গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : পদ্মায় মা ইলিশ শিকারের ব্যাপক আয়োজন চলছে -সংবাদ
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা করে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তবে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনাসহ পদ্মা পাড়ের বিভিন্ন স্থানে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ইলিশ শিকারের ব্যাপক আয়োজন চলছে। বছরের অন্য সময়ের চেয়ে পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে বেশি ইলিশ ধরা পরা এবং এই সময়ে পদ্মা নদীতে বিচরন করা মা ইলিশগুলো পরবর্তীতে এই এলাকায় না থাকার যুক্তি তুলে ধরে পেশাদার জেলে ছাড়াও অসংখ্য মৌসুমি জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ মাছ শিকারের নানা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রশাসনের অভিযানকে ফাঁকি দিয়ে বিগত বছরে বিপুল পরিমান মা ইলিশ শিকারের অভিজ্ঞতার ধারাবহিকতায় এই প্রস্তুতি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। এসময় নদীতে মাছ ধরা, মজুদ করা, পরিবহন করা, বাজারজাত সহ সকল ধরনের ক্রয়-বিক্রয় সম্পুর্ন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। বাইশ দিনের এই সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা পাড়ের বিভিন্ন পয়েন্টে মা-ইলিশ শিকারের নানা আয়োজন করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই ইলিশ মাছ ধরার জন্য জেলেরা জাল-নৌকা মেরামত ও পর্যাপ্ত সরঞ্জাম প্রস্তুত করেছেন পেশাদার জেলেসহ মৌসুমী জেলেরা।
নাম প্রকাশ না কার শর্তে একাধিক জেলে জানান, বছরের অন্যান্য সময় পদ্মা নদীর এই এলাকায় তেমন একটা ইলিশের দেখা পাওয়া যায় না। কারণ ইলিশ মাছ সাগর থেকে নদীতে আসার পর ভাটি অঞ্চলগুলোতে (যেমন, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা) ওই সব অঞ্চলের জেলেরা বৈধ-অবৈধ নানা ধরনের জাল ব্যবহার করে ইলিশ মাছ শিকার করে। এতেকরে ইলিশ মাছ এ এলাকায় পৌঁছানোর আগেই ওই অঞ্চলে মারা পড়ে। আর এখানকার জেলেরা তেমন একটা ইলিশের দেখা পায় না। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযানের কারণে বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে প্রচুর ইলিশ ধরা পরে। আর ওই ইলিশের লোভে পড়ে এ এলাকার জেলেরা এই সময় ইলিশ শিকারের জন্য নানা আয়োজন করে থাকে।
সরেজমিন গোয়ালন্দ উপজেলা দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সাত্তার মেম্বার পাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই চলছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও জেলে নৌকা মেরামতের কাজ। তারা জানান, আকার ভেদে প্রতি সেট কারেন্ট জাল তৈরীতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ পড়ে। অভিযানে জাল জব্দ ও জেল জরিমানার কথা বললে তারা বলেন, ‘একদিন মাছ ধরতে পারলে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার মাছ ধরা যায়। এতে জালের খরচ উঠে আসে। এর আগেও আমরা একাধিকবার ১০/১৫ দিন করে জেল খেটেছি। এসময় কেউ কেউ জানান, তারা শুধু নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ ধরেন। কারণ এই সময়ই নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায়। যা অন্য সময় পাওয়া যায় না। বাবুল হালদার নামের এক জেলে জানান, ২২ দিন নদীতে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই ২২ দিন আমরা ভাগ-ভাগি নিয়ে কি খাবো, এ নিয়ে চিন্তায় আছি। লোনের কিস্তি, সংসারের খরচ চালোনো আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। আড়ৎদারদের নিকট থেকে দাদন নেওয়া আছে, তাদের নিকট থেকে আরো দাদনের টাকা নিয়ে আমাদের চলতে হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত বছর গুলোতে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে শিকার করা ইলিশ স্থানীয় আড়ত অথবা বাজারে বিক্রি করতে না পারলেও পদ্মা পাড়ের দূর্গম কলাবাগান এলাকায় মা ইলিশ বেচা-কেনার অস্থায়ী বাজার বসানো হয়েছিল। দূর্গম পথ ও ওই বাজারে এত ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনা ছিল যে প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি ছাড়া সচারাচর অভিযান চালানোও সম্ভব হয়নি। এই বাজার ছাড়াও পদ্মা পাড়ের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিক্রি করা হয়েছিল মা ইলিশ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের অন্তার মোড় থেকে শুরু করে দেবগ্রাম, দৌলতদিয়া ও উজানচর ইউনিয়নের পদ্মা পাড়ের বিস্তৃর্ণ এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে শত শত নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মা ইলিশ শিকারের জন্য। প্রত্যেক জেলে দল একাধিক নৌকা-জাল বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত করে রাখছেন। অভিযানের সময় নৌকা জাল ধরা পড়লে যেন বিকল্প সেট নিয়ে ইলিশ শিকারে নামতে পারেন। জেলেদের অভিযোগ, বিকল্প কর্মসংস্থান বা পর্যাপ্ত সহায়তা না থাকায় তারা বাধ্য হচ্ছেন মাছ শিকারে নামতে। সরকারের পক্ষ থেকে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি তাদের। এ ছাড়াও রয়েছে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত সুবিধা অন্য পেশার মানুষকে দেয়ার অভিযোগও। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, জেলেদের জন্য যথাযথ সহায়তা নিশ্চিত করা এবং তা যথাযথ ভাবে প্রদান করা না গেলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা কঠিন হবে। ফলে একদিকে ইলিশের প্রজনন ব্যাহত হবে, অন্যদিকে নদী তীরবর্তী মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) ত্রীনাথ সাহা বলেন, নৌ পুলিশের ফরিদপুর জোনের এসপি’র নেতৃত্বে নদীতে অভিযান ও পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশসহ টাস্কফোর্স মাঠে কঠো অবস্থানে থাকবে ।
গোয়ালন্দ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট সাংবাদিকদের জানান, মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ, কারেন্ট জাল পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনই অন্তত এক হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও একটি নৌকা জব্দ করা হয়েছে। নিয়মিত জেলে বা মৌসুমী জেলে মা ইলিশ শিকারের প্রস্তুতি নিলিও নদীতে গেলে তারা অভিযানের মুখে পড়বে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জাল-নৌকা জব্দ ও আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। তিনি আরো বলেন, মা-ইলিশ সংরক্ষণে সকলকে সচেতন হতে হবে, অন্যথায় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইলিশ সংকটে পড়বে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : পদ্মায় মা ইলিশ শিকারের ব্যাপক আয়োজন চলছে -সংবাদ
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা করে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তবে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনাসহ পদ্মা পাড়ের বিভিন্ন স্থানে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ইলিশ শিকারের ব্যাপক আয়োজন চলছে। বছরের অন্য সময়ের চেয়ে পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে বেশি ইলিশ ধরা পরা এবং এই সময়ে পদ্মা নদীতে বিচরন করা মা ইলিশগুলো পরবর্তীতে এই এলাকায় না থাকার যুক্তি তুলে ধরে পেশাদার জেলে ছাড়াও অসংখ্য মৌসুমি জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ মাছ শিকারের নানা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রশাসনের অভিযানকে ফাঁকি দিয়ে বিগত বছরে বিপুল পরিমান মা ইলিশ শিকারের অভিজ্ঞতার ধারাবহিকতায় এই প্রস্তুতি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। এসময় নদীতে মাছ ধরা, মজুদ করা, পরিবহন করা, বাজারজাত সহ সকল ধরনের ক্রয়-বিক্রয় সম্পুর্ন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। বাইশ দিনের এই সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা পাড়ের বিভিন্ন পয়েন্টে মা-ইলিশ শিকারের নানা আয়োজন করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই ইলিশ মাছ ধরার জন্য জেলেরা জাল-নৌকা মেরামত ও পর্যাপ্ত সরঞ্জাম প্রস্তুত করেছেন পেশাদার জেলেসহ মৌসুমী জেলেরা।
নাম প্রকাশ না কার শর্তে একাধিক জেলে জানান, বছরের অন্যান্য সময় পদ্মা নদীর এই এলাকায় তেমন একটা ইলিশের দেখা পাওয়া যায় না। কারণ ইলিশ মাছ সাগর থেকে নদীতে আসার পর ভাটি অঞ্চলগুলোতে (যেমন, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা) ওই সব অঞ্চলের জেলেরা বৈধ-অবৈধ নানা ধরনের জাল ব্যবহার করে ইলিশ মাছ শিকার করে। এতেকরে ইলিশ মাছ এ এলাকায় পৌঁছানোর আগেই ওই অঞ্চলে মারা পড়ে। আর এখানকার জেলেরা তেমন একটা ইলিশের দেখা পায় না। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযানের কারণে বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে প্রচুর ইলিশ ধরা পরে। আর ওই ইলিশের লোভে পড়ে এ এলাকার জেলেরা এই সময় ইলিশ শিকারের জন্য নানা আয়োজন করে থাকে।
