শরণখোলা : হরিণ শিকারের ফাঁদসহ কারেন্ট জাল জব্দ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা -সংবাদ
সুন্দরবন থেকে ট্রলার ভর্তি হরিণ শিকারের মালাফাঁদ, বিপুল পরিমাণ বরফ, দাঁড়িপল্লা, ছুরি ও বিভিন্ন মালামাল জব্দ করেছেন বনরক্ষীরা। রবিবার(২০-০৭-২০২৫) সকালে পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্যের টাইগার ভারাণী এলাকায় অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয় হরিণ শিকারের এসব সরঞ্জাম।
উদ্ধার করা ফাঁদের পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার ফুট- যা সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অভিযানে এককালীন উদ্ধার হওয়া ফাঁদের মধ্যে পরিমাণে সর্বাধিক বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার মতিউর রহমান বলেন গোপন সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে একটি শিকারী দল বনে প্রবেশ করেছে। সে অনুযায়ী খুব কৌশলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। শিকারীরা তাদের ট্রলারে অবস্স্থান নিয়ে হরিণ শিকারের পরিকল্পনা করছিলেন।
এ সময় আমরা তাদের ট্রলারের কাছাকাছি গেলে শিকারী দলের পাঁচ থেকে ছয় জন সদস্য ট্রলার থেকে লাফিয়ে পড়ে গহীন বনে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি।
পরে ট্রলার থেকে তিনটি প্লাস্টিকের বস্তা ভর্তি নাইলনের সুতার তৈরি ৮০ কেজি (এক কেজিতে প্রায় ১০০ ফুট) মালাফাঁদ, ট্রলারের খোন্দলে থাকা বিপুল পরিমাণ বরফ ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে যতগুলো অভিযান হয়েছে তাতে এককালীন উদ্ধার হওয়া ফাঁদের মধ্যে এটিই পরিমাণে সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন এই বন কর্মকর্তা।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব ফাঁদ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বড় ধরণের পরিকল্পনা ছিল শিকারীদের।
বহু হরিণ মারা পড়তো এই ফাঁদে। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারির কারণে অভিযান সফল হয়েছে। পলাতক শিকারীদের ধরতে বনে তল্লাশি চলছে। এ ছাড়া অভিযান তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।
শরণখোলা : হরিণ শিকারের ফাঁদসহ কারেন্ট জাল জব্দ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা -সংবাদ
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
সুন্দরবন থেকে ট্রলার ভর্তি হরিণ শিকারের মালাফাঁদ, বিপুল পরিমাণ বরফ, দাঁড়িপল্লা, ছুরি ও বিভিন্ন মালামাল জব্দ করেছেন বনরক্ষীরা। রবিবার(২০-০৭-২০২৫) সকালে পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্যের টাইগার ভারাণী এলাকায় অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয় হরিণ শিকারের এসব সরঞ্জাম।
উদ্ধার করা ফাঁদের পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার ফুট- যা সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অভিযানে এককালীন উদ্ধার হওয়া ফাঁদের মধ্যে পরিমাণে সর্বাধিক বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার মতিউর রহমান বলেন গোপন সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে একটি শিকারী দল বনে প্রবেশ করেছে। সে অনুযায়ী খুব কৌশলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। শিকারীরা তাদের ট্রলারে অবস্স্থান নিয়ে হরিণ শিকারের পরিকল্পনা করছিলেন।
এ সময় আমরা তাদের ট্রলারের কাছাকাছি গেলে শিকারী দলের পাঁচ থেকে ছয় জন সদস্য ট্রলার থেকে লাফিয়ে পড়ে গহীন বনে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি।
পরে ট্রলার থেকে তিনটি প্লাস্টিকের বস্তা ভর্তি নাইলনের সুতার তৈরি ৮০ কেজি (এক কেজিতে প্রায় ১০০ ফুট) মালাফাঁদ, ট্রলারের খোন্দলে থাকা বিপুল পরিমাণ বরফ ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে যতগুলো অভিযান হয়েছে তাতে এককালীন উদ্ধার হওয়া ফাঁদের মধ্যে এটিই পরিমাণে সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন এই বন কর্মকর্তা।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব ফাঁদ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বড় ধরণের পরিকল্পনা ছিল শিকারীদের।
বহু হরিণ মারা পড়তো এই ফাঁদে। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারির কারণে অভিযান সফল হয়েছে। পলাতক শিকারীদের ধরতে বনে তল্লাশি চলছে। এ ছাড়া অভিযান তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।