alt

সারাদেশ

বনাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে চাম কাঁঠাল বা চাপালিশ

প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে বিলুপ্তির পথে চাম কাঁঠাল বা চাপালিশ। চামকাঠাল এক ধরনের সুস্বাদু কাঁঠাল। বিশেষ করে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন বনাঞ্চলে এগুলো পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে এই ফলটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। পাহাড়ে এলাকায় উৎপাদিত চাম কাঁঠাল শ্রীমঙ্গল শহরের বাজারে ইতিপূর্বে প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হত। খেতেও খুব সুস্বাদু। এগুলোকে পাহাড়ি বা বন কাঁঠালও বলা হয়ে থাকে। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, বড়লেখা, কুলাউড়া, জুড়ী ও হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট ইত্যাদি এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত।

ফলটির নাম ‘চাম কাঁঠাল’। দেখতে কাঁঠালের এত হলেও আকারে অনেক ছোট। এর আকার অনেকটা ছোট বেলুনের মতো। এই কাঁঠালের কোষগুলোও ক্ষুদ্র। কিন্তু খুব সুস্বাদু। টক এবং মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে ‘চাম কাঁঠাল’। পাহাড়ি এলাকা ছাড়া এই গাছটিকে থাকে না। ফলে সহজে এই গাছের দেখা মেলে না। এই ফলটিকে অন্যান্য এলাকায় চাম কাঁঠাল’ চাম্বল, চাম্বুল, চাম, কাঁঠালি চাম্বুল ইত্যাদি নামে পরিচিত।

চাম কাঁঠালকে ইংরেজিতে Monkey Jack বলে যার বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus chaplasha। এটি Moraceae পরিবারের উদ্ভিদ। নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে প্রাকৃতিক অবস্থায় চাপালিশের বংশবৃদ্ধি কমে গেছে।

চাপালিশ উঁচু পত্রঝরা গাছ, ৩০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। ডাল ভাঙলে দুধের মতো ল্যাটেক্স বের হয়। গাছের কচি কাণ্ড রোম দিয়ে ঢাকা। বোঁটাযুক্ত, উপপত্র বড় এবং এটি কাণ্ডকে ঘিরে রাখে। চারার চেয়ে বড় গাছ এবং নতুন ডগার পাতা অনেক বড়। ফুল ও ফল আসে এপ্রিল থেকে আগস্টে।

চাপালিশ সাধারণত ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দেখা যায়। চাপালিশ (Artocarpus chama) এর কচি ফল, এমনকি বীজেরও কিছু খাদ্য ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। পরিপক্ক ফল সাধারণত হালকা টক-মিষ্টি হওয়ায় এতে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে যা তাৎক্ষণিক শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজমে সহায়ক এবং অন্ত্রে মল চলাচল সহজ করে। এতে ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন আছে, যা শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে সাহায্য করে। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে। কাঁঠালের মতোই এর বীজে প্রোটিন ও স্টার্চ থাকে যা ভেজে ও রান্না করে খাওয়া যায়।

চাপালিশ ফলের বীজ আগুনে পুড়িয়ে খাওয়া যায়। স্বাদে আনেকটা চীনা বাদামের মতো। ফল হাতির খুবই প্রিয় খাবার। এই গাছের কাঠ বাদামি, শক্ত, মজবুত, টেকসই ও মসৃণ। দরজা-জানালা, আসবাবপত্র এবং রেল পথের স্লিপার তৈরির জন্য বেশি ব্যবহৃত হয়।

বন এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে চাপালিশের বীজ থেকে চারা ও গাছ জন্মায়। জুন-জুলাই মাসে সংগৃহীত পরিপক্ব ফল ৫ থেকে ৬ দিন রেখে দিলে পচে যায়। এ অবস্থায় পানিতে ধুয়ে বীজ বের করে পলিব্যাগে বপন করে বীজ তৈরি করা যায়। মৌলভীবাজারে প্রতিটি চাম কাঁঠাল ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।

দেশে মধুপুর বনাঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পাহাড়ি বন এবং সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে এই গাছ বেশি জন্মায়। এ ছাড়াও কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় এলাকায়, ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, ভালুকায় এবং ত্রিশাল উপজেলায় এবং ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানেও এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। রাঙামাটি জেলা শহরে ৩১৬ বছরের বেশি বয়সি একটি চাপালিশ গাছ এখনওটিকে আছে।

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে একটি শতবর্ষী চাপালিশ ও হবিগঞ্জ জেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে রয়েছে বলে জানা গেছে।

ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের ৩৫ নং সেকশনে লাগানো চাপালিশের গাছ সংরক্ষিত অবস্থায় দেখা যায়। ময়মনসিংহের মধুপুরের রসুলপুরের বনে চাপালিশ গাছ আছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহের মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সামনে কয়েকটি চাপালিশ গাছ রয়েছে।

