চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক বছরে প্রায় ৬ হাজার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। দীর্ঘ ভোগান্তির পর বর্তমানে সেবাগ্রহীতারা স্বল্প সময়ে কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে। গত বছরের ১ জুলাই হতে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৫৬৮৮ টি এনআইডি সংশোধন আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে। জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, অন্যান্য জেলার তুলনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জকে এখন একটি মডেল হিসেবে দেখা হয়। এরকম সেবা প্রদানের ব্যবস্থা অন্য জেলার জন্যও অনুকরণীয় হতে পারে। এনআইডি সংশোধন সেবায় যে স্বচ্ছতা ও গতি এসেছে, তা সাধারণ জনগণের মাঝে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাবে। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ লাইন আর এখন ভিড়ও নেই। সেবাগ্রহীতারা নির্ধারিত সময়ে সরাসরি অফিসে গিয়ে সহজেই সেবা পাচ্ছেন। এই পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রেখেছেন জেলা নির্বাচন অফিসার রেজাউল করিম। গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারী যোগদানের পর থেকে এই কার্যক্রমে গতি ও স্বচ্ছতা এসেছে। আগে পর্যাপ্ত কাগজপত্র বা তথ্যের অভাবে অনেকে আবেদন করে বছরের পর বছর ঝুলে থাকলেও এখন প্রতিটি আবেদন যাচাইয়ের পর সংশোধন এবং অতিদ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেবা নিতে আসা সদর উপজেলার চর অনুপনগর ইউনিয়নের অনুপনগর গ্রামের সেবাগ্রহীতা আবু বাক্কার সিদ্দিকসহ কয়েকজন জানান, আগে এনআইডি সংশোধনের জন্য অফিসে প্রায়শঃই আসতে হতো, এখন অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই কাজ শেষ করতে পারা যাচ্ছে। এনআইডিতে পিতা-মাতার নাম ভুল ছিল। আগে একবার আবেদনের সাথে সঠিকভাবে কাগজপত্র সংযুক্ত না করায় সেটি বাতিল হয়েছিল। পুনরায় আবেদনের মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে তার সমাধান পাওয়া গেছে। মোসাঃ সুমাইয়া খাতুন নামে এক নতুন ভোটার জানান, যেদিন আবেদন করা হয়েছিল তার পরদিনই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করে ছবি তোলা হয়। আগে শোনা যেত এসব কাজ অনেক দীর্ঘসূত্রিতা বা সময় সাপেক্ষ্য ব্যাপার। কিন্তু বাস্তবে স্বল্প সময়ে কাজের মাধ্যমে স্বচ্ছতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন অফিসার রেজাউল করিম বলেন, সেবাগ্রহীতাগণ কাঙ্খিত সেবা পায় সেই আবেদনগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বর্তমানে আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় আর থাকে না ।
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক বছরে প্রায় ৬ হাজার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। দীর্ঘ ভোগান্তির পর বর্তমানে সেবাগ্রহীতারা স্বল্প সময়ে কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে। গত বছরের ১ জুলাই হতে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৫৬৮৮ টি এনআইডি সংশোধন আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে। জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, অন্যান্য জেলার তুলনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জকে এখন একটি মডেল হিসেবে দেখা হয়। এরকম সেবা প্রদানের ব্যবস্থা অন্য জেলার জন্যও অনুকরণীয় হতে পারে। এনআইডি সংশোধন সেবায় যে স্বচ্ছতা ও গতি এসেছে, তা সাধারণ জনগণের মাঝে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাবে। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ লাইন আর এখন ভিড়ও নেই। সেবাগ্রহীতারা নির্ধারিত সময়ে সরাসরি অফিসে গিয়ে সহজেই সেবা পাচ্ছেন। এই পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রেখেছেন জেলা নির্বাচন অফিসার রেজাউল করিম। গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারী যোগদানের পর থেকে এই কার্যক্রমে গতি ও স্বচ্ছতা এসেছে। আগে পর্যাপ্ত কাগজপত্র বা তথ্যের অভাবে অনেকে আবেদন করে বছরের পর বছর ঝুলে থাকলেও এখন প্রতিটি আবেদন যাচাইয়ের পর সংশোধন এবং অতিদ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেবা নিতে আসা সদর উপজেলার চর অনুপনগর ইউনিয়নের অনুপনগর গ্রামের সেবাগ্রহীতা আবু বাক্কার সিদ্দিকসহ কয়েকজন জানান, আগে এনআইডি সংশোধনের জন্য অফিসে প্রায়শঃই আসতে হতো, এখন অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই কাজ শেষ করতে পারা যাচ্ছে। এনআইডিতে পিতা-মাতার নাম ভুল ছিল। আগে একবার আবেদনের সাথে সঠিকভাবে কাগজপত্র সংযুক্ত না করায় সেটি বাতিল হয়েছিল। পুনরায় আবেদনের মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে তার সমাধান পাওয়া গেছে। মোসাঃ সুমাইয়া খাতুন নামে এক নতুন ভোটার জানান, যেদিন আবেদন করা হয়েছিল তার পরদিনই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করে ছবি তোলা হয়। আগে শোনা যেত এসব কাজ অনেক দীর্ঘসূত্রিতা বা সময় সাপেক্ষ্য ব্যাপার। কিন্তু বাস্তবে স্বল্প সময়ে কাজের মাধ্যমে স্বচ্ছতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন অফিসার রেজাউল করিম বলেন, সেবাগ্রহীতাগণ কাঙ্খিত সেবা পায় সেই আবেদনগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বর্তমানে আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় আর থাকে না ।