পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহানে তেলের খনি পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা বাজারে তেঁতুলিয়া সচেতন নাগরিক কমিটি নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই মানববন্ধন আয়োজন করে। মানববন্ধনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন স্তরের নাগরিক অংশ নেন।
সংগঠনটির আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন হানিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে বক্তব্য দেন শিক্ষানবিস আইনজীবী রাসেদুল করিম, সাংবাদিক আব্দুল বাসেত, সরকার হয়দার, সোহরাব হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা এ সময় বলেন, ১৯৮৭ সালে ভূ-কম্পন জরিপের মাধ্যমে শালবাহান তেলখনি আবিষ্কৃত হয়। এরপর ১৯৮৯ সালে তেল উত্তোলন শুরু হয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ তেল আরোহণের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ফ্রান্সের ফরোসল (ফস্টাল) নামের একটি কোম্পানিকে তেল আরোহণের জন্য নিযুক্ত করা হয়। ৮ হাজার ফিট গভীর থেকে ১২ ইঞ্চি ব্যাসার্ধ্যরে একটি কূপের মাধ্যমে তেল আরোহণ শুরু হয়। কিন্তু উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ফরোসল কোম্পানিও সবকিছু গুটিয়ে চলে যায়। আজও এর রহস্য উন্মোচন হয়নি। বক্তারা বলেন, সেই ফরোসল কোম্পানি শালবাহান তেলখনির অপর প্রান্তের ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার রায়গঞ্জ থানার জমাদারপাড়া গ্রামে খননকার্য শুরু করে বলে জানা যায়। অনেকে বলছে, ভারত অদৃশ্যভাবে সেখান থেকে তেল উত্তোলন করছে। বক্তারা বলেন, অচিরেই শালবাহান তেলখনি কেন বন্ধ করা হয়েছে এজন্য সরকারের তদন্ত করা প্রয়োজন। তদন্ত করে পুনরায় তেল উত্তোলনের দাবি জানান তারা। বক্তারা বলেন, সরকার শিগগিরই উদ্যোগ না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহানে তেলের খনি পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা বাজারে তেঁতুলিয়া সচেতন নাগরিক কমিটি নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই মানববন্ধন আয়োজন করে। মানববন্ধনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন স্তরের নাগরিক অংশ নেন।
সংগঠনটির আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন হানিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে বক্তব্য দেন শিক্ষানবিস আইনজীবী রাসেদুল করিম, সাংবাদিক আব্দুল বাসেত, সরকার হয়দার, সোহরাব হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা এ সময় বলেন, ১৯৮৭ সালে ভূ-কম্পন জরিপের মাধ্যমে শালবাহান তেলখনি আবিষ্কৃত হয়। এরপর ১৯৮৯ সালে তেল উত্তোলন শুরু হয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ তেল আরোহণের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ফ্রান্সের ফরোসল (ফস্টাল) নামের একটি কোম্পানিকে তেল আরোহণের জন্য নিযুক্ত করা হয়। ৮ হাজার ফিট গভীর থেকে ১২ ইঞ্চি ব্যাসার্ধ্যরে একটি কূপের মাধ্যমে তেল আরোহণ শুরু হয়। কিন্তু উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ফরোসল কোম্পানিও সবকিছু গুটিয়ে চলে যায়। আজও এর রহস্য উন্মোচন হয়নি। বক্তারা বলেন, সেই ফরোসল কোম্পানি শালবাহান তেলখনির অপর প্রান্তের ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার রায়গঞ্জ থানার জমাদারপাড়া গ্রামে খননকার্য শুরু করে বলে জানা যায়। অনেকে বলছে, ভারত অদৃশ্যভাবে সেখান থেকে তেল উত্তোলন করছে। বক্তারা বলেন, অচিরেই শালবাহান তেলখনি কেন বন্ধ করা হয়েছে এজন্য সরকারের তদন্ত করা প্রয়োজন। তদন্ত করে পুনরায় তেল উত্তোলনের দাবি জানান তারা। বক্তারা বলেন, সরকার শিগগিরই উদ্যোগ না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।