ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) : জরাজীর্ণ উপজেলা মৎস্যবীজ খামারের একটি ভবন -সংবাদ
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার একমাত্র সরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারটি দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটসহ নানাবিধ অব্যবস্থাপনায় ধুঁকছে। অবহেলা, অযত্ন আর অদূরদর্শীতার কারণে খামারটির অবকাঠামো ও পরিবেশ আজ জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে।
খামারটিতে রয়েছে ৮টি পুকুর ও একটি বড় জলাশয়, যেখানে রেনু ও পোনা উৎপাদন করা হয়। তবে পুরো খামারজুড়ে নেই প্রয়োজনীয় জনবল।
৫ জন জনবলের স্থলে বর্তমানে কাজ করছেন মাত্র ৩ জন। একজন খামার ব্যবস্থাপক, হ্যাচারি এটেনডেন্ট ও অফিস সহকারী। নিরাপত্তা রক্ষায় নেই কোনো প্রহরী।
বর্তমানে মূল অফিস ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। খামার ব্যবস্থাপক শ্রমিক শেডকে অফিস কাম বাসা হিসেবে ব্যবহার করছেন। এমনকি অফিস ভবনের পাশেই দেখা গেছে একটি পুরনো বহুতল ভবন-যা প্রায় ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। ভবনটির জানালাগুলো ভাঙা, দেওয়ালে রয়েছে ফাটল এবং নিচে পড়ে থাকা গাছ যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
খামার ব্যবস্থাপকের অস্থায়ী অফিস কাম বাসভবন ও পাশে পরিত্যক্ত ভবন অবহেলার সাক্ষ্য বহন করছে।
ঝুঁকিপূর্ণ শুকনো গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটির ভয়, খামার চত্বরে রয়েছে এক ডজনেরও বেশি শুকনো কাঠের গাছ, যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক গাছ বিদ্যুৎ লাইনের পাশ দিয়ে বেড়ে উঠেছে, এমনকি কিছু বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়া অবস্থায় রয়েছে, যা সঙ্গত কারণেই বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা বাড়িয়েছে।
খামার এলাকায় এমন একাধিক মরা গাছ ঝড় বা স্বাভাবিক অবস্থাতেই ভেঙে পড়ার সম্ভাবনায় বিপদ ডেকে আনছে।
খামারের চারপাশে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় সন্ধ্যার পর বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ দেখা যায়। মাদকসেবীদের আসরও বসে পুকুরপাড়ে।
অন্যদিকে, খামার সংলগ্ন আবাসিক ভবনগুলো থেকে প্লাস্টিক পাইপ বা দেয়াল ফুটো করে পয়ঃনিষ্কাশনের পানি পুকুরে ফেলা হচ্ছে। এতে জলজ পরিবেশ এবং মাছ উৎপাদনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
খামার ব্যবস্থাপক শামছি আরা ফেরদৌসী জানান, একাধিকবার প্রতিবাদ করলেও ভবনের মালিক কিংবা ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। এছাড়া, নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে একটি ক্লিনিক চালু হতে যাচ্ছে, যার বর্জ্য ভবিষ্যতে আরও বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, লোকবল ও অবকাঠামোগত সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খামারটি থেকে ৩৩ কেজি রেণুসহ উৎপাদিত পোনা বিক্রি করে মোট ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) : জরাজীর্ণ উপজেলা মৎস্যবীজ খামারের একটি ভবন -সংবাদ
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার একমাত্র সরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারটি দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটসহ নানাবিধ অব্যবস্থাপনায় ধুঁকছে। অবহেলা, অযত্ন আর অদূরদর্শীতার কারণে খামারটির অবকাঠামো ও পরিবেশ আজ জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে।
খামারটিতে রয়েছে ৮টি পুকুর ও একটি বড় জলাশয়, যেখানে রেনু ও পোনা উৎপাদন করা হয়। তবে পুরো খামারজুড়ে নেই প্রয়োজনীয় জনবল।
৫ জন জনবলের স্থলে বর্তমানে কাজ করছেন মাত্র ৩ জন। একজন খামার ব্যবস্থাপক, হ্যাচারি এটেনডেন্ট ও অফিস সহকারী। নিরাপত্তা রক্ষায় নেই কোনো প্রহরী।
বর্তমানে মূল অফিস ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। খামার ব্যবস্থাপক শ্রমিক শেডকে অফিস কাম বাসা হিসেবে ব্যবহার করছেন। এমনকি অফিস ভবনের পাশেই দেখা গেছে একটি পুরনো বহুতল ভবন-যা প্রায় ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। ভবনটির জানালাগুলো ভাঙা, দেওয়ালে রয়েছে ফাটল এবং নিচে পড়ে থাকা গাছ যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
খামার ব্যবস্থাপকের অস্থায়ী অফিস কাম বাসভবন ও পাশে পরিত্যক্ত ভবন অবহেলার সাক্ষ্য বহন করছে।
ঝুঁকিপূর্ণ শুকনো গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটির ভয়, খামার চত্বরে রয়েছে এক ডজনেরও বেশি শুকনো কাঠের গাছ, যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক গাছ বিদ্যুৎ লাইনের পাশ দিয়ে বেড়ে উঠেছে, এমনকি কিছু বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়া অবস্থায় রয়েছে, যা সঙ্গত কারণেই বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা বাড়িয়েছে।
খামার এলাকায় এমন একাধিক মরা গাছ ঝড় বা স্বাভাবিক অবস্থাতেই ভেঙে পড়ার সম্ভাবনায় বিপদ ডেকে আনছে।
খামারের চারপাশে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় সন্ধ্যার পর বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ দেখা যায়। মাদকসেবীদের আসরও বসে পুকুরপাড়ে।
অন্যদিকে, খামার সংলগ্ন আবাসিক ভবনগুলো থেকে প্লাস্টিক পাইপ বা দেয়াল ফুটো করে পয়ঃনিষ্কাশনের পানি পুকুরে ফেলা হচ্ছে। এতে জলজ পরিবেশ এবং মাছ উৎপাদনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
খামার ব্যবস্থাপক শামছি আরা ফেরদৌসী জানান, একাধিকবার প্রতিবাদ করলেও ভবনের মালিক কিংবা ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। এছাড়া, নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে একটি ক্লিনিক চালু হতে যাচ্ছে, যার বর্জ্য ভবিষ্যতে আরও বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, লোকবল ও অবকাঠামোগত সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খামারটি থেকে ৩৩ কেজি রেণুসহ উৎপাদিত পোনা বিক্রি করে মোট ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।