alt

সারাদেশ

বেতাগীর ৫ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি

প্রতিনিধি, বেতাগী (বরগুনা) : রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫

বরগুনার বেতাগী উপজেলায় সময়মতো মানসম্পন্ন বীজ ও সেচের পানির সংকট দেখা দেয়ায় আউশ ও বোরো মৌসুমে অধিকাংশ কৃষক ধান চাষ করতে পারেননি। ফলে চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এই উপজেলার প্রান্তিক কৃষকরা।

কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের সময়মতো সহায়তা না পাওয়ায় এবং খাল-বিল ও পুকুরে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় জমি প্রস্তুত করেও চাষ করা সম্ভব হয়নি। ফলে এসব জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস জন্মেছে। বেতাগীতে প্রায় ৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমি এ বছর অনাবাদি থেকে গেছে।

কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় ৯ হাজার ৩৭৮ হেক্টর জমিতে আউশ ও বোরো ধানের চাষ হতো।

সাধারণত চৈত্র মাসের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ধানের বীজ বপন এবং জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকে আষাঢ় মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চারা রোপণ করা হয়।

তবে এ বছর ওই সময় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় বীজতলা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পানি সেচ দেয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলার বেতাগী পৌরসভার ২, ৩, ৪ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং বিবিচিনি, বেতাগী সদর, হোসনাবাদ, মোকামিয়া, বুড়ামজুমদার, কাজিরাবাদ ও সরিষামুড়ি ইউনিয়নের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক কৃষক আগাম প্রস্তুতি নিয়েও শেষ পর্যন্ত চাষ করতে পারেননি। কেউ জমি চাষ দিয়ে রেখেছেন, কেউবা বীজতলা তৈরি করলেও শেষ মুহূর্তে সেচের পানির অভাবে চারা নষ্ট হয়ে গেছে।

হোসনাবাদ ইউনিয়নের জলিসা গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক (৬৫), বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক রফিকুল ইসলাম (৫৪) ও স্বপন মোল্লা (৪৯) বলেন, সময়ে পানি না পাওয়ায় আউশ ধানের বীজতলা তৈরি করতে পারিনি। এজন্য জমি অনাবাদি থেকে গেছে।

বেতাগী সদর ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের কৃষক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমি ৪০ শতাংশ জমির জন্য বীজ চাইতে কৃষি অফিসে গেলে তারা জানায়, বরাদ্দ কম আগে যারা এসেছে তারা পেয়ে গেছে। পরে বাইরে থেকে কিনে রোপণ শুরু করি, কিন্তু পানি না থাকায় কিছুদিন পরেই চারা মরে যায়।’

হোসনাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসন্ডা গ্রামের কৃষক মালেক ফরাজী বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় সেচ পাম্প চালাতে পারিনি। খাল-পুকুরে পানি নেই, জমি শুকিয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে জমি ফেলে রেখেছি।’

এ বিষয়ে কৃষিবিদ লিটন কুমার ঢালী বলেন, ‘ফসল উৎপাদন মৌসুমে যথাসময়ে চাষ করতে না পারলে খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এজন্য পূর্ব-পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।’

বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন, ‘চলতি বছর আবহাওয়া এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট থাকায় সেচের সমস্যা হয়েছে। উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী বীজ থাকলেও সরবরাহে ঘাটতি ছিল।’

ছবি

জাফলংয়ের পিয়াইন নদীতে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য

হরতালের সমর্থনে চকরিয়ায় মধ্যরাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের বিক্ষোভ

বোয়ালখালীতে অটো রিক্সা চালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সারজিসের বক্তব্যের প্রতিবাদে বান্দরবানে সংবাদ সম্মেলন

আল আকাবা সমবায় সমিতির ৪শ’ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ: সিআইডি

মাত্র তিন ঘণ্টার বৃষ্টি, ডুবলো বরিশাল নগরী

ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যুতে ক্যাম্পাসে শোক র‌্যালি

খুলনায় মদ্যপানে সাতজনের মৃত্যু

বৈষ্যমের অভিযোগে ৮ দফা দাবিতে বরিশাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শাটডাউন

ছবি

সালাহউদ্দিনকে নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্যের জেরে রাঙামাটিতে এনসিপি-বিরোধী বিক্ষোভ

ছবি

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় গোপালগঞ্জে আর নেই কারফিউ ও ১৪৪ ধারা: জেলা প্রশাসন

জামায়াতকে ‘নাম পরিবর্তনের পরামর্শ’ ফরহাদ মজহারের

রাজাকার ও স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র বাংলার মানুষ মেনে নেবে না

ছবি

সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদ ভক্তদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন: শাওন

নোয়াখালীতে নৌকা ডুবে কিশোরীর মৃত্যু

শিক্ষা ও ব্যবসা খাতের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থারও সংস্কার চান ইফতেখারুজ্জামান

হাতিরঝিলে চক্রাকার বাসে ‘র‌্যাপিড পাসে’ ভাড়া দেয়া চালু হচ্ছে

শালবাহানে তেলের খনি পুনরায় চালুর দাবিতে পঞ্চগড়ের তেঁতুুলিয়ায় মানববন্ধন

সাংবাদিক শাহ আলমের মৃত্যুতে আরএসএফের উদ্যোগ, গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান

