ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
টাঙ্গাইলে যমুনাসহ প্রায় সব নদনদীতেই পানি বেড়েছে অস্বাভাবিক গতিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার যমুনা নদীতে ৫৪ সে.মি., ঝিনাই নদীতে ৫২ সে.মি. পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিবৃষ্টি আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে হঠাৎ নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার নিন্মাঞ্চল, চরাঞ্চল ও আবাদি জমিতে পানি উঠছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শঙ্কিত নিন্মাঞ্চল ও চরাঞ্চলের কৃষকরা। এমনিতেই অতিবৃষ্টি এরমধ্যে নদনদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় শীতকালীন সবজি চাষ মারাত্মক ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ০৬ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৭০ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১১.৭৬ মিটার)। অন্যদিকে জেলার বংশাই নদীর মধুপুর স্মৃতি স্কুল পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩ দশমিক ৪৯ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৩.২৪ মিটার)।
ধলেশ্বরী নদীর এলাসিন পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি অপরিবর্তিত রয়েছে। বিপৎসীমার ১ দশমিক ৮৭ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ৯.৪২ মিটার)। ঝিনাই নদীর জোকার চর পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৩৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১১.২৯ মিটার)। এ্যালাংজানি নদীর ফটিকজানি নলচাপা পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ০৯ মিটার।
২৪ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৮৭ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১১.৯৬ মিটার)।
জুলহাস মিয়া, হেকমত সরকার, আয়নাল হকসহ চরাঞ্চলের বেশকয়েকজন কৃষক বলেন, একদিনে যমুনা নদীতে আড়াই ফুট পানি বাড়ছে। এই বছরে এই সময়ে এটা একেবারেই অস্বাভাবিক। এভাবে আর দু-তিন দিন পানি বাড়লেই বন্যা হয়ে ফসলের মাঠ তলিয়ে যাবে। এভাবে পানি বাড়লে শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন আবাদ নষ্ট হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাখিল রায়হান বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক গতিতে পানি বেড়েছে। তবে বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে অতিবৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে থাকায় শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন আবাদ নষ্ট হচ্ছে। আগামী তিন দিন বৃষ্টিপাত হতে পারে ও নদীর পানি বাড়ার সম্ভাবনা আছে। এরপর স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
টাঙ্গাইলে যমুনাসহ প্রায় সব নদনদীতেই পানি বেড়েছে অস্বাভাবিক গতিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার যমুনা নদীতে ৫৪ সে.মি., ঝিনাই নদীতে ৫২ সে.মি. পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিবৃষ্টি আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে হঠাৎ নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার নিন্মাঞ্চল, চরাঞ্চল ও আবাদি জমিতে পানি উঠছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শঙ্কিত নিন্মাঞ্চল ও চরাঞ্চলের কৃষকরা। এমনিতেই অতিবৃষ্টি এরমধ্যে নদনদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় শীতকালীন সবজি চাষ মারাত্মক ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ০৬ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৭০ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১১.৭৬ মিটার)। অন্যদিকে জেলার বংশাই নদীর মধুপুর স্মৃতি স্কুল পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩ দশমিক ৪৯ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৩.২৪ মিটার)।
ধলেশ্বরী নদীর এলাসিন পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি অপরিবর্তিত রয়েছে। বিপৎসীমার ১ দশমিক ৮৭ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ৯.৪২ মিটার)। ঝিনাই নদীর জোকার চর পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৩৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১১.২৯ মিটার)। এ্যালাংজানি নদীর ফটিকজানি নলচাপা পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ০৯ মিটার।
২৪ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৮৭ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১১.৯৬ মিটার)।
জুলহাস মিয়া, হেকমত সরকার, আয়নাল হকসহ চরাঞ্চলের বেশকয়েকজন কৃষক বলেন, একদিনে যমুনা নদীতে আড়াই ফুট পানি বাড়ছে। এই বছরে এই সময়ে এটা একেবারেই অস্বাভাবিক। এভাবে আর দু-তিন দিন পানি বাড়লেই বন্যা হয়ে ফসলের মাঠ তলিয়ে যাবে। এভাবে পানি বাড়লে শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন আবাদ নষ্ট হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাখিল রায়হান বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক গতিতে পানি বেড়েছে। তবে বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে অতিবৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে থাকায় শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন আবাদ নষ্ট হচ্ছে। আগামী তিন দিন বৃষ্টিপাত হতে পারে ও নদীর পানি বাড়ার সম্ভাবনা আছে। এরপর স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।