alt

চকরিয়ায় জমি বিক্রিতে নজিরবিহীন জালিয়াতি

১২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতিনিধি, চকরিয়া (কক্সবাজার) : সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

কক্সবাজারের চকরিয়ায় নদীতে নিমজ্জিত জমিকে বাড়ি করার উপযোগী দেখিয়ে শাররীক প্রতিবন্ধি নারীর কাছে জমি বিক্রির নামে নজিরবিহীন জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ১২ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে একটি চক্র। এ ঘটনায় জন্নাত আরা বেগম নামের ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত চক্রের ৬ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা রুজু করেছেন।

আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল কবির মামলাটি আমলে নিয়ে এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল রোববার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদিপক্ষের কৌসুলী চকরিয়া আদালতের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট গোলাম ছরওয়ার।

মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন চকরিয়া পৌরসভার আবদুলবারী পাড়ার মোহাম্মদ সাকের আহমদ, উপজেলার মানিকপুরের ছাবের আহমদ, একই এলাকার বাসিন্দা (বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাও বিব্লকের ৪০৮ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা ডাক্তার আবদুল গণি সিকদার, কাকারা ইউনিয়নের মাইজকাকারা এলাকার মিজানুর রহমান, সরওয়ার আলম ও মানিকপুরের ভুমি সার্ভেয়ার নুরুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বাদি চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর মাজেরমুড়া এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী জন্নাত আরা বেগম বলেন, চারমাস আগে এজাহারনামীয় তিন নম্বর আসামি ডাক্তার আবদুল গণি সিকদার থেকে আমমোক্তার নামামুলে মালিক হয়ে এক নম্বর আসামি সাকের আহমদ ও দুই নম্বর আসামি ছাবের আহমদ চকরিয়া উপজেলার ফাইতং মৌজার বিএস ১৩৮ নম্বর খতিয়ানের বিএস ২৭৪ ও ২৬৮ নম্বর দাগের ৩০ শতক বাড়ির করার উপযোগী জমি বিক্রি করা হবে বলে আমাকে এবং আমার স্বামীকে জানান।

পরে তাদের কথা মতো আমরা জমি দেখতে যাই। এসময় ছয় নম্বর আসামি সার্ভেয়ার নুরুল ইসলাম জমি পরিমাপ করে আমাদের বিক্রি যোগ্য জমির পজিশন দেখান।

বাদি জন্নাত আরা বেগম মামলার এজাহারে আরও বলেন, জমি দেখার পর আমরা আমমোক্তার নামামুলে জমি মালিক এক ও দুই নম্বর বিবাদির কাছে নগদে ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করে উল্লেখিত ৩০ শতক জমি ২০২৫ সালের ৬ মে তারিখে চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ১৭৮৭ নম্বর রেজিস্ট্রাট দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে ক্রয় করি। অবশ্য জমি ক্রয়ের আগে চৌহদ্দি অনুযায়ী চারপাশে থাকা অপরাপর জমি মালিকদের কাছে ক্রয়কৃত জমি নিয়ে কোন আপত্তি আছে কীনা তা যাছাই করি। কিন্তু সে সময় কারো কোন অভিযোগ ছিল না।

ভুক্তভোগী জন্নাত আরা বেগম মামলার আর্জিতে বলেন, উল্লেখিত ৩০ শতক জমি ক্রয়ের পর প্রায় চার লাখ টাকা খরচ করে জমির বিপরীতে আমাদের নামীয় নতুন জমাভাগ খতিয়ানও সৃজিত হয়েছে। যার নম্বর ৪০৪।

এরপর গত ১ জুলাই তারিখে ক্রয়কৃত উক্ত জমিতে আমি ও আমার স্বামী ঘেরাবেড়া দিতে যাই। এসময় মামলার ৪ নম্বর আসামি মিজানুর রহমান ও ৫ নম্বর আসামি সরওয়ার আলম আমাদেরকে বাঁধা দেন, তারা বলেন আমাদের ক্রয়কৃত জমিটি নাকি তাদের। তারা এই জমি ডাক্তার আবদুল গণি সিকদার থেকে কিনেছেন। আমার কেনা জমি নাকি নদী ভাঙনে পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ভবিষ্যতে কোন সময় জেগে উঠলে আমরা ওই জমির মালিকানা দখল পাবো।

মামলার বাদি জন্নাত আরা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির করার উপযোগী সরস জমি আমাদেরকে দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে এই প্রতারক চক্র নদীতে তলিয়ে থাকা জমি বিক্রি করে আমাদের ১২ লাখ টাকা সুকৌশলে আত্মসাত করেছেন। ঘটনাটি আমমোক্তার নামামুলে বিক্রেতা মালিক সাকের আহমদ ও ছাবের আহমদ এবং জমির মুল মালিক ডাক্তার আবদুল গণি সিকদারকে জানালে তারা আমাকে জমি বুঝিয়ে দিতে নানাভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকে। মুলত সার্ভেয়ার নুরুল ইসলামের কুটচালের মাধ্যমে তারা জমি বিক্রির নামে আমার সঙ্গে জালিয়াতি ও প্রতারণা করেছে।

এ অবস্থায় বিষয়টি স্থানীয় সমাজপতি এবং জমি মালিকের ভাই মামলার স্বাক্ষী এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম সিকদারের কাছে নালিশ দিই। তাঁরা একাধিকবার বৈঠক করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেও জমির মুল মালিক ডাক্তার আবদুল গণি সিকদারের চল-চাতুরীর কারণে সমাধান করতে পারেনি।

এ অবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে সর্বশেষ গত ৮ সেপ্টেম্বর তারিখে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জালিয়াতি ও প্রতারণার ঘটনায় জড়িত চক্রের ৬ জনের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

বাদিপক্ষের আইনজীবী চকরিয়া আদালতের সিনিয়র এডভোকেট গোলাম ছরওয়ার বলেন, এজাহারনামীয় আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জমি বিক্রির নামে বাদির সঙ্গে প্রতারণা করে তার ১২ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। আদালত বাদির মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে কক্সবাজারের পিবিআই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ছবি

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ছবি

চট্টগ্রাম মহানগরীতে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে যুবক খুন

ছবি

তাহিরপুর সীমান্তে বিএসএফের হাতে তিন বাংলাদেশি আটক

ছবি

কাতালগঞ্জে ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে প্রতিপক্ষের হয়রানি

ছবি

হারিয়ে যাচ্ছে শ্রীমঙ্গলের বিলাস নদী

ছবি

নুরাল পাগলার দরবারে হামলার দুই মাস পর আদালতে নতুন মামলা

ছবি

মামলা করায় নারী শিল্পীকে মারধর, মুখে কালি ও চুল কেটে নির্যাতন

ছবি

পাচার হচ্ছে বিরল প্রজাতির লেমুরসহ বণ্যপ্রাণী, সঙ্গে যাচ্ছে কচ্ছপের হাড়ও

ছবি

মালয়েশিয়া কেড়ে নিলো ১৮ বছর, ফিরে দেখেন স্ত্রী অন্য সংসারে, বাবা-মা পরপারে

ছবি

শনিবার ভয়াল সিডর দিবস, এখনও সিডরের ক্ষত উপকূলে

ছবি

শুক্রবার ও বিভিন্ন জায়গায় পোড়ানো হয় যানবাহন

ছবি

রাজশাহীতে বিচারকের ছেলেকে হত্যার ঘটনায় মামলা

ছবি

সিরাজগঞ্জে জমে উঠেছে মানুষ বিক্রির হাট

ছবি

বিপন্ন প্রজাতির ছাতিম ফুলের তীব্র ঘ্রাণে বিমোহিত পথচারী

ছবি

মধুপুর গড়ের লাল মাটিতে কমলা চাষ

ছবি

ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তার ডিমোশন

ছবি

লাখাই উপজেলায় আমন ধান ঘরে তোলার অপেক্ষায়

ছবি

বরগুনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়ক যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই

ছবি

ঝুলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচন, এবার বাদীকে আদালত অবমাননার নোটিশ

বাগেরহাটে সামাজিক জবাবদিহিতার টুলস বিষয়ক প্রশিক্ষণ

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে এগ্রো ফার্মে চুরি

ছবি

গোয়ালন্দে যৌন উত্তেজক ঔষধ খেয়ে যুবকের মৃত

ছবি

গজারিয়ায় জনবল ঔষধ ও উপকরণ সংকটে পরিবার পরিকল্পনা সেবা ব্যাহত

ছবি

৩৮ বছরেও নেই অগ্রগতি, উদ্যোক্তা সংকটে ধুঁকছে লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরী

ছবি

কক্সবাজারের হোটেল কক্ষে পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে কাঠের পুল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

ছবি

ডিমলায় ভূমি দস্যদের অবৈধ দখলে নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে নদীগুলো

ছবি

কলারোয়ায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি

ছবি

অল্পের জন্য রক্ষা শতশত মানুষের প্রাণ

ঘুষ নিয়েও নথির দিতে অস্বীকার : সেবাগ্রহীতাকে মারধর

চট্টগ্রামে প্রতারণার মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

উলