হিলি (দিনাজপুর) : রাতের আঁধারে তরিকুলের ১২৬টি চারা গাছ কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা -সংবাদ
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে রাতের আধারে জমিতে লাগানো তরিকুল ইসলাম নামে এক কৃষকের ১২৬টি মেহগনির চারা গাছ কেটে নষ্ট ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের নলেয়া মৌজার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক তরিকুল ইসলাম (২৭) উপজেলার পূর্ব ফতেপুর গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় তিনি নবাবগঞ্জ থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী জানান, তরিকুল ইসলাম তার বাবার সঙ্গে নানা রকম ফলজ বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে কৃষিকে পেশা হিসাবে বেছে নেন। এরই অংশ হিসেবে কিছুদিন পূর্বে তার বোন জামাই রাসেদুল ইসলামের ক্রয় করা ১১ শতক জমিতে ১২৬টি মেহগনি গাছ রোপন করেন তরিকুল ইসলাম। তবে রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা তার জমিতে থাকা মেহগনির সব গাছ কেটে ও উপরে ফেলেছেন।
তরিকুল ইসলাম জানান, কিছুদিন পূর্বে তার বোন জামাই ফরহাদ নামে এক ব্যক্তির থেকে ২ লাখ টাকা শতক হারে ১১ শতক জমি ২২ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেন, সেখানে ইউক্যালিপটাস জাতের গাছের চারা লাগান তিনি। চারা লাগানোর পরে পার্শ্ববর্তী দুই জমির মালিক পক্ষ আতর আলী (৬০), সোনাউল্লাহ (৬৫) শাহজাল মিয়া (২৯), মালেক আলী, শফিকুল ইসলাম (৪০) ও মুশফিকুর রহমান (৩৪) মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে ইউক্যালিপটাস গাছ বড় হয়ে তাদের ফসলের ক্ষতি হবে মর্মে অভিযোগ করেন। তিনি আরও জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাছগুলো অপসারণ করে অন্য প্রজাতির গাছ লাগানোর নির্দেশ দেন তাকে। চেয়ারম্যানের কথা অনুযায়ী তিনি ইউক্যালিপটাস যাতের গাছের চারা অপসারণ করে, মেহগনি জাতের ১২৬টি চারা রোপন করেন।
রোপন করার কিছুদিন পরে গতকাল শুক্রবার সকালে তিনি তার বাবার সঙ্গে জমিতে এসে দেখেন রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা রোপণকৃত সব চারা উপরে ফেলে মাঝ বরাবর কেটে দিয়েছে। এতে করে তার ৪০ থেকে ৫০ হাজার ক্ষতি হয়েছে।
তরিকুলের বাবা দুদু মিয়া বলেন, এলাকার কারো সঙ্গে আমাদের কোনো ঝামেলা নেই। আমরা কৃষক মানুষ সারা বছর ফলমূল চাষ করে দিন চলে যায়। তবে মনে হচ্ছে কেউ হিংসা করে আমার সন্তানের এমন ক্ষতি করেছে। গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। সেই গাছ যদি কেউ নষ্ট করে, তার কঠিন বিচার হওয়া দরকার।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গাছের চারা নষ্ট করার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হিলি (দিনাজপুর) : রাতের আঁধারে তরিকুলের ১২৬টি চারা গাছ কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা -সংবাদ
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে রাতের আধারে জমিতে লাগানো তরিকুল ইসলাম নামে এক কৃষকের ১২৬টি মেহগনির চারা গাছ কেটে নষ্ট ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের নলেয়া মৌজার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক তরিকুল ইসলাম (২৭) উপজেলার পূর্ব ফতেপুর গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় তিনি নবাবগঞ্জ থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী জানান, তরিকুল ইসলাম তার বাবার সঙ্গে নানা রকম ফলজ বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে কৃষিকে পেশা হিসাবে বেছে নেন। এরই অংশ হিসেবে কিছুদিন পূর্বে তার বোন জামাই রাসেদুল ইসলামের ক্রয় করা ১১ শতক জমিতে ১২৬টি মেহগনি গাছ রোপন করেন তরিকুল ইসলাম। তবে রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা তার জমিতে থাকা মেহগনির সব গাছ কেটে ও উপরে ফেলেছেন।
তরিকুল ইসলাম জানান, কিছুদিন পূর্বে তার বোন জামাই ফরহাদ নামে এক ব্যক্তির থেকে ২ লাখ টাকা শতক হারে ১১ শতক জমি ২২ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেন, সেখানে ইউক্যালিপটাস জাতের গাছের চারা লাগান তিনি। চারা লাগানোর পরে পার্শ্ববর্তী দুই জমির মালিক পক্ষ আতর আলী (৬০), সোনাউল্লাহ (৬৫) শাহজাল মিয়া (২৯), মালেক আলী, শফিকুল ইসলাম (৪০) ও মুশফিকুর রহমান (৩৪) মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে ইউক্যালিপটাস গাছ বড় হয়ে তাদের ফসলের ক্ষতি হবে মর্মে অভিযোগ করেন। তিনি আরও জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাছগুলো অপসারণ করে অন্য প্রজাতির গাছ লাগানোর নির্দেশ দেন তাকে। চেয়ারম্যানের কথা অনুযায়ী তিনি ইউক্যালিপটাস যাতের গাছের চারা অপসারণ করে, মেহগনি জাতের ১২৬টি চারা রোপন করেন।
রোপন করার কিছুদিন পরে গতকাল শুক্রবার সকালে তিনি তার বাবার সঙ্গে জমিতে এসে দেখেন রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা রোপণকৃত সব চারা উপরে ফেলে মাঝ বরাবর কেটে দিয়েছে। এতে করে তার ৪০ থেকে ৫০ হাজার ক্ষতি হয়েছে।
তরিকুলের বাবা দুদু মিয়া বলেন, এলাকার কারো সঙ্গে আমাদের কোনো ঝামেলা নেই। আমরা কৃষক মানুষ সারা বছর ফলমূল চাষ করে দিন চলে যায়। তবে মনে হচ্ছে কেউ হিংসা করে আমার সন্তানের এমন ক্ষতি করেছে। গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। সেই গাছ যদি কেউ নষ্ট করে, তার কঠিন বিচার হওয়া দরকার।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গাছের চারা নষ্ট করার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।