বরগুনার বেতাগী উপজেলায় সময়মতো মানসম্পন্ন বীজ ও সেচের পানির সংকট দেখা দেয়ায় আউশ ও বোরো মৌসুমে অধিকাংশ কৃষক ধান চাষ করতে পারেননি। ফলে চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এই উপজেলার প্রান্তিক কৃষকরা।
কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের সময়মতো সহায়তা না পাওয়ায় এবং খাল-বিল ও পুকুরে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় জমি প্রস্তুত করেও চাষ করা সম্ভব হয়নি। ফলে এসব জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস জন্মেছে। বেতাগীতে প্রায় ৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমি এ বছর অনাবাদি থেকে গেছে।
কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় ৯ হাজার ৩৭৮ হেক্টর জমিতে আউশ ও বোরো ধানের চাষ হতো।
সাধারণত চৈত্র মাসের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ধানের বীজ বপন এবং জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকে আষাঢ় মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চারা রোপণ করা হয়।
তবে এ বছর ওই সময় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় বীজতলা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পানি সেচ দেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলার বেতাগী পৌরসভার ২, ৩, ৪ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং বিবিচিনি, বেতাগী সদর, হোসনাবাদ, মোকামিয়া, বুড়ামজুমদার, কাজিরাবাদ ও সরিষামুড়ি ইউনিয়নের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক কৃষক আগাম প্রস্তুতি নিয়েও শেষ পর্যন্ত চাষ করতে পারেননি। কেউ জমি চাষ দিয়ে রেখেছেন, কেউবা বীজতলা তৈরি করলেও শেষ মুহূর্তে সেচের পানির অভাবে চারা নষ্ট হয়ে গেছে।
হোসনাবাদ ইউনিয়নের জলিসা গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক (৬৫), বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক রফিকুল ইসলাম (৫৪) ও স্বপন মোল্লা (৪৯) বলেন, সময়ে পানি না পাওয়ায় আউশ ধানের বীজতলা তৈরি করতে পারিনি। এজন্য জমি অনাবাদি থেকে গেছে।
বেতাগী সদর ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের কৃষক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমি ৪০ শতাংশ জমির জন্য বীজ চাইতে কৃষি অফিসে গেলে তারা জানায়, বরাদ্দ কম আগে যারা এসেছে তারা পেয়ে গেছে। পরে বাইরে থেকে কিনে রোপণ শুরু করি, কিন্তু পানি না থাকায় কিছুদিন পরেই চারা মরে যায়।’
হোসনাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসন্ডা গ্রামের কৃষক মালেক ফরাজী বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় সেচ পাম্প চালাতে পারিনি। খাল-পুকুরে পানি নেই, জমি শুকিয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে জমি ফেলে রেখেছি।’
এ বিষয়ে কৃষিবিদ লিটন কুমার ঢালী বলেন, ‘ফসল উৎপাদন মৌসুমে যথাসময়ে চাষ করতে না পারলে খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এজন্য পূর্ব-পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।’
বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন, ‘চলতি বছর আবহাওয়া এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট থাকায় সেচের সমস্যা হয়েছে। উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী বীজ থাকলেও সরবরাহে ঘাটতি ছিল।’
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
বরগুনার বেতাগী উপজেলায় সময়মতো মানসম্পন্ন বীজ ও সেচের পানির সংকট দেখা দেয়ায় আউশ ও বোরো মৌসুমে অধিকাংশ কৃষক ধান চাষ করতে পারেননি। ফলে চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এই উপজেলার প্রান্তিক কৃষকরা।
কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের সময়মতো সহায়তা না পাওয়ায় এবং খাল-বিল ও পুকুরে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় জমি প্রস্তুত করেও চাষ করা সম্ভব হয়নি। ফলে এসব জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস জন্মেছে। বেতাগীতে প্রায় ৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমি এ বছর অনাবাদি থেকে গেছে।
কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় ৯ হাজার ৩৭৮ হেক্টর জমিতে আউশ ও বোরো ধানের চাষ হতো।
সাধারণত চৈত্র মাসের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ধানের বীজ বপন এবং জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকে আষাঢ় মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চারা রোপণ করা হয়।
তবে এ বছর ওই সময় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় বীজতলা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পানি সেচ দেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলার বেতাগী পৌরসভার ২, ৩, ৪ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং বিবিচিনি, বেতাগী সদর, হোসনাবাদ, মোকামিয়া, বুড়ামজুমদার, কাজিরাবাদ ও সরিষামুড়ি ইউনিয়নের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক কৃষক আগাম প্রস্তুতি নিয়েও শেষ পর্যন্ত চাষ করতে পারেননি। কেউ জমি চাষ দিয়ে রেখেছেন, কেউবা বীজতলা তৈরি করলেও শেষ মুহূর্তে সেচের পানির অভাবে চারা নষ্ট হয়ে গেছে।
হোসনাবাদ ইউনিয়নের জলিসা গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক (৬৫), বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক রফিকুল ইসলাম (৫৪) ও স্বপন মোল্লা (৪৯) বলেন, সময়ে পানি না পাওয়ায় আউশ ধানের বীজতলা তৈরি করতে পারিনি। এজন্য জমি অনাবাদি থেকে গেছে।
বেতাগী সদর ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের কৃষক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমি ৪০ শতাংশ জমির জন্য বীজ চাইতে কৃষি অফিসে গেলে তারা জানায়, বরাদ্দ কম আগে যারা এসেছে তারা পেয়ে গেছে। পরে বাইরে থেকে কিনে রোপণ শুরু করি, কিন্তু পানি না থাকায় কিছুদিন পরেই চারা মরে যায়।’
হোসনাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসন্ডা গ্রামের কৃষক মালেক ফরাজী বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় সেচ পাম্প চালাতে পারিনি। খাল-পুকুরে পানি নেই, জমি শুকিয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে জমি ফেলে রেখেছি।’
এ বিষয়ে কৃষিবিদ লিটন কুমার ঢালী বলেন, ‘ফসল উৎপাদন মৌসুমে যথাসময়ে চাষ করতে না পারলে খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এজন্য পূর্ব-পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।’
বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন, ‘চলতি বছর আবহাওয়া এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট থাকায় সেচের সমস্যা হয়েছে। উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী বীজ থাকলেও সরবরাহে ঘাটতি ছিল।’