ছবি

ঈশ্বরগঞ্জের ব্রহ্মপুত্র থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আ’লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

অপারেশনে গুলি বের করলেও যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন মোবারক

বোয়ালখালীতে স্কাউটস ওরিয়েন্টেশন

ছবি

মানিকগঞ্জে বর্ষা মৌসুমে নৌকার হাট জমজমাট

জমি না কেনায় প্রবাসীর বাড়ির টিনের চালসহ মালামাল লুট

ছবি

ভরা বর্ষায় কলমাকান্দা সীমান্তে পানি নেই রোপা-আমন চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

মোহনগঞ্জে গৃহবধূর আত্মহত্যা

‘বান্দরবানকে অবমাননা’ মন্তব্যে এনসিপির প্রতি ক্ষোভ, ক্ষমা চাইতে বললেন শিক্ষার্থীরা

ছবি

মাদারগঞ্জে হা-ডু-ডু খেলা দেখতে জনতার ঢল

রামপালে বৃদ্ধের আত্মহত্যা

ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বিপ্লবের মাথা ছিদ্র হয়ে বুলেট বেরিয়ে যায় অন্যপ্রান্তে

ছবি

অবৈধ সম্পদ গোপনের দায়ে হাছান আলীর কারাদণ্ড, স্ত্রী খালাস

রাজশাহীতে বিশেষ অভিযানে আটক ২৬

ছবি

কারাগারে নথিপত্র না থাকায় মামলায় জটিলতা, পলাতক ১২২ আসামি

সান্তাহারে বেড়েছে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে চারটি জয়তুন চারা রোপণ

tab

সারাদেশ

বেতাগীর ৫ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি

প্রতিনিধি, বেতাগী (বরগুনা)

রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫

বরগুনার বেতাগী উপজেলায় সময়মতো মানসম্পন্ন বীজ ও সেচের পানির সংকট দেখা দেয়ায় আউশ ও বোরো মৌসুমে অধিকাংশ কৃষক ধান চাষ করতে পারেননি। ফলে চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এই উপজেলার প্রান্তিক কৃষকরা।

কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের সময়মতো সহায়তা না পাওয়ায় এবং খাল-বিল ও পুকুরে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় জমি প্রস্তুত করেও চাষ করা সম্ভব হয়নি। ফলে এসব জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস জন্মেছে। বেতাগীতে প্রায় ৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমি এ বছর অনাবাদি থেকে গেছে।

কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় ৯ হাজার ৩৭৮ হেক্টর জমিতে আউশ ও বোরো ধানের চাষ হতো।

সাধারণত চৈত্র মাসের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ধানের বীজ বপন এবং জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকে আষাঢ় মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চারা রোপণ করা হয়।

তবে এ বছর ওই সময় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় বীজতলা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পানি সেচ দেয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলার বেতাগী পৌরসভার ২, ৩, ৪ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং বিবিচিনি, বেতাগী সদর, হোসনাবাদ, মোকামিয়া, বুড়ামজুমদার, কাজিরাবাদ ও সরিষামুড়ি ইউনিয়নের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক কৃষক আগাম প্রস্তুতি নিয়েও শেষ পর্যন্ত চাষ করতে পারেননি। কেউ জমি চাষ দিয়ে রেখেছেন, কেউবা বীজতলা তৈরি করলেও শেষ মুহূর্তে সেচের পানির অভাবে চারা নষ্ট হয়ে গেছে।

হোসনাবাদ ইউনিয়নের জলিসা গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক (৬৫), বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক রফিকুল ইসলাম (৫৪) ও স্বপন মোল্লা (৪৯) বলেন, সময়ে পানি না পাওয়ায় আউশ ধানের বীজতলা তৈরি করতে পারিনি। এজন্য জমি অনাবাদি থেকে গেছে।

বেতাগী সদর ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের কৃষক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমি ৪০ শতাংশ জমির জন্য বীজ চাইতে কৃষি অফিসে গেলে তারা জানায়, বরাদ্দ কম আগে যারা এসেছে তারা পেয়ে গেছে। পরে বাইরে থেকে কিনে রোপণ শুরু করি, কিন্তু পানি না থাকায় কিছুদিন পরেই চারা মরে যায়।’

হোসনাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসন্ডা গ্রামের কৃষক মালেক ফরাজী বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় সেচ পাম্প চালাতে পারিনি। খাল-পুকুরে পানি নেই, জমি শুকিয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে জমি ফেলে রেখেছি।’

এ বিষয়ে কৃষিবিদ লিটন কুমার ঢালী বলেন, ‘ফসল উৎপাদন মৌসুমে যথাসময়ে চাষ করতে না পারলে খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এজন্য পূর্ব-পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।’

বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন, ‘চলতি বছর আবহাওয়া এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট থাকায় সেচের সমস্যা হয়েছে। উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী বীজ থাকলেও সরবরাহে ঘাটতি ছিল।’

back to top