alt

সারাদেশ

কুয়াকাটায় যুবক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, গ্রেপ্তার ২

প্রতিনিধি, কুয়াকাটা : শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নিখোঁজের দুই দিন পর মো. সবুজ হাওলাদার (২৩) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে মহিপুর থানা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ৮ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার ও সবুজের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. আবুল বসার হাওলাদার বাদী হয়ে শনিবার,(১৯ জুলাই ২০২৫) মহিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-১৪। শনিবার বিকেল ৪টায় মহিপুর থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কলাপাড়া সার্কেল) সমীর সরকার।

তিনি জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৮ জুলাই দুপুর সাড়ে ৩টায় মহিপুর থানাধীন কুয়াকাটা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কুয়াকাটার আ. বারেক হাওলাদারের বাড়ির পাশে একটি জঙ্গলের মধ্য থেকে সবুজ হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সবুজ হাওলাদার শরীফপুর ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তদন্তে নেমে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে লাল চাঁন (২৪) নামে এক যুবককে ১৯ জুলাই ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাল চাঁন হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তাদের পারিবারিক আত্মীয়তার সম্পর্ক এবং মোবাইল গেম ও আড্ডার সূত্র ধরে সবুজ, লাল চাঁন ও বেল্লাল একসঙ্গে চলাফেরা করতেন।

হত্যার পেছনে পূর্বের টাকা-পয়সাসংক্রান্ত বিরোধ এবং একটি মোবাইল ভিডিও ছিল মূল কারণ। ঘটনার দিন রাত পৌনে নয়টায় সবুজ হাওলাদার আসামি লাল চাঁনের মোবাইল দিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে নিজের মোবাইল দিয়ে লাল চাঁনের শরীরের ভিডিও ধারণ করে। ভিডিওটি অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিলে দু’জনের মধ্যে বাগবিত-া হয়। এরপর অন্য অভিযুক্ত মো. বেল্লাল ঘটনাস্থলে এসে যোগ দেয়।

পুলিশ জানায়, পরিকল্পিতভাবে রাত সোয়া ১টার দিকে তারা সবুজ হাওলাদারকে পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং লাশ লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যায়।

পরে লাল চাঁনের ঘর থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।

লাল চাঁনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, অন্য আসামি বেল্লালকেও একই দিন সকাল সাড়ে ৬টায় গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা উভয়েই হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করেছে।

মহিপুর থানার ওসি মাহমুদ হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত চলছে।’

ছবি

গোপালগঞ্জ: ৪ মামলায় আসামি ৩ হাজারের বেশি, গ্রেপ্তার ২৭৭

মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলার প্রধান ডাকাতির অপরাধে গ্রেপ্তার

জগন্নাথপুরে অসহায়দের মাঝে ডেউটিন ও চেক বিতরণ

ছবি

মোরেলগঞ্জে ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন প্রতিবন্ধী মা-মেয়ের

ছবি

একটি মাত্র সেতু বদলে দিতে পারে ৫০ গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা

শরণখোলায় হরিণ শিকারীকে কারাদণ্ড

ছবি

মঠবাড়িয়ায় সড়ক ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী

বরুড়ায় জুলাই শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ

ছবি

বনাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে চাম কাঁঠাল বা চাপালিশ

ফেক আইডির টার্গেটে মুন্সীগঞ্জের বিএনপি নেতা দোলন!

ছবি

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের পর ফের কারফিউ, শনিবার রাত ৮টা থেকে কার্যকর

ছবি

সিরাজগঞ্জে ঐতিহ্য হারাচ্ছে ৫০০ বছরের পুরোনো জয়সাগর দীঘি

ডুমুরিয়ায় হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধি, বিপাকে সাধারণ মানুষ

গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ

রাণীশংকৈলে কবরস্থান থেকে ১০ কঙ্কাল চুরি

বরেন্দ্র জাদুঘরে ঐতিহ্য সংরক্ষণ প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় ধাপ শুরু

ছবি

গাছের সঙ্গে শত্রুতা!

