alt

সারাদেশ

সিরাজগঞ্জে ঐতিহ্য হারাচ্ছে ৫০০ বছরের পুরোনো জয়সাগর দীঘি

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ : শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

সিরাজগঞ্জ : ঐতিহ্যবাহী জয়সাগর দীঘি -সংবাদ

সিরাজগঞ্জ সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার পশ্চিমে রায়গঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলায় যে কয়েকটি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৫০০ বছর আগের ‘জয়সাগর দিঘি’ অন্যতম। জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের নিমগাছিতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী জয়সাগর দীঘি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই দীঘির পাড়ে আসেন অসংখ্য দর্শনার্থী। অথচ সংস্কারের অভাবে দীঘির পাড় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া চারপাড়ে ২৮টি বাধা ঘাট থাকলেও এখন এর কোনো চিহ্ন নেই। সবমিলে বর্তমানে দীঘিটি ঐতিহ্য হারাচ্ছে। ঐতিহ্য রক্ষায় দীঘিটির সংস্কার বা উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় দর্শনার্থীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, দীঘিটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছিল আধা মাইল, আয়তন প্রায় ৫৮ একর। এই দিঘীটি নিয়ে অনেক লোককথা প্রচলিত আছে। সেন বংশীয় রাজা অচ্যুত সেন গৌড়াধিপতি ফিরোজ শাহর করদ রাজা ছিলেন। তার রাজধানী ছিল কমলাপুর। ফিরোজ শাহের ছেলে বাহাদুর শাহ অচ্যুত সেন রাজার কন্যা অপরূপ সুন্দরী ভদ্রাবতীকে দেখে মুগ্ধ হন। তিনি তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু রাজা অচ্যুত সেন সম্মত না হওয়ায় বাহাদুর শাহ কমলাপুর আক্রমণ করে ভদ্রাবতীকে অপহরণ করে নিমগাছিতে নিয়ে যান। রাজা অচ্যুত সেন তার সৈন্যবাহিনীসহ বাহাদুর শাহকে আক্রমণ করেন। নিমগাছিতে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক যুদ্ধ হয়। বাহাদুর শাহের মুষ্টিমেয় সৈন্য সেনরাজের বিরাট সৈন্যবাহিনীর কাছে যুদ্ধে (১৫৩২-৩৪ খ্রিস্টাব্দ) পরাজিত হন। এ বিজয় গৌরবের স্মৃতি হিসেবে এবং পরকালের কল্যাণের জন্য তিনি নিমগাছির কাছে ‘জয়সাগার’ নামে এক দিঘি খনন করান।

যুদ্ধজয়ের কারণেই দিঘিটির নাম হয় জয়সাগর। জয়সাগরের ৪ পাড়ে ২৮টি বাধা ঘাট দিয়ে জয়সাগর দীঘি তৈরি করা হলেও, বর্তমানে এ ঘাটের কোনো চিহ্ন নেই। বিকেল দীঘিটির ভেতরে রয়েছে ছোট ছোট কয়েকটি দীঘি। অতীতের জয়সাগরের জৌলুস আগের এত আর নেই। সংস্কারের অভাবে দীঘির পাড় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দীঘি এলাকায় অবাধে গবাদি পশু চড়ানো কারণে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। জয়সাগরের পূর্বপাশে দর্শনার্থীদের বসার জন্য সিমেন্টের চেয়ার এবং টয়লেট রয়েছে। কিন্তু অযত্মের কারণে সেগুলিও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য কোনো সুযোগ সুবিধা না থাকায় দিন দিন ঐতিহ্য হারাচ্ছে প্রাচীন এ দর্শনীয় স্থান।

বিগত বছরগুলোতে শীত মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি জয়সাগরে ভীড় করত। কিন্তু পরিবেশ বিপর্যয় ও শিকারিদের উৎপাতে অতিথি পাখিরা আর আসে না এখানে। কয়েক বছর ধরে সেখানে বিরানভাব বিরাজ করছে। জেলার উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থান হওয়া সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত এ দীঘিটির উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। কয়েক শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এ দীঘিটির সংস্কার ও উন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হলে জয়সাগর তার হারানো জৌলুস ফিরে পেয়ে হয়ে উঠতে পারে জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

দীঘিতে বেড়াতে আসা প্রবীন সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস জানান, আগে জয়সাগর দেখার জন্য নানা জায়গা থেকে দর্শনার্থী আসত। কিন্তু এখন ঐতিহ্য না থাকায় দিন দিন দর্শনার্থী আসা প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জয়সাগরকে রক্ষার জন্য সরকারি উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় প্রবীণরা জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেও জয়সাগরের চারপাশ বনজঙ্গলে ভরপুর ছিল। ছিল দিঘির চারপাশে বহু বেলগাছ। একটি কথা এখনও প্রচলিত আছে, যার মাথায় আছে তেল, সে খাবে জয়সাগরের বেল।

