টঙ্গীবাড়ী : নির্মাণ কাজের অনিয়মের কারছে সেতুতে ফাটল -সংবাদ
টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড়ের নির্মাণাধীন সেতুতে উদ্বোধনের আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে। সেতুটির নির্মাণকাজে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ফলে সেতু নির্মাণকাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিংবা সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি আছে এমনটাই বলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুটির মূল অবকাঠামোর নির্মাণকাজ শেষ। মূল অবকাঠামোর নিচের অংশে কোথাও কোথাও ঢালাই ভেঙে পড়েছে।
ফাটলগুলো বালু-সিমেন্ট দিয়ে সংস্কারের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এসব অভিযোগ টঙ্গীবাড়ী পিআইও কে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন নির্মাণকাজ শেষ না হতেই সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও টঙ্গীবাড়ীর পিআইও এর দায়িত্বহীনতার কারণে সেতুর মূল অবকাঠামোর নিচে ফাটল ধরেছে।
স্থানীয়দের পক্ষে শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন জানান, এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত কমপক্ষে দুই হাজার গ্রামবাসী চলাচল করে। সেতুটি পুরোপুরি নির্মাণ হওয়ার আগে বিভিন্ন অংশে সিমেন্ট ঝরে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বাসিন্দাদের দাবি এতদিন আমরা কষ্ট ভোগ করার পর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে এমন মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে কাজটি অপরিপক্ক হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছে তারা।
রমজান বেপারী বলেন, ভারী বৃষ্টি হলেই সড়কটি ধসে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে সেতুটির সঙ্গে। এই সড়কটি দিয়ে শরীয়তপুরের কাঁচিকাঁটা ও নওপাড়ার ইউনিয়নের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে।
সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের রাজাবাড়ি চর গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল মাদবর বলেন, নির্মাণের সময় সেতুতে দিনে-রাতে ঢালাই দেয়া হয়েছে। এই সেতুটি অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে কাজ করা হয়েছে।
ঢালাই দেয়ার সময় সরকারি লোক উপস্থিত ছিলেন না। ঢালাইতে সিমেন্ট কম দেয়ায় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে।
উদ্বোধনের আগেই যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে সহজেই বোঝা যায় কেমন সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে এই প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার শাহাদাত হোসেনের মুঠোফোনে একাধিক ফোন করলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. স্বপন মাতাব্বর বলেন, এ সেতু দুটি কাজ এখনও চলমান রয়েছে। কাজ আমাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়নি।
টঙ্গীবাড়ী : নির্মাণ কাজের অনিয়মের কারছে সেতুতে ফাটল -সংবাদ
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড়ের নির্মাণাধীন সেতুতে উদ্বোধনের আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে। সেতুটির নির্মাণকাজে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ফলে সেতু নির্মাণকাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিংবা সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি আছে এমনটাই বলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুটির মূল অবকাঠামোর নির্মাণকাজ শেষ। মূল অবকাঠামোর নিচের অংশে কোথাও কোথাও ঢালাই ভেঙে পড়েছে।
ফাটলগুলো বালু-সিমেন্ট দিয়ে সংস্কারের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এসব অভিযোগ টঙ্গীবাড়ী পিআইও কে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন নির্মাণকাজ শেষ না হতেই সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও টঙ্গীবাড়ীর পিআইও এর দায়িত্বহীনতার কারণে সেতুর মূল অবকাঠামোর নিচে ফাটল ধরেছে।
স্থানীয়দের পক্ষে শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন জানান, এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত কমপক্ষে দুই হাজার গ্রামবাসী চলাচল করে। সেতুটি পুরোপুরি নির্মাণ হওয়ার আগে বিভিন্ন অংশে সিমেন্ট ঝরে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বাসিন্দাদের দাবি এতদিন আমরা কষ্ট ভোগ করার পর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে এমন মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে কাজটি অপরিপক্ক হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছে তারা।
রমজান বেপারী বলেন, ভারী বৃষ্টি হলেই সড়কটি ধসে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে সেতুটির সঙ্গে। এই সড়কটি দিয়ে শরীয়তপুরের কাঁচিকাঁটা ও নওপাড়ার ইউনিয়নের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে।
সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের রাজাবাড়ি চর গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল মাদবর বলেন, নির্মাণের সময় সেতুতে দিনে-রাতে ঢালাই দেয়া হয়েছে। এই সেতুটি অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে কাজ করা হয়েছে।
ঢালাই দেয়ার সময় সরকারি লোক উপস্থিত ছিলেন না। ঢালাইতে সিমেন্ট কম দেয়ায় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে।
উদ্বোধনের আগেই যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে সহজেই বোঝা যায় কেমন সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে এই প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার শাহাদাত হোসেনের মুঠোফোনে একাধিক ফোন করলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. স্বপন মাতাব্বর বলেন, এ সেতু দুটি কাজ এখনও চলমান রয়েছে। কাজ আমাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়নি।