দুমকি (পটুয়াখালী) : অবৈধ জাল দিয়ে মাছ নিধন -সংবাদ
পটুয়াখালীর দুমকিতে যত্রতত্র নানা ধরনের নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে চলছে মৎস্য নিধন। সরকারি নিয়ম না মেনে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করায় মা-মাছসহ ছোট ছোট মাছ বিলুপ্তির পথে। উপজেলার ডাকাতিয়া, কোহারজোর, জামলা, আঙ্গারিয়ার, মোল্লখালী, বাদ্দার, কচ্ছপিয়ার, গাবতলির খাল, দাসপারা খাল, কদমতলার খাল, পিছাখালী, চরবয়ড়া ডাঙ্গা, শিকদারের খাল ও ক্যাচক্যাচিয়ার, ওমেশের খালসহ অন্তত ২০-২৫টি খালের ও বিলের দেশীয় মাছগুলা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, ম্যাজিক জাল, সুতিজাল, বেহুন্দি, ভেসাল এবং চায়না রিং জালের অবাধ ব্যবহারে দেশীয় মাছগুলো দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার কলবাড়ি, দুমকি নতুন বাজার, পীরতলা বাজার, বোর্ড অফিস বাজার, পাঙ্গাশিয়া ও লেবুখালী বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে দেশীয় মাছের সংকট এখন প্রকট। এই সংকটের মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, ম্যাজিক জাল, সুতিজাল, বেহুন্দি, ভেসাল এবং চায়না রিং জালের অবাধ ব্যবহার।
বর্ষা শুরু হতেই এসব জালের মাধ্যমে ডিম ছাড়ার আগেই পোনা মাছ নির্বিচারে নিধন করা হচ্ছে। ফলে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, উপজেলার নতুন বাজার, পীরতলা বাজার, বোর্ড অফিস বাজারসহ বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারে এসব নিষিদ্ধ জাল প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। এতে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে। মাছে ভাতে বাঙালি।
এ প্রবাদটি এখন যেন ক্রমান্বয়ে ভুলে যাচ্ছে অত্র উপজেলার মানুষ। কালের বিবর্তনে বোয়াল, গজার, শোল, মাগুর, শিং, কই, সরপুঁটি, পাবদা, আইড়, বাইম, খলসে, রিঠা, রঙিন বেতাগা, বাঁশপাতা, রয়না ও কালিবাউস আজ বিলুপ্তপ্রায়। বর্ষায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসাধু ব্যক্তি ও চক্রগুলো শুধু নিষিদ্ধ জালই নয়, বৈদ্যুতিক শক ব্যবহার করেও মাছ ধরছে।
শুষ্ক মৌসুমে একাধিকবার পুকুর সেচে মাছ আহরণ এবং সরকারি খাল-বিল ব্যক্তিগতভাবে দখলের ফলে শুধু মাছ নয়, জলজ সাপ, ব্যাঙ, শামুক ও নানা জলজ প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হচ্ছে।
অন্যদিকে, কৃষিজমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার পরিবেশে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে, যা জলজ জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। এ ব্যাপারে দুমকি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে। তবে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, নিষিদ্ধ জাল বিক্রি রোধে অভিযান পরিচালনার জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।
দুমকি (পটুয়াখালী) : অবৈধ জাল দিয়ে মাছ নিধন -সংবাদ
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
পটুয়াখালীর দুমকিতে যত্রতত্র নানা ধরনের নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে চলছে মৎস্য নিধন। সরকারি নিয়ম না মেনে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করায় মা-মাছসহ ছোট ছোট মাছ বিলুপ্তির পথে। উপজেলার ডাকাতিয়া, কোহারজোর, জামলা, আঙ্গারিয়ার, মোল্লখালী, বাদ্দার, কচ্ছপিয়ার, গাবতলির খাল, দাসপারা খাল, কদমতলার খাল, পিছাখালী, চরবয়ড়া ডাঙ্গা, শিকদারের খাল ও ক্যাচক্যাচিয়ার, ওমেশের খালসহ অন্তত ২০-২৫টি খালের ও বিলের দেশীয় মাছগুলা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, ম্যাজিক জাল, সুতিজাল, বেহুন্দি, ভেসাল এবং চায়না রিং জালের অবাধ ব্যবহারে দেশীয় মাছগুলো দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার কলবাড়ি, দুমকি নতুন বাজার, পীরতলা বাজার, বোর্ড অফিস বাজার, পাঙ্গাশিয়া ও লেবুখালী বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে দেশীয় মাছের সংকট এখন প্রকট। এই সংকটের মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, ম্যাজিক জাল, সুতিজাল, বেহুন্দি, ভেসাল এবং চায়না রিং জালের অবাধ ব্যবহার।
বর্ষা শুরু হতেই এসব জালের মাধ্যমে ডিম ছাড়ার আগেই পোনা মাছ নির্বিচারে নিধন করা হচ্ছে। ফলে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, উপজেলার নতুন বাজার, পীরতলা বাজার, বোর্ড অফিস বাজারসহ বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারে এসব নিষিদ্ধ জাল প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। এতে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে। মাছে ভাতে বাঙালি।
এ প্রবাদটি এখন যেন ক্রমান্বয়ে ভুলে যাচ্ছে অত্র উপজেলার মানুষ। কালের বিবর্তনে বোয়াল, গজার, শোল, মাগুর, শিং, কই, সরপুঁটি, পাবদা, আইড়, বাইম, খলসে, রিঠা, রঙিন বেতাগা, বাঁশপাতা, রয়না ও কালিবাউস আজ বিলুপ্তপ্রায়। বর্ষায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসাধু ব্যক্তি ও চক্রগুলো শুধু নিষিদ্ধ জালই নয়, বৈদ্যুতিক শক ব্যবহার করেও মাছ ধরছে।
শুষ্ক মৌসুমে একাধিকবার পুকুর সেচে মাছ আহরণ এবং সরকারি খাল-বিল ব্যক্তিগতভাবে দখলের ফলে শুধু মাছ নয়, জলজ সাপ, ব্যাঙ, শামুক ও নানা জলজ প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হচ্ছে।
অন্যদিকে, কৃষিজমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার পরিবেশে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে, যা জলজ জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। এ ব্যাপারে দুমকি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে। তবে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, নিষিদ্ধ জাল বিক্রি রোধে অভিযান পরিচালনার জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।