়নি, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনও গড়ে তোলা হয়েছে পুরাতন খোয়াই নদীর বুকে। এখনও দখল অব্যাহত রয়েছে। পুরাতন খোয়াই পুনরুদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে হবিগঞ্জের মানুষ এর দীর্ঘদিনের আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।’
নাগরিক সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, এডভোকেট হাসবি সাঈদ চৌধুরী, আকলু মিয়া, ফয়সল আহমদ, আবদুল বাসিত প্রমুখ।সূচনা বক্তব্য দেন খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও ধরা হবিগঞ্জের সদস্য সচিব তোফাজ্জল সোহেল।