পাহাড় ঘেরা শহর রাঙামাটির জেলা প্রশাসকের বাংলোর প্রবেশ পথের পাশেই ৩১৮ বছরের পুরনো একটি চাপালির গাছ রয়েছে। গাছটির দৈর্ঘ্য ১০৩ ফুট এবং পরিধি ২৫ ফুট।

বাংলাদেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে চাপালিশ কাঁঠাল বা চাম কাঁঠাল বন্যপ্রাণীর মধ্যে বানর, হনুমান, উল্লুক, এবং গন্ধগোকুল জাতীয় প্রাণীর প্রিয় খাদ্য। এ ছাড়াও, চাপালিশ ফল হাতি এবং অন্যান্য প্রাণীও খেয়ে থাকে।

ছবি

গোপালগঞ্জ: ৪ মামলায় আসামি ৩ হাজারের বেশি, গ্রেপ্তার ২৭৭

কুয়াকাটায় যুবক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, গ্রেপ্তার ২

মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলার প্রধান ডাকাতির অপরাধে গ্রেপ্তার

জগন্নাথপুরে অসহায়দের মাঝে ডেউটিন ও চেক বিতরণ

ছবি

মোরেলগঞ্জে ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন প্রতিবন্ধী মা-মেয়ের

ছবি

একটি মাত্র সেতু বদলে দিতে পারে ৫০ গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা

শরণখোলায় হরিণ শিকারীকে কারাদণ্ড

ছবি

মঠবাড়িয়ায় সড়ক ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী

বরুড়ায় জুলাই শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ

ফেক আইডির টার্গেটে মুন্সীগঞ্জের বিএনপি নেতা দোলন!

ছবি

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের পর ফের কারফিউ, শনিবার রাত ৮টা থেকে কার্যকর

ছবি

সিরাজগঞ্জে ঐতিহ্য হারাচ্ছে ৫০০ বছরের পুরোনো জয়সাগর দীঘি

ডুমুরিয়ায় হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধি, বিপাকে সাধারণ মানুষ

গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ

রাণীশংকৈলে কবরস্থান থেকে ১০ কঙ্কাল চুরি

বরেন্দ্র জাদুঘরে ঐতিহ্য সংরক্ষণ প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় ধাপ শুরু

ছবি

গাছের সঙ্গে শত্রুতা!

সাপাহারে ‘ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’ উদ্বোধন

ছবি

ভৈরবে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর, আহত ৫

নিখোঁজের ৬ দিন পর হাওরে মিলল পাহারাদারের মরদেহ

মাধবদীতে ময়লা পানি নিষ্কাশন ড্রেনে বিস্ফোরণ

ছবি

বাড়ির আঙিনায় নিরাপদ পুষ্টি বাগানে ভাগ্যবদল নারীদের

গঙ্গাচড়ায় প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

চকরিয়ায় বনাঞ্চলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি

তিস্তার বুকে ৫ম সেতু, নতুন ভোরের প্রতীক্ষায় দুই পাড়ের মানুষ

শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল থেকে ফিরে পলাশের যুবদল নেতার মৃত্যু

ঘোড়াঘাটে নারীর মরদেহ উদ্ধার

শহীদ শাহরিয়ার শুভর মা-বাবা আজও ছেলের অপেক্ষায়

ছবি

চান্দিনায় জুলাই শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

বন্যহাতির তাণ্ডবে ফসলের ক্ষতি, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

গোপালগঞ্জে কারফিউ বাড়ল রোববার সকাল পর্যন্ত

ছবি

কেন্দুয়ায় হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

রামপালে ৩ মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

ছবি

মাদারগঞ্জ পৌরসভার ৪টি সড়কই চলাচলের অযোগ্য

হবিগঞ্জে ছড়ার বাঁধ কেটে যুবলীগ নেতার অবৈধ বালু ব্যবসা

উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ অটোভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার

tab

সারাদেশ

বনাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে চাম কাঁঠাল বা চাপালিশ

প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)

শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে বিলুপ্তির পথে চাম কাঁঠাল বা চাপালিশ। চামকাঠাল এক ধরনের সুস্বাদু কাঁঠাল। বিশেষ করে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন বনাঞ্চলে এগুলো পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে এই ফলটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। পাহাড়ে এলাকায় উৎপাদিত চাম কাঁঠাল শ্রীমঙ্গল শহরের বাজারে ইতিপূর্বে প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হত। খেতেও খুব সুস্বাদু। এগুলোকে পাহাড়ি বা বন কাঁঠালও বলা হয়ে থাকে। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, বড়লেখা, কুলাউড়া, জুড়ী ও হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট ইত্যাদি এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত।