আশির দশক থেকে ২৫ বছর গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন লিজ নিয়ে সুফলভোগীদের নিয়ে এখানে মাছ চাষ করেছে। বর্তমানে নিমগাছী সমাজভিত্তিক মৎস্য চাষ প্রকল্পে (রাজস্ব) মাধ্যমে সুফলভোগীদের মাধ্যমে সরকারিভাবে মাছ চাষ করা হচ্ছে। জয়সাগর দিঘি দেখতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ আসেন। শীতকালে এ জলাশয়ে শত শত পাখি ভিড় জমায়। তখন বেড়াতে আসা মানুষের সংখ্যাও বেড়ে যায়। তবে এখানে বিশ্রামের জন্য রেস্টহাউস, বসার স্থান, খাবার, স্যানিটেশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তাদের বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহিনুর রহমান জানান, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে মৎস্য বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই থেকে জয়সাগরের পারে অবস্থানকারীদের সংগঠিত করে সমিতির মাধ্যমে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এতে সমিতিভুক্ত সদস্যরা আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছে।

ছবি

গোপালগঞ্জ: ৪ মামলায় আসামি ৩ হাজারের বেশি, গ্রেপ্তার ২৭৭

কুয়াকাটায় যুবক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, গ্রেপ্তার ২

মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলার প্রধান ডাকাতির অপরাধে গ্রেপ্তার

জগন্নাথপুরে অসহায়দের মাঝে ডেউটিন ও চেক বিতরণ

ছবি

মোরেলগঞ্জে ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন প্রতিবন্ধী মা-মেয়ের

ছবি

একটি মাত্র সেতু বদলে দিতে পারে ৫০ গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা

শরণখোলায় হরিণ শিকারীকে কারাদণ্ড

ছবি

মঠবাড়িয়ায় সড়ক ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী

বরুড়ায় জুলাই শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ

ছবি

বনাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে চাম কাঁঠাল বা চাপালিশ

ফেক আইডির টার্গেটে মুন্সীগঞ্জের বিএনপি নেতা দোলন!

ছবি

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের পর ফের কারফিউ, শনিবার রাত ৮টা থেকে কার্যকর

ডুমুরিয়ায় হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধি, বিপাকে সাধারণ মানুষ

গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ

রাণীশংকৈলে কবরস্থান থেকে ১০ কঙ্কাল চুরি

বরেন্দ্র জাদুঘরে ঐতিহ্য সংরক্ষণ প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় ধাপ শুরু

ছবি

গাছের সঙ্গে শত্রুতা!

সাপাহারে ‘ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’ উদ্বোধন

ছবি

ভৈরবে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর, আহত ৫

নিখোঁজের ৬ দিন পর হাওরে মিলল পাহারাদারের মরদেহ

মাধবদীতে ময়লা পানি নিষ্কাশন ড্রেনে বিস্ফোরণ

ছবি

বাড়ির আঙিনায় নিরাপদ পুষ্টি বাগানে ভাগ্যবদল নারীদের

গঙ্গাচড়ায় প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

চকরিয়ায় বনাঞ্চলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি

তিস্তার বুকে ৫ম সেতু, নতুন ভোরের প্রতীক্ষায় দুই পাড়ের মানুষ

শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল থেকে ফিরে পলাশের যুবদল নেতার মৃত্যু

ঘোড়াঘাটে নারীর মরদেহ উদ্ধার

শহীদ শাহরিয়ার শুভর মা-বাবা আজও ছেলের অপেক্ষায়

ছবি

চান্দিনায় জুলাই শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

বন্যহাতির তাণ্ডবে ফসলের ক্ষতি, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

গোপালগঞ্জে কারফিউ বাড়ল রোববার সকাল পর্যন্ত

ছবি

কেন্দুয়ায় হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

রামপালে ৩ মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

ছবি

মাদারগঞ্জ পৌরসভার ৪টি সড়কই চলাচলের অযোগ্য

হবিগঞ্জে ছড়ার বাঁধ কেটে যুবলীগ নেতার অবৈধ বালু ব্যবসা

উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ অটোভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার

tab

সারাদেশ

সিরাজগঞ্জে ঐতিহ্য হারাচ্ছে ৫০০ বছরের পুরোনো জয়সাগর দীঘি

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জ : ঐতিহ্যবাহী জয়সাগর দীঘি -সংবাদ

শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

সিরাজগঞ্জ সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার পশ্চিমে রায়গঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলায় যে কয়েকটি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৫০০ বছর আগের ‘জয়সাগর দিঘি’ অন্যতম। জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের নিমগাছিতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী জয়সাগর দীঘি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই দীঘির পাড়ে আসেন অসংখ্য দর্শনার্থী। অথচ সংস্কারের অভাবে দীঘির পাড় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া চারপাড়ে ২৮টি বাধা ঘাট থাকলেও এখন এর কোনো চিহ্ন নেই। সবমিলে বর্তমানে দীঘিটি ঐতিহ্য হারাচ্ছে। ঐতিহ্য রক্ষায় দীঘিটির সংস্কার বা উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় দর্শনার্থীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, দীঘিটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছিল আধা মাইল, আয়তন প্রায় ৫৮ একর। এই দিঘীটি নিয়ে অনেক লোককথা প্রচলিত আছে। সেন বংশীয় রাজা অচ্যুত সেন গৌড়াধিপতি ফিরোজ শাহর করদ রাজা ছিলেন। তার রাজধানী ছিল কমলাপুর। ফিরোজ শাহের ছেলে বাহাদুর শাহ অচ্যুত সেন রাজার কন্যা অপরূপ সুন্দরী ভদ্রাবতীকে দেখে মুগ্ধ হন। তিনি তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু রাজা অচ্যুত সেন সম্মত না হওয়ায় বাহাদুর শাহ কমলাপুর আক্রমণ করে ভদ্রাবতীকে অপহরণ করে নিমগাছিতে নিয়ে যান। রাজা অচ্যুত সেন তার সৈন্যবাহিনীসহ বাহাদুর শাহকে আক্রমণ করেন। নিমগাছিতে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক যুদ্ধ হয়। বাহাদুর শাহের মুষ্টিমেয় সৈন্য সেনরাজের বিরাট সৈন্যবাহিনীর কাছে যুদ্ধে (১৫৩২-৩৪ খ্রিস্টাব্দ) পরাজিত হন। এ বিজয় গৌরবের স্মৃতি হিসেবে এবং পরকালের কল্যাণের জন্য তিনি নিমগাছির কাছে ‘জয়সাগার’ নামে এক দিঘি খনন করান।

যুদ্ধজয়ের কারণেই দিঘিটির নাম হয় জয়সাগর। জয়সাগরের ৪ পাড়ে ২৮টি বাধা ঘাট দিয়ে জয়সাগর দীঘি তৈরি করা হলেও, বর্তমানে এ ঘাটের কোনো চিহ্ন নেই। বিকেল দীঘিটির ভেতরে রয়েছে ছোট ছোট কয়েকটি দীঘি। অতীতের জয়সাগরের জৌলুস আগের এত আর নেই। সংস্কারের অভাবে দীঘির পাড় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দীঘি এলাকায় অবাধে গবাদি পশু চড়ানো কারণে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। জয়সাগরের পূর্বপাশে দর্শনার্থীদের বসার জন্য সিমেন্টের চেয়ার এবং টয়লেট রয়েছে। কিন্তু অযত্মের কারণে সেগুলিও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য কোনো সুযোগ সুবিধা না থাকায় দিন দিন ঐতিহ্য হারাচ্ছে প্রাচীন এ দর্শনীয় স্থান।

বিগত বছরগুলোতে শীত মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি জয়সাগরে ভীড় করত। কিন্তু পরিবেশ বিপর্যয় ও শিকারিদের উৎপাতে অতিথি পাখিরা আর আসে না এখানে। কয়েক বছর ধরে সেখানে বিরানভাব বিরাজ করছে। জেলার উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থান হওয়া সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত এ দীঘিটির উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। কয়েক শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এ দীঘিটির সংস্কার ও উন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হলে জয়সাগর তার হারানো জৌলুস ফিরে পেয়ে হয়ে উঠতে পারে জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

দীঘিতে বেড়াতে আসা প্রবীন সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস জানান, আগে জয়সাগর দেখার জন্য নানা জায়গা থেকে দর্শনার্থী আসত। কিন্তু এখন ঐতিহ্য না থাকায় দিন দিন দর্শনার্থী আসা প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জয়সাগরকে রক্ষার জন্য সরকারি উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় প্রবীণরা জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেও জয়সাগরের চারপাশ বনজঙ্গলে ভরপুর ছিল। ছিল দিঘির চারপাশে বহু বেলগাছ। একটি কথা এখনও প্রচলিত আছে, যার মাথায় আছে তেল, সে খাবে জয়সাগরের বেল।

আশির দশক থেকে ২৫ বছর গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন লিজ নিয়ে সুফলভোগীদের নিয়ে এখানে মাছ চাষ করেছে। বর্তমানে নিমগাছী সমাজভিত্তিক মৎস্য চাষ প্রকল্পে (রাজস্ব) মাধ্যমে সুফলভোগীদের মাধ্যমে সরকারিভাবে মাছ চাষ করা হচ্ছে। জয়সাগর দিঘি দেখতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ আসেন। শীতকালে এ জলাশয়ে শত শত পাখি ভিড় জমায়। তখন বেড়াতে আসা মানুষের সংখ্যাও বেড়ে যায়। তবে এখানে বিশ্রামের জন্য রেস্টহাউস, বসার স্থান, খাবার, স্যানিটেশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তাদের বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহিনুর রহমান জানান, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে মৎস্য বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই থেকে জয়সাগরের পারে অবস্থানকারীদের সংগঠিত করে সমিতির মাধ্যমে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এতে সমিতিভুক্ত সদস্যরা আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছে।

back to top