ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : উপজেলার বালুমহাল -সংবাদ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের লাঠিয়ামারি ঘাট এলাকায় গভীর রাতে বসানো হচ্ছে ড্রেজার, আর চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এতে একদিকে নদীর পরিবেশ ও তীরবর্তী বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়ছে, অন্যদিকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব থেকে।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাশিয়ার চর ও মরিচার চর এলাকা থেকে উত্তোলিত বালু শত শত সেলু ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের মাধ্যমে এনে লাঠিয়ামারি ঘাটে নামানো হচ্ছে।
স্থানীয় একটি প্রভাবশালীমহল এসব বালু স্থানীয়ভাবে বিক্রি করছে। অথচ ঘাটটির কোনো বৈধ ইজারা নেই। ফলে পুরো কার্যক্রমটিই অবৈধ হলেও প্রশাসনিক তৎপরতা একেবারেই সীমিত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গভীর রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চলে এই অবৈধ উত্তোলন ও বালু বিক্রির কাজ। প্রশাসনের নজর এড়াতেই এমন সময় বেছে নেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, এই অবৈধ বালু ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে, কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
নদী রক্ষা নিয়ে হুমকির মুখে সক্রিয় নাগরিকরা ‘ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলন ঈশ্বরগঞ্জ’-এর সাধারণ সম্পাদক আশকর আলী জানান, ‘নদী রক্ষা ও অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং বাড়িছাড়া অবস্থায় আছি।’
উল্লেখযোগ্য যে, পানি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নির্দেশ অনুযায়ী কাশিয়ার চর থেকে কালিরবাজার খেয়াঘাট পর্যন্ত নদী এলাকা থেকে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
কিন্তু স্থানীয় এক প্রভাবশালী মহল সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে তাদের অবৈধ কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের আশ্বাস, এলাকাবাসীর ক্ষোভ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা রহমান জানান, ‘আমরা ইতোমধ্যে উচাখিলা ইউনিয়নের বটতলা ঘাটে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু জব্দ করে নিলামে বিক্রি করেছি। খুব শীঘ্রই লাঠিয়ামারি ঘাটেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। একইসঙ্গে নদী রক্ষা এবং পরিবেশ সুরক্ষায় প্রশাসনকে আরও কঠোর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন সচেতনমহল।
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : উপজেলার বালুমহাল -সংবাদ
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের লাঠিয়ামারি ঘাট এলাকায় গভীর রাতে বসানো হচ্ছে ড্রেজার, আর চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এতে একদিকে নদীর পরিবেশ ও তীরবর্তী বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়ছে, অন্যদিকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব থেকে।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাশিয়ার চর ও মরিচার চর এলাকা থেকে উত্তোলিত বালু শত শত সেলু ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের মাধ্যমে এনে লাঠিয়ামারি ঘাটে নামানো হচ্ছে।
স্থানীয় একটি প্রভাবশালীমহল এসব বালু স্থানীয়ভাবে বিক্রি করছে। অথচ ঘাটটির কোনো বৈধ ইজারা নেই। ফলে পুরো কার্যক্রমটিই অবৈধ হলেও প্রশাসনিক তৎপরতা একেবারেই সীমিত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গভীর রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চলে এই অবৈধ উত্তোলন ও বালু বিক্রির কাজ। প্রশাসনের নজর এড়াতেই এমন সময় বেছে নেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, এই অবৈধ বালু ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে, কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
নদী রক্ষা নিয়ে হুমকির মুখে সক্রিয় নাগরিকরা ‘ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলন ঈশ্বরগঞ্জ’-এর সাধারণ সম্পাদক আশকর আলী জানান, ‘নদী রক্ষা ও অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং বাড়িছাড়া অবস্থায় আছি।’
উল্লেখযোগ্য যে, পানি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নির্দেশ অনুযায়ী কাশিয়ার চর থেকে কালিরবাজার খেয়াঘাট পর্যন্ত নদী এলাকা থেকে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
কিন্তু স্থানীয় এক প্রভাবশালী মহল সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে তাদের অবৈধ কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের আশ্বাস, এলাকাবাসীর ক্ষোভ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা রহমান জানান, ‘আমরা ইতোমধ্যে উচাখিলা ইউনিয়নের বটতলা ঘাটে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু জব্দ করে নিলামে বিক্রি করেছি। খুব শীঘ্রই লাঠিয়ামারি ঘাটেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। একইসঙ্গে নদী রক্ষা এবং পরিবেশ সুরক্ষায় প্রশাসনকে আরও কঠোর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন সচেতনমহল।