ফলটির নাম ‘চাম কাঁঠাল’। দেখতে কাঁঠালের এত হলেও আকারে অনেক ছোট। এর আকার অনেকটা ছোট বেলুনের মতো। এই কাঁঠালের কোষগুলোও ক্ষুদ্র। কিন্তু খুব সুস্বাদু। টক এবং মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে ‘চাম কাঁঠাল’। পাহাড়ি এলাকা ছাড়া এই গাছটিকে থাকে না। ফলে সহজে এই গাছের দেখা মেলে না। এই ফলটিকে অন্যান্য এলাকায় চাম কাঁঠাল’ চাম্বল, চাম্বুল, চাম, কাঁঠালি চাম্বুল ইত্যাদি নামে পরিচিত।

চাম কাঁঠালকে ইংরেজিতে Monkey Jack বলে যার বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus chaplasha। এটি Moraceae পরিবারের উদ্ভিদ। নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে প্রাকৃতিক অবস্থায় চাপালিশের বংশবৃদ্ধি কমে গেছে।

চাপালিশ উঁচু পত্রঝরা গাছ, ৩০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। ডাল ভাঙলে দুধের মতো ল্যাটেক্স বের হয়। গাছের কচি কাণ্ড রোম দিয়ে ঢাকা। বোঁটাযুক্ত, উপপত্র বড় এবং এটি কাণ্ডকে ঘিরে রাখে। চারার চেয়ে বড় গাছ এবং নতুন ডগার পাতা অনেক বড়। ফুল ও ফল আসে এপ্রিল থেকে আগস্টে।

চাপালিশ সাধারণত ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দেখা যায়। চাপালিশ (Artocarpus chama) এর কচি ফল, এমনকি বীজেরও কিছু খাদ্য ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। পরিপক্ক ফল সাধারণত হালকা টক-মিষ্টি হওয়ায় এতে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে যা তাৎক্ষণিক শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজমে সহায়ক এবং অন্ত্রে মল চলাচল সহজ করে। এতে ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন আছে, যা শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে সাহায্য করে। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে। কাঁঠালের মতোই এর বীজে প্রোটিন ও স্টার্চ থাকে যা ভেজে ও রান্না করে খাওয়া যায়।

চাপালিশ ফলের বীজ আগুনে পুড়িয়ে খাওয়া যায়। স্বাদে আনেকটা চীনা বাদামের মতো। ফল হাতির খুবই প্রিয় খাবার। এই গাছের কাঠ বাদামি, শক্ত, মজবুত, টেকসই ও মসৃণ। দরজা-জানালা, আসবাবপত্র এবং রেল পথের স্লিপার তৈরির জন্য বেশি ব্যবহৃত হয়।

বন এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে চাপালিশের বীজ থেকে চারা ও গাছ জন্মায়। জুন-জুলাই মাসে সংগৃহীত পরিপক্ব ফল ৫ থেকে ৬ দিন রেখে দিলে পচে যায়। এ অবস্থায় পানিতে ধুয়ে বীজ বের করে পলিব্যাগে বপন করে বীজ তৈরি করা যায়। মৌলভীবাজারে প্রতিটি চাম কাঁঠাল ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।

দেশে মধুপুর বনাঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পাহাড়ি বন এবং সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে এই গাছ বেশি জন্মায়। এ ছাড়াও কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় এলাকায়, ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, ভালুকায় এবং ত্রিশাল উপজেলায় এবং ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানেও এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। রাঙামাটি জেলা শহরে ৩১৬ বছরের বেশি বয়সি একটি চাপালিশ গাছ এখনওটিকে আছে।

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে একটি শতবর্ষী চাপালিশ ও হবিগঞ্জ জেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে রয়েছে বলে জানা গেছে।

ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের ৩৫ নং সেকশনে লাগানো চাপালিশের গাছ সংরক্ষিত অবস্থায় দেখা যায়। ময়মনসিংহের মধুপুরের রসুলপুরের বনে চাপালিশ গাছ আছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহের মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সামনে কয়েকটি চাপালিশ গাছ রয়েছে।

পাহাড় ঘেরা শহর রাঙামাটির জেলা প্রশাসকের বাংলোর প্রবেশ পথের পাশেই ৩১৮ বছরের পুরনো একটি চাপালির গাছ রয়েছে। গাছটির দৈর্ঘ্য ১০৩ ফুট এবং পরিধি ২৫ ফুট।

বাংলাদেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে চাপালিশ কাঁঠাল বা চাম কাঁঠাল বন্যপ্রাণীর মধ্যে বানর, হনুমান, উল্লুক, এবং গন্ধগোকুল জাতীয় প্রাণীর প্রিয় খাদ্য। এ ছাড়াও, চাপালিশ ফল হাতি এবং অন্যান্য প্রাণীও খেয়ে থাকে।

back to top