সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ দেশের সকল ভক্তের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
(১৮ জুলাই) দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালিতে অবস্থিত হুমায়ূন আহমেদের ‘বাগানবাড়ি’ নূহাশ পল্লীতে এই কথাসাহিত্যিকের ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দুই পুত্র-নিনিত ও নিসাদ।
শাওন বলেন, “হুমায়ূন আহমেদ যা গড়ে গিয়েছিলেন, তা আগের মতোই রাখা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। তিনি নূহাশ পল্লীতে বাংলাদেশে পাওয়া প্রায় সব প্রজাতির গাছ লাগিয়েছিলেন। এমনকি দেশের বাইর থেকেও গাছ সংগ্রহ করে আনতেন। এটি এখন একটি গাছ ও পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে উঠেছে। এখনো আমরা দুর্লভ কোনো গাছ পেলে এখানে এনে লাগাই।”
তিনি আরও বলেন, “নূহাশ পল্লী কোনো শুটিং স্পট নয়। এটি হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতির আধার। স্মৃতি ধরে রাখা মানে কোনো মূর্তি বা মিনার বানানো নয়—স্মৃতি হৃদয়ে ধারণ করাই প্রকৃত স্মরণ। গত ১৩ বছরে তার লেখার পাঠক সংখ্যা আরও বেড়েছে। তরুণ প্রজন্মকেও আমি আহ্বান জানাই, তারা যেন হুমায়ূন আহমেদের আদর্শ ধারণ করে।”
তিনি জানান, “স্মৃতি জাদুঘর গড়ে তোলার জন্য যে ধরনের আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন, তা এখনও পাওয়া যায়নি। নূহাশ পল্লী সেই লক্ষ্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।”
প্রতিবারের মতো এবারও হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার পরিবারের সদস্য, সাহিত্যিক, কবি, লেখক এবং ভক্তরা ফুল হাতে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনেকে লেখকের জনপ্রিয় চরিত্র ‘হিমু’র হলুদ পাঞ্জাবি ও ‘রূপা’র নীল শাড়িতে সেজে উপস্থিত হন।
জিয়ারত শেষে দোয়া, কুরআনখানি এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। প্রসঙ্গত, নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা ফয়েজুর রহমান এবং মাতা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ দেশের সকল ভক্তের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
(১৮ জুলাই) দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালিতে অবস্থিত হুমায়ূন আহমেদের ‘বাগানবাড়ি’ নূহাশ পল্লীতে এই কথাসাহিত্যিকের ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দুই পুত্র-নিনিত ও নিসাদ।
শাওন বলেন, “হুমায়ূন আহমেদ যা গড়ে গিয়েছিলেন, তা আগের মতোই রাখা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। তিনি নূহাশ পল্লীতে বাংলাদেশে পাওয়া প্রায় সব প্রজাতির গাছ লাগিয়েছিলেন। এমনকি দেশের বাইর থেকেও গাছ সংগ্রহ করে আনতেন। এটি এখন একটি গাছ ও পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে উঠেছে। এখনো আমরা দুর্লভ কোনো গাছ পেলে এখানে এনে লাগাই।”
তিনি আরও বলেন, “নূহাশ পল্লী কোনো শুটিং স্পট নয়। এটি হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতির আধার। স্মৃতি ধরে রাখা মানে কোনো মূর্তি বা মিনার বানানো নয়—স্মৃতি হৃদয়ে ধারণ করাই প্রকৃত স্মরণ। গত ১৩ বছরে তার লেখার পাঠক সংখ্যা আরও বেড়েছে। তরুণ প্রজন্মকেও আমি আহ্বান জানাই, তারা যেন হুমায়ূন আহমেদের আদর্শ ধারণ করে।”
তিনি জানান, “স্মৃতি জাদুঘর গড়ে তোলার জন্য যে ধরনের আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন, তা এখনও পাওয়া যায়নি। নূহাশ পল্লী সেই লক্ষ্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।”
প্রতিবারের মতো এবারও হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার পরিবারের সদস্য, সাহিত্যিক, কবি, লেখক এবং ভক্তরা ফুল হাতে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনেকে লেখকের জনপ্রিয় চরিত্র ‘হিমু’র হলুদ পাঞ্জাবি ও ‘রূপা’র নীল শাড়িতে সেজে উপস্থিত হন।
জিয়ারত শেষে দোয়া, কুরআনখানি এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। প্রসঙ্গত, নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা ফয়েজুর রহমান এবং মাতা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।