লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় দুর্বৃত্তদের বিষ প্রয়োগে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনায় দিশেহারা মাছ চাষি বলছেন, ‘মাছের সঙ্গে এমন শত্রুতা কে করতে পারে?’
সোমবার,(২১ জুলাই ২০২৫) রাতে উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের পন্ডিতপাড়া এলাকায় প্রায় এক একর জমির একটি মাছের প্রকল্পে বিষ প্রয়োগ করা হয়।
ভুক্তভোগী খামারি ইয়াকুব আলী জানান, কয়েক বছর ধরে লালন-পালন করা মাছ বিক্রির প্রস্তুতি চলছিল।
এমন সময় পুকুরের সব মাছ মরে যাওয়ায় তিনি বিপাকে পড়েছেন। তিনি পন্ডিতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও দিল মাহমুদের ছেলে।
চোখে-মুখে হতাশা নিয়ে ইয়াকুব আলী বলেন, ‘সকালে পুকুরে এসে দেখি মাছ ভেসে উঠেছে। পাড়ে মাছ মারার জন্য ব্যবহৃত এক ধরনের বিষাক্ত ট্যাবলেটও পড়ে থাকতে দেখি। কে বা কারা রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগ করেছে, বুঝতে পারছি না। প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পূর্ব কোনো শত্রুতা বা প্রতিহিংসা থেকে হয়তো এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। এমন জঘন্য কাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
ইয়াকুব আলীর ছোট ভাই ইজ্জত আলী জানান, ‘অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই চক্রান্তকারীরা মাছ নিধন করেছে। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি এবং প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও শাস্তির দাবি জানিয়েছি।’
প্রতিবেশী ফজলুর হক ও গজর উদ্দিন বলেন, ‘ইয়াকুব মাছ চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। পুরো পুকুরের মাছ মারা গেছে। যারা এমন কাজ করেছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুল মোফাচ্ছালীন বলেন, ‘মাছ চাষি ইয়াকুব আলী ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ভবিষ্যতে যেকোনো প্রণোদনা বা সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে তাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া হবে।’
কালীগঞ্জ থানার ওসি সেলিম মালিক বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে এবং তদন্ত চলছে। যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ উপজেলায় মাছের ঘের ও ফসলি জমিতে এমন বিষ প্রয়োগের ঘটনা মাঝে মধ্যে ঘটে থাকে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে।
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় দুর্বৃত্তদের বিষ প্রয়োগে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনায় দিশেহারা মাছ চাষি বলছেন, ‘মাছের সঙ্গে এমন শত্রুতা কে করতে পারে?’
সোমবার,(২১ জুলাই ২০২৫) রাতে উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের পন্ডিতপাড়া এলাকায় প্রায় এক একর জমির একটি মাছের প্রকল্পে বিষ প্রয়োগ করা হয়।
ভুক্তভোগী খামারি ইয়াকুব আলী জানান, কয়েক বছর ধরে লালন-পালন করা মাছ বিক্রির প্রস্তুতি চলছিল।
এমন সময় পুকুরের সব মাছ মরে যাওয়ায় তিনি বিপাকে পড়েছেন। তিনি পন্ডিতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও দিল মাহমুদের ছেলে।
চোখে-মুখে হতাশা নিয়ে ইয়াকুব আলী বলেন, ‘সকালে পুকুরে এসে দেখি মাছ ভেসে উঠেছে। পাড়ে মাছ মারার জন্য ব্যবহৃত এক ধরনের বিষাক্ত ট্যাবলেটও পড়ে থাকতে দেখি। কে বা কারা রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগ করেছে, বুঝতে পারছি না। প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পূর্ব কোনো শত্রুতা বা প্রতিহিংসা থেকে হয়তো এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। এমন জঘন্য কাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
ইয়াকুব আলীর ছোট ভাই ইজ্জত আলী জানান, ‘অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই চক্রান্তকারীরা মাছ নিধন করেছে। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি এবং প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও শাস্তির দাবি জানিয়েছি।’
প্রতিবেশী ফজলুর হক ও গজর উদ্দিন বলেন, ‘ইয়াকুব মাছ চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। পুরো পুকুরের মাছ মারা গেছে। যারা এমন কাজ করেছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুল মোফাচ্ছালীন বলেন, ‘মাছ চাষি ইয়াকুব আলী ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ভবিষ্যতে যেকোনো প্রণোদনা বা সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে তাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া হবে।’
কালীগঞ্জ থানার ওসি সেলিম মালিক বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে এবং তদন্ত চলছে। যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ উপজেলায় মাছের ঘের ও ফসলি জমিতে এমন বিষ প্রয়োগের ঘটনা মাঝে মধ্যে ঘটে থাকে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে।