ডুমুরিয়া উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে সব ধরনের চালের দাম। স্বর্ণা, বালাম, মিনিকেটসহ জনপ্রিয় চালের কেজিপ্রতি মূল্য ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় নাজেহাল হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবারগুলো মাসের শুরুতেই পড়েছে চরম অর্থনৈতিক চাপে। উপজেলর চুকনগর, শাহাপুর, আঠারো মাইল বাজার ও ডুমুরিয়া সদরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে, যেখানে কয়েকদিন আগেও তা ছিল ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। স্বর্ণা চালের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। একইভাবে বালাম চালের দাম কেজিতে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় পৌঁছেছে, যা কিছুদিন আগেও বিক্রি হতো ৫৮ থেকে ৬২ টাকায়। চাল ব্যবসায়ী মতিউর রহমান শেখ ও বজলে খাঁ সহ অন্যান্য খুচরা বিক্রেতারা জানান, মিলগেট পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও তার প্রভাব পড়ছে। তবে এই যুক্তি মানতে নারাজ সাধারণ ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, বাজারে মনিটরিংয়ের ঘাটতির সুযোগে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন।
আঠারোমাইলএলাকার গৃহবধূ ছালেহা বেগম বলেন, চালের দাম বাড়লে শুধু এক পণ্যের খরচই বাড়ে না, পুরো সংসারের বাজেটই এলোমেলো হয়ে যায়। ডাল, সবজি, ডিম সবকিছুতেই এখন কাটছাঁট করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন স্থানীয় ভ্যানচালক কলিম শেখ। তার ভাষায়, দিন শেষে যা আয় করি, তা দিয়ে এখন আর পুরো বাজার করা সম্ভব হচ্ছে না। চাল, তেল, ডাল সবকিছুর দাম একসঙ্গে বাড়ছে। সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারি তদারকি না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা লাগামহীনভাবে মূল্য বাড়িয়ে চলেছে। স্থানীয়দের দাবি, নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরদার না করলে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
চালের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, যদি কোনো ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাজার পরিস্থিতি মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে। তিনি আরও জানান, ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন সর্বদা সজাগ রয়েছে। স্থানীয়রা আশাবাদী, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে, নাহলে এই ঊর্ধ্বমুখী দামের চাপ জনগণের জীবনযাত্রাকে আরও দুর্বিষহ করে তুলবে।
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
ডুমুরিয়া উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে সব ধরনের চালের দাম। স্বর্ণা, বালাম, মিনিকেটসহ জনপ্রিয় চালের কেজিপ্রতি মূল্য ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় নাজেহাল হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবারগুলো মাসের শুরুতেই পড়েছে চরম অর্থনৈতিক চাপে। উপজেলর চুকনগর, শাহাপুর, আঠারো মাইল বাজার ও ডুমুরিয়া সদরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে, যেখানে কয়েকদিন আগেও তা ছিল ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। স্বর্ণা চালের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। একইভাবে বালাম চালের দাম কেজিতে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় পৌঁছেছে, যা কিছুদিন আগেও বিক্রি হতো ৫৮ থেকে ৬২ টাকায়। চাল ব্যবসায়ী মতিউর রহমান শেখ ও বজলে খাঁ সহ অন্যান্য খুচরা বিক্রেতারা জানান, মিলগেট পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও তার প্রভাব পড়ছে। তবে এই যুক্তি মানতে নারাজ সাধারণ ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, বাজারে মনিটরিংয়ের ঘাটতির সুযোগে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন।
আঠারোমাইলএলাকার গৃহবধূ ছালেহা বেগম বলেন, চালের দাম বাড়লে শুধু এক পণ্যের খরচই বাড়ে না, পুরো সংসারের বাজেটই এলোমেলো হয়ে যায়। ডাল, সবজি, ডিম সবকিছুতেই এখন কাটছাঁট করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন স্থানীয় ভ্যানচালক কলিম শেখ। তার ভাষায়, দিন শেষে যা আয় করি, তা দিয়ে এখন আর পুরো বাজার করা সম্ভব হচ্ছে না। চাল, তেল, ডাল সবকিছুর দাম একসঙ্গে বাড়ছে। সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারি তদারকি না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা লাগামহীনভাবে মূল্য বাড়িয়ে চলেছে। স্থানীয়দের দাবি, নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরদার না করলে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
চালের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, যদি কোনো ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাজার পরিস্থিতি মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে। তিনি আরও জানান, ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন সর্বদা সজাগ রয়েছে। স্থানীয়রা আশাবাদী, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে, নাহলে এই ঊর্ধ্বমুখী দামের চাপ জনগণের জীবনযাত্রাকে আরও দুর্বিষহ করে তুলবে।