শরীয়তপুর : ভাঙনকবলিত এলাকা -সংবাদ
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নির্মাণাধীন ওই প্রকল্পের প্রায় ৩৫ কোটি টাকার বালু ভর্তি জিওব্যাগ তলিয়ে গেছে। ভাঙনে ওই এলাকার ২৪ টি বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন। গৃহহীন হয়েছে অন্তত ৪৫০টি পরিবার।
জাজিরার পূর্বনাওডোব ইউনিয়নের জিরোপয়েন্ট এলাকা থেকে জাজিরা ইউনিয়নের পাথালিয়াকান্দি পর্যন্ত ৮ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এর মধ্যে জিরোপয়েন্ট এলাকা থেকে কাথারিয়াকান্দি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ ভাঙনের কবলে পড়েছে। ওই স্থানে নদী ভেঙে ১০ মিটার থেকে ১১০ মিটার পর্যন্ত ভেতরে প্রবেশ করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ধীরগতিতে ও দেরিতে কাজ শুরু করার কারণে ভাঙনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, পদ্মা নদী শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনায় মিশেছে। এখানেই নির্মাণ করা হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। তার ভাটিতে পূর্ব নাওডোবার জিরোপয়েন্ট থেকে বিলাশপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। নদীর পাড় রক্ষায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ২০২৩ সালে ৮৬০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়। এতে পূর্ব নাওডোবা, পালেরচর, বড়কান্দি, জাজিরা ও বিলাশপুর ইউনিয়নে ৮ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৩১টি প্যাকেজে ভাগ করে বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ১৭ মে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হয়। এর আওতায় বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা ও পাথরের ব্লক বসানোর কাজ করা হয়। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর ভাঙন বেড়ে যায়। পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা সংলগ্ন রক্ষা বাঁধের এক কিলোমিটার অংশ নদীতে বিলীন হয়। গত এক মাস ধরে পূর্ব নাওডোবা থেকে পালেরচরের কাথুরিয়াকান্দি পর্যন্ত ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। নির্মাণাধীন বাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটার নদীতে বিলীন বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই এলাকায় ১০টি প্যাকেজের আওতায় ১০টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছিল। তারা মোট ৫ লাখ ২৪ হাজার জিওব্যাগ ফেলেছিল। কিন্তু ভাঙনের কারণে প্রায় সব ব্যাগ নদীতে ভেসে গেছে। এ বাবদ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার বিল উত্তোলন করেছে। পুরো প্রকল্প থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩১০ কোটি টাকা ঠিকাদাররা পেয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জিরোপয়েন্ট থেকে পালেরচর বাজারে যাওয়া সড়কের দেড় কিলোমিটার নদীতে তলিয়ে গেছে। নদীর তীরে স্তূপ করে রাখা পাথরের ব্লকও অনেক স্থানে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকেই নদী তীরে থাকা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নিয়েছেন। ওই এলাকায় বড় বড় নৌকায় করে জিও ব্যাক ক্যাম্পিংয়ের কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পের যে প্যাকেজগুলোর কাজ নদীতে বিলীন বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে একটি প্যাকেজের (জাজিরার জিরো পয়েন্ট এলাকার) কার্যাদেশ পায় খুলনা শিপইয়ার্ড। কার্যাদেশ পাওয়ার ৬ মাস পর গত জুলাইয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। দেরিতে কাজ শুরু হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে এই এলাকার তীব্র নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের।