সাপাহারে ‘ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’ উদ্বোধন

ছবি

ভৈরবে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর, আহত ৫

নিখোঁজের ৬ দিন পর হাওরে মিলল পাহারাদারের মরদেহ

মাধবদীতে ময়লা পানি নিষ্কাশন ড্রেনে বিস্ফোরণ

ছবি

বাড়ির আঙিনায় নিরাপদ পুষ্টি বাগানে ভাগ্যবদল নারীদের

গঙ্গাচড়ায় প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

চকরিয়ায় বনাঞ্চলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি

তিস্তার বুকে ৫ম সেতু, নতুন ভোরের প্রতীক্ষায় দুই পাড়ের মানুষ

শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল থেকে ফিরে পলাশের যুবদল নেতার মৃত্যু

ঘোড়াঘাটে নারীর মরদেহ উদ্ধার

শহীদ শাহরিয়ার শুভর মা-বাবা আজও ছেলের অপেক্ষায়

ছবি

চান্দিনায় জুলাই শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

বন্যহাতির তাণ্ডবে ফসলের ক্ষতি, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

গোপালগঞ্জে কারফিউ বাড়ল রোববার সকাল পর্যন্ত

ছবি

কেন্দুয়ায় হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

রামপালে ৩ মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

ছবি

মাদারগঞ্জ পৌরসভার ৪টি সড়কই চলাচলের অযোগ্য

হবিগঞ্জে ছড়ার বাঁধ কেটে যুবলীগ নেতার অবৈধ বালু ব্যবসা

উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ অটোভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার

tab

সারাদেশ

কুয়াকাটায় যুবক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, গ্রেপ্তার ২

প্রতিনিধি, কুয়াকাটা

শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নিখোঁজের দুই দিন পর মো. সবুজ হাওলাদার (২৩) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে মহিপুর থানা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ৮ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার ও সবুজের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. আবুল বসার হাওলাদার বাদী হয়ে শনিবার,(১৯ জুলাই ২০২৫) মহিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-১৪। শনিবার বিকেল ৪টায় মহিপুর থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কলাপাড়া সার্কেল) সমীর সরকার।

তিনি জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৮ জুলাই দুপুর সাড়ে ৩টায় মহিপুর থানাধীন কুয়াকাটা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কুয়াকাটার আ. বারেক হাওলাদারের বাড়ির পাশে একটি জঙ্গলের মধ্য থেকে সবুজ হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সবুজ হাওলাদার শরীফপুর ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তদন্তে নেমে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে লাল চাঁন (২৪) নামে এক যুবককে ১৯ জুলাই ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাল চাঁন হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তাদের পারিবারিক আত্মীয়তার সম্পর্ক এবং মোবাইল গেম ও আড্ডার সূত্র ধরে সবুজ, লাল চাঁন ও বেল্লাল একসঙ্গে চলাফেরা করতেন।

হত্যার পেছনে পূর্বের টাকা-পয়সাসংক্রান্ত বিরোধ এবং একটি মোবাইল ভিডিও ছিল মূল কারণ। ঘটনার দিন রাত পৌনে নয়টায় সবুজ হাওলাদার আসামি লাল চাঁনের মোবাইল দিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে নিজের মোবাইল দিয়ে লাল চাঁনের শরীরের ভিডিও ধারণ করে। ভিডিওটি অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিলে দু’জনের মধ্যে বাগবিত-া হয়। এরপর অন্য অভিযুক্ত মো. বেল্লাল ঘটনাস্থলে এসে যোগ দেয়।

পুলিশ জানায়, পরিকল্পিতভাবে রাত সোয়া ১টার দিকে তারা সবুজ হাওলাদারকে পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং লাশ লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যায়।

পরে লাল চাঁনের ঘর থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।

লাল চাঁনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, অন্য আসামি বেল্লালকেও একই দিন সকাল সাড়ে ৬টায় গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা উভয়েই হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করেছে।

মহিপুর থানার ওসি মাহমুদ হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত চলছে।’

back to top