রাষ্ট্র সংস্কারে যেসব উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েছে, তাতে শিক্ষা খাত সংস্কারে কোনো কমিশন গঠন না করায় প্রশ্ন তুলেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ব্যবসা খাতের সংস্কার নিয়ে আলোচনা নেই। গোয়েন্দা সংস্থার সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা হয় না।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতির সংস্কার নিয়ে কথা বলতে গেলে সেটাকে বিরাজনৈতিকীকরণ বলা হচ্ছে। আমলাতন্ত্র সংস্কারের নামে যা হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়। যে শিক্ষাক্ষেত্র থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের সূচনা, সেই শিক্ষা খাতের সংস্কারে কোনো কমিশনই গঠন করা হয়নি।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘সমাবেশ ও সম্মেলন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক এসব কথা বলেন। জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ব্যবসা খাতের সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা নেই মন্তব্য করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “রাজনীতি, আমলাতন্ত্র ও ব্যবসায়ীরা মিলে বিগত সময়ে দেশে ‘চোরতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা করেছিল। এত কম সময়ে কোনো দেশ থেকে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচারের উদাহরণ বিশ্বে নেই। এর পেছনে অন্যতম ভূমিকা ছিল ব্যবসায়ীদের। অথচ ব্যবসা খাতের সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা নেই।”
আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে কথা বললে বেছে বেছে কয়েকটি শব্দ সংবাদমাধ্যমে আসে এমন মন্তব্য করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এর কারণ সেখানে সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব রয়েছে। তারা চায় না আদিবাসীদের অধিকার সম্পর্কে আলোচনা হোক।’
সারা বিশ্বের শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সেনাবাহিনী নিজেদের পার্বত্যাঞ্চলে কাজে লাগাতে পারছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘একইভাবে দেশে কর্তৃত্ববাদের বিকাশের অন্যতম চালিকাশক্তি গোয়েন্দা সংস্থার সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা হয় না। সেখানে শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে, চর্চার পরিবর্তন হয়নি।’ আলোচনা সভায় বিচার বিভাগের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগকে এখনও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেটি আপত্তিকর, যেটি হওয়ার কথা না।’
‘বিচারব্যবস্থার গভীরে কতটা পচন ধরেছে তা জানা-বোঝা জরুরি’ এমন মন্তব্য করে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘বিচার বিভাগ ঠিক না হওয়ার কারণে মানুষের অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু বিচারব্যবস্থাকে ঠিক করা গেলে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।’ আলোচনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি: গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ঝুঁকি ও সম্ভাবনা’ ও ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর: সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। এ সময় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশ ব্যানারে একটি মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। মিছিলটি টিএসসি ঘুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে এসে শেষ হয়।
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
রাষ্ট্র সংস্কারে যেসব উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েছে, তাতে শিক্ষা খাত সংস্কারে কোনো কমিশন গঠন না করায় প্রশ্ন তুলেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ব্যবসা খাতের সংস্কার নিয়ে আলোচনা নেই। গোয়েন্দা সংস্থার সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা হয় না।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতির সংস্কার নিয়ে কথা বলতে গেলে সেটাকে বিরাজনৈতিকীকরণ বলা হচ্ছে। আমলাতন্ত্র সংস্কারের নামে যা হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়। যে শিক্ষাক্ষেত্র থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের সূচনা, সেই শিক্ষা খাতের সংস্কারে কোনো কমিশনই গঠন করা হয়নি।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘সমাবেশ ও সম্মেলন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক এসব কথা বলেন। জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ব্যবসা খাতের সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা নেই মন্তব্য করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “রাজনীতি, আমলাতন্ত্র ও ব্যবসায়ীরা মিলে বিগত সময়ে দেশে ‘চোরতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা করেছিল। এত কম সময়ে কোনো দেশ থেকে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচারের উদাহরণ বিশ্বে নেই। এর পেছনে অন্যতম ভূমিকা ছিল ব্যবসায়ীদের। অথচ ব্যবসা খাতের সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা নেই।”
আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে কথা বললে বেছে বেছে কয়েকটি শব্দ সংবাদমাধ্যমে আসে এমন মন্তব্য করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এর কারণ সেখানে সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব রয়েছে। তারা চায় না আদিবাসীদের অধিকার সম্পর্কে আলোচনা হোক।’
সারা বিশ্বের শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সেনাবাহিনী নিজেদের পার্বত্যাঞ্চলে কাজে লাগাতে পারছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘একইভাবে দেশে কর্তৃত্ববাদের বিকাশের অন্যতম চালিকাশক্তি গোয়েন্দা সংস্থার সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা হয় না। সেখানে শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে, চর্চার পরিবর্তন হয়নি।’ আলোচনা সভায় বিচার বিভাগের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগকে এখনও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেটি আপত্তিকর, যেটি হওয়ার কথা না।’
‘বিচারব্যবস্থার গভীরে কতটা পচন ধরেছে তা জানা-বোঝা জরুরি’ এমন মন্তব্য করে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘বিচার বিভাগ ঠিক না হওয়ার কারণে মানুষের অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু বিচারব্যবস্থাকে ঠিক করা গেলে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।’ আলোচনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি: গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ঝুঁকি ও সম্ভাবনা’ ও ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর: সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। এ সময় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশ ব্যানারে একটি মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। মিছিলটি টিএসসি ঘুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে এসে শেষ হয়।