পৈলান মোল্যাকান্দি গ্রামের খলিল তালুকদার বলেন, আধা ঘন্টার ভাঙনে আমার ৫টি ঘর ও এক বিঘা জমি নদীতে চলে গেছে। এখন আমার কিছুই নেই। পথে পথে ঘুরি আর যার বাড়ি পাই সেখানেই রাত কাটায়। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত শাহিন কাজীর বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। তিনি বলেন, যেটুকু জায়গা জমি বাকি আছে তা ভেঙে গেলে বেঁচে থাকার শেষ আশ্রয়টুকু থাকবে না। আমাদের আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কবরও নদীতে তলিয়ে গেছে। একই গ্রামের আবু বকর আকনের বসতবাড়ি ও চার বিঘা ফসলি জমি পদ্মায় তলিয়ে গেছে। তিনি এখন আত্মীয়ের উঠানে অস্থায়ী ছাপড়ায় বসবাস করছেন। তার অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার পর স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু ধীরগতির কাজ আমাদের সর্বনাশ করেছে। ভাঙনে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। পালের চর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য মুজিবুর রহমান মাদবর আক্ষেপ করে বলেন, শুষ্ক মৌসুমে কাজ করার কথা থাকলেও তারা কাজ করে বর্ষায় আগুন শুরু হলে। তার কারণে সঠিকভাবে জিও ব্যাক ডাম্পিং হয় না। তাছাড়া মাঝ নদীতে ডুবোচর থাকায় নদীর ডান তীর ঘেঁষে স্রোত প্রবাহিত হয়। তাই ভাঙ্গনের তীব্রতা এবছর অনেক বেশি। ভাঙ্গন শুরুর আগে জিও ব্যাক বাম্পিং করলে আমাদের এলাকা এমন ভাঙনের কবলে পড়তো না। ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাইট ইঞ্জিনীয়ার আফতালুন ইসলাম বলেন, প্রকল্প এলাকার ১১টি প্যাকেজ নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। আমাদের অনেক মালামাল ভেসে যাচ্ছে। ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে মালামাল গুলো সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করছি। তিনি আরো বলেন, ভাঙন থেমে গেলে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে নতুন করে নকশা করা হলে আবারো কাজ শুরু করা যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান জানান, নদীর তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কিছু অংশ ভাঙনের কবলে পড়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা জরিপ করছি। সার্ভের প্রতিবেদন অনুযায়ী ডিজাইন সংশোধন করে পুনরায় কাজ শুরু করা হবে। এতে ব্যয় কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শরীয়তপুর : ভাঙনকবলিত এলাকা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নির্মাণাধীন ওই প্রকল্পের প্রায় ৩৫ কোটি টাকার বালু ভর্তি জিওব্যাগ তলিয়ে গেছে। ভাঙনে ওই এলাকার ২৪ টি বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন। গৃহহীন হয়েছে অন্তত ৪৫০টি পরিবার।
জাজিরার পূর্বনাওডোব ইউনিয়নের জিরোপয়েন্ট এলাকা থেকে জাজিরা ইউনিয়নের পাথালিয়াকান্দি পর্যন্ত ৮ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এর মধ্যে জিরোপয়েন্ট এলাকা থেকে কাথারিয়াকান্দি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ ভাঙনের কবলে পড়েছে। ওই স্থানে নদী ভেঙে ১০ মিটার থেকে ১১০ মিটার পর্যন্ত ভেতরে প্রবেশ করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ধীরগতিতে ও দেরিতে কাজ শুরু করার কারণে ভাঙনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, পদ্মা নদী শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনায় মিশেছে। এখানেই নির্মাণ করা হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। তার ভাটিতে পূর্ব নাওডোবার জিরোপয়েন্ট থেকে বিলাশপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। নদীর পাড় রক্ষায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ২০২৩ সালে ৮৬০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়। এতে পূর্ব নাওডোবা, পালেরচর, বড়কান্দি, জাজিরা ও বিলাশপুর ইউনিয়নে ৮ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৩১টি প্যাকেজে ভাগ করে বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ১৭ মে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হয়। এর আওতায় বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা ও পাথরের ব্লক বসানোর কাজ করা হয়। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর ভাঙন বেড়ে যায়। পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা সংলগ্ন রক্ষা বাঁধের এক কিলোমিটার অংশ নদীতে বিলীন হয়। গত এক মাস ধরে পূর্ব নাওডোবা থেকে পালেরচরের কাথুরিয়াকান্দি পর্যন্ত ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। নির্মাণাধীন বাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটার নদীতে বিলীন বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই এলাকায় ১০টি প্যাকেজের আওতায় ১০টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছিল। তারা মোট ৫ লাখ ২৪ হাজার জিওব্যাগ ফেলেছিল। কিন্তু ভাঙনের কারণে প্রায় সব ব্যাগ নদীতে ভেসে গেছে। এ বাবদ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার বিল উত্তোলন করেছে। পুরো প্রকল্প থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩১০ কোটি টাকা ঠিকাদাররা পেয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জিরোপয়েন্ট থেকে পালেরচর বাজারে যাওয়া সড়কের দেড় কিলোমিটার নদীতে তলিয়ে গেছে। নদীর তীরে স্তূপ করে রাখা পাথরের ব্লকও অনেক স্থানে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকেই নদী তীরে থাকা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নিয়েছেন। ওই এলাকায় বড় বড় নৌকায় করে জিও ব্যাক ক্যাম্পিংয়ের কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পের যে প্যাকেজগুলোর কাজ নদীতে বিলীন বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে একটি প্যাকেজের (জাজিরার জিরো পয়েন্ট এলাকার) কার্যাদেশ পায় খুলনা শিপইয়ার্ড। কার্যাদেশ পাওয়ার ৬ মাস পর গত জুলাইয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। দেরিতে কাজ শুরু হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে এই এলাকার তীব্র নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের।
পৈলান মোল্যাকান্দি গ্রামের খলিল তালুকদার বলেন, আধা ঘন্টার ভাঙনে আমার ৫টি ঘর ও এক বিঘা জমি নদীতে চলে গেছে। এখন আমার কিছুই নেই। পথে পথে ঘুরি আর যার বাড়ি পাই সেখানেই রাত কাটায়। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত শাহিন কাজীর বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। তিনি বলেন, যেটুকু জায়গা জমি বাকি আছে তা ভেঙে গেলে বেঁচে থাকার শেষ আশ্রয়টুকু থাকবে না। আমাদের আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কবরও নদীতে তলিয়ে গেছে। একই গ্রামের আবু বকর আকনের বসতবাড়ি ও চার বিঘা ফসলি জমি পদ্মায় তলিয়ে গেছে। তিনি এখন আত্মীয়ের উঠানে অস্থায়ী ছাপড়ায় বসবাস করছেন। তার অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার পর স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু ধীরগতির কাজ আমাদের সর্বনাশ করেছে। ভাঙনে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। পালের চর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য মুজিবুর রহমান মাদবর আক্ষেপ করে বলেন, শুষ্ক মৌসুমে কাজ করার কথা থাকলেও তারা কাজ করে বর্ষায় আগুন শুরু হলে। তার কারণে সঠিকভাবে জিও ব্যাক ডাম্পিং হয় না। তাছাড়া মাঝ নদীতে ডুবোচর থাকায় নদীর ডান তীর ঘেঁষে স্রোত প্রবাহিত হয়। তাই ভাঙ্গনের তীব্রতা এবছর অনেক বেশি। ভাঙ্গন শুরুর আগে জিও ব্যাক বাম্পিং করলে আমাদের এলাকা এমন ভাঙনের কবলে পড়তো না। ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাইট ইঞ্জিনীয়ার আফতালুন ইসলাম বলেন, প্রকল্প এলাকার ১১টি প্যাকেজ নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। আমাদের অনেক মালামাল ভেসে যাচ্ছে। ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে মালামাল গুলো সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করছি। তিনি আরো বলেন, ভাঙন থেমে গেলে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে নতুন করে নকশা করা হলে আবারো কাজ শুরু করা যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান জানান, নদীর তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কিছু অংশ ভাঙনের কবলে পড়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা জরিপ করছি। সার্ভের প্রতিবেদন অনুযায়ী ডিজাইন সংশোধন করে পুনরায় কাজ শুরু করা হবে। এতে ব্যয় কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।