আগৈলঝাড়া (বরিশাল) : সেতু না থাকায় নৌকা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার -সংবাদ
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের বাগধা গ্রামের সন্ধ্যা নদীতে সেতু না থাকায় আশপাশের ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয়রা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়ানৌকায় নদী পার হচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য এটি প্রতিনিয়ত বিপজ্জনক হয়ে ওঠছে। দীর্ঘদিন ধরে একটি সেতুর দাবিতে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোনো ফল পাননিভুক্তভোগীরা। এলজিইডি বা সেতু বিভাগ এখনও এ বিষয়ে সুনজর দেয়নি।
বিকল্প সেতু না থাকায় পয়সারহাট, বাগধা ও আমবৌলা গ্রামের মানুষকে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে গোপালগঞ্জ-খুলনা মহাসড়কের পয়সারহাট সেতু ব্যবহার করতে হয়।
নদীর পশ্চিম পাড়ে একাধিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বাজার থাকায় পূর্বপাড়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা খেয়ানৌকা। খেয়া পার হতে যেখানে সময় লাগে ১০-১৫ মিনিট, সেখানে পয়সারহাট সেতু ঘুরে যাতায়াতে সময় লাগে ৪০-৫০ মিনিট। ফলে সহস্রাধিক স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে খেয়া ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
নদীর পূর্বপাড়ে অন্তত ২৫ জন যাত্রী খেয়ায় চড়েন যাদের মধ্যে ১০ জনের বেশি ছাত্রীও রয়েছে। এই দৃশ্য প্রতিদিনের। এলাকাবাসীর মতে, এই একটি সেতুর অভাবে ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
নদীর পূর্বপাড়ে অবস্থিত রয়েছে একাধিক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা। পশ্চিমপাড়ে রয়েছে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউপি কার্যালয়। ফলে প্রতিদিনই উভয় পাড়ের মানুষকে পার হতে হয়।
স্থানীয় শিক্ষক মজিবর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এপাড় থেকে ওপাড়ে যাতায়াত করেন। এখানে একটি সেতু নির্মাণ হলে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ উপকৃত হবে। এলাকাবাসী জানান, সেতুটি নির্মিত হলে শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়ন ছাড়াও এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, বাগধা খেয়াঘাটে একটি সেতু নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা এখনও নেয়া হয়নি। গত বছর নদীর দুই পাড়ে ঘাটলা স্থাপন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
আগৈলঝাড়া (বরিশাল) : সেতু না থাকায় নৌকা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার -সংবাদ
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের বাগধা গ্রামের সন্ধ্যা নদীতে সেতু না থাকায় আশপাশের ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয়রা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়ানৌকায় নদী পার হচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য এটি প্রতিনিয়ত বিপজ্জনক হয়ে ওঠছে। দীর্ঘদিন ধরে একটি সেতুর দাবিতে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোনো ফল পাননিভুক্তভোগীরা। এলজিইডি বা সেতু বিভাগ এখনও এ বিষয়ে সুনজর দেয়নি।
বিকল্প সেতু না থাকায় পয়সারহাট, বাগধা ও আমবৌলা গ্রামের মানুষকে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে গোপালগঞ্জ-খুলনা মহাসড়কের পয়সারহাট সেতু ব্যবহার করতে হয়।
নদীর পশ্চিম পাড়ে একাধিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বাজার থাকায় পূর্বপাড়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা খেয়ানৌকা। খেয়া পার হতে যেখানে সময় লাগে ১০-১৫ মিনিট, সেখানে পয়সারহাট সেতু ঘুরে যাতায়াতে সময় লাগে ৪০-৫০ মিনিট। ফলে সহস্রাধিক স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে খেয়া ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
নদীর পূর্বপাড়ে অন্তত ২৫ জন যাত্রী খেয়ায় চড়েন যাদের মধ্যে ১০ জনের বেশি ছাত্রীও রয়েছে। এই দৃশ্য প্রতিদিনের। এলাকাবাসীর মতে, এই একটি সেতুর অভাবে ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
নদীর পূর্বপাড়ে অবস্থিত রয়েছে একাধিক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা। পশ্চিমপাড়ে রয়েছে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউপি কার্যালয়। ফলে প্রতিদিনই উভয় পাড়ের মানুষকে পার হতে হয়।
স্থানীয় শিক্ষক মজিবর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এপাড় থেকে ওপাড়ে যাতায়াত করেন। এখানে একটি সেতু নির্মাণ হলে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ উপকৃত হবে। এলাকাবাসী জানান, সেতুটি নির্মিত হলে শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়ন ছাড়াও এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, বাগধা খেয়াঘাটে একটি সেতু নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা এখনও নেয়া হয়নি। গত বছর নদীর দুই পাড়ে ঘাটলা স্থাপন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।