সরেজমিন গোয়ালন্দ উপজেলা দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সাত্তার মেম্বার পাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই চলছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও জেলে নৌকা মেরামতের কাজ। তারা জানান, আকার ভেদে প্রতি সেট কারেন্ট জাল তৈরীতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ পড়ে। অভিযানে জাল জব্দ ও জেল জরিমানার কথা বললে তারা বলেন, ‘একদিন মাছ ধরতে পারলে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার মাছ ধরা যায়। এতে জালের খরচ উঠে আসে। এর আগেও আমরা একাধিকবার ১০/১৫ দিন করে জেল খেটেছি। এসময় কেউ কেউ জানান, তারা শুধু নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ ধরেন। কারণ এই সময়ই নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায়। যা অন্য সময় পাওয়া যায় না। বাবুল হালদার নামের এক জেলে জানান, ২২ দিন নদীতে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই ২২ দিন আমরা ভাগ-ভাগি নিয়ে কি খাবো, এ নিয়ে চিন্তায় আছি। লোনের কিস্তি, সংসারের খরচ চালোনো আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। আড়ৎদারদের নিকট থেকে দাদন নেওয়া আছে, তাদের নিকট থেকে আরো দাদনের টাকা নিয়ে আমাদের চলতে হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত বছর গুলোতে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে শিকার করা ইলিশ স্থানীয় আড়ত অথবা বাজারে বিক্রি করতে না পারলেও পদ্মা পাড়ের দূর্গম কলাবাগান এলাকায় মা ইলিশ বেচা-কেনার অস্থায়ী বাজার বসানো হয়েছিল। দূর্গম পথ ও ওই বাজারে এত ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনা ছিল যে প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি ছাড়া সচারাচর অভিযান চালানোও সম্ভব হয়নি। এই বাজার ছাড়াও পদ্মা পাড়ের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিক্রি করা হয়েছিল মা ইলিশ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের অন্তার মোড় থেকে শুরু করে দেবগ্রাম, দৌলতদিয়া ও উজানচর ইউনিয়নের পদ্মা পাড়ের বিস্তৃর্ণ এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে শত শত নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মা ইলিশ শিকারের জন্য। প্রত্যেক জেলে দল একাধিক নৌকা-জাল বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত করে রাখছেন। অভিযানের সময় নৌকা জাল ধরা পড়লে যেন বিকল্প সেট নিয়ে ইলিশ শিকারে নামতে পারেন। জেলেদের অভিযোগ, বিকল্প কর্মসংস্থান বা পর্যাপ্ত সহায়তা না থাকায় তারা বাধ্য হচ্ছেন মাছ শিকারে নামতে। সরকারের পক্ষ থেকে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি তাদের। এ ছাড়াও রয়েছে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত সুবিধা অন্য পেশার মানুষকে দেয়ার অভিযোগও। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, জেলেদের জন্য যথাযথ সহায়তা নিশ্চিত করা এবং তা যথাযথ ভাবে প্রদান করা না গেলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা কঠিন হবে। ফলে একদিকে ইলিশের প্রজনন ব্যাহত হবে, অন্যদিকে নদী তীরবর্তী মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) ত্রীনাথ সাহা বলেন, নৌ পুলিশের ফরিদপুর জোনের এসপি’র নেতৃত্বে নদীতে অভিযান ও পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশসহ টাস্কফোর্স মাঠে কঠো অবস্থানে থাকবে ।
গোয়ালন্দ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট সাংবাদিকদের জানান, মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ, কারেন্ট জাল পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনই অন্তত এক হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও একটি নৌকা জব্দ করা হয়েছে। নিয়মিত জেলে বা মৌসুমী জেলে মা ইলিশ শিকারের প্রস্তুতি নিলিও নদীতে গেলে তারা অভিযানের মুখে পড়বে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জাল-নৌকা জব্দ ও আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। তিনি আরো বলেন, মা-ইলিশ সংরক্ষণে সকলকে সচেতন হতে হবে, অন্যথায় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইলিশ সংকটে পড়বে।