রায়পুর (লক্ষীপুর) : অনাবাদি জমিতে সবজি চাষ -সংবাদ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চর আবাবিল গ্রামের গৃহিণী রুপালি আক্তার। বাড়ির সামনের দুই শতক অনাবাদি জমিতে এবার পারিবারিক পুষ্টি বাগান করেছেন। এই বাগান করে পারিবারিক চাহিদা পূরণ ও বেশ লাভবান হচ্ছে ক্ষুদ্র গৃহিণী কৃষক রুপালি।
তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরামর্শে তিনি এবার তার দুই শতক অনাবাদি জমিতে সবজি চাষ করেছেন। এতে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে তিনি বীজ, সারসহ কৃষি উপকরণ পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, পারিবারিক পুষ্টি বাগান করে তিনি এখন পরিবারের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করছেন। তিনি মনে করেন, সবাই যদি বাড়ির আঙিনায় অনাবাদি পতিত জমিতে সবজি চাষ করেন তাহলে পরিবারের চাহিদা জোগান দেয়া সম্ভব। এদিকে রুপালির এই সাফল্য দেখে ওই ইউনিয়নে অনাবাদি জমি ও বসতবাড়ির আঙিনার আশেপাশে লাউ ও মিষ্টি কুমড়া আবাদের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি চাষ করছে বহু নারী কৃষকরা। এসব নারীরা এখন বাজার থেকে সবজি কেনেন না। বরং মাঝেমধ্যে কিছু সবজি বিক্রি করেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১০ ইউনিয়নে এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ পেয়ে জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় সবজির চাষ করে নতুন স্বপ্ন বুনছে রুপালীর মতো বহু নারী। বাড়ির সামনের অনাবাদি জমিতে থেকে এ বছর লাউ, সিম, বরবটি ও বেডে পালংশাক, লালশাক, গাজর, কলমিশাক চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাহিরে বিক্রি করে অনেক লাভবান হয়েছে এই নারী কৃষকরা।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম জানান, উপজেলায় ৮০ ভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর। যে কোন স্থানে ভালো ফসল উৎপাদন হয়। পুষ্টি বাগান স্থাপনের জন্য কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা ও পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা বাড়ানোসহ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উপজেলা কৃষি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় রায়পুর উপজেলায় প্রায় শতাধিক বাড়ির সামনের রয়েছে নারীদের এসব পুষ্টি বাগান।
রায়পুর (লক্ষীপুর) : অনাবাদি জমিতে সবজি চাষ -সংবাদ
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চর আবাবিল গ্রামের গৃহিণী রুপালি আক্তার। বাড়ির সামনের দুই শতক অনাবাদি জমিতে এবার পারিবারিক পুষ্টি বাগান করেছেন। এই বাগান করে পারিবারিক চাহিদা পূরণ ও বেশ লাভবান হচ্ছে ক্ষুদ্র গৃহিণী কৃষক রুপালি।
তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরামর্শে তিনি এবার তার দুই শতক অনাবাদি জমিতে সবজি চাষ করেছেন। এতে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে তিনি বীজ, সারসহ কৃষি উপকরণ পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, পারিবারিক পুষ্টি বাগান করে তিনি এখন পরিবারের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করছেন। তিনি মনে করেন, সবাই যদি বাড়ির আঙিনায় অনাবাদি পতিত জমিতে সবজি চাষ করেন তাহলে পরিবারের চাহিদা জোগান দেয়া সম্ভব। এদিকে রুপালির এই সাফল্য দেখে ওই ইউনিয়নে অনাবাদি জমি ও বসতবাড়ির আঙিনার আশেপাশে লাউ ও মিষ্টি কুমড়া আবাদের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি চাষ করছে বহু নারী কৃষকরা। এসব নারীরা এখন বাজার থেকে সবজি কেনেন না। বরং মাঝেমধ্যে কিছু সবজি বিক্রি করেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১০ ইউনিয়নে এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ পেয়ে জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় সবজির চাষ করে নতুন স্বপ্ন বুনছে রুপালীর মতো বহু নারী। বাড়ির সামনের অনাবাদি জমিতে থেকে এ বছর লাউ, সিম, বরবটি ও বেডে পালংশাক, লালশাক, গাজর, কলমিশাক চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাহিরে বিক্রি করে অনেক লাভবান হয়েছে এই নারী কৃষকরা।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম জানান, উপজেলায় ৮০ ভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর। যে কোন স্থানে ভালো ফসল উৎপাদন হয়। পুষ্টি বাগান স্থাপনের জন্য কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা ও পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা বাড়ানোসহ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উপজেলা কৃষি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় রায়পুর উপজেলায় প্রায় শতাধিক বাড়ির সামনের রয়েছে নারীদের এসব পুষ্টি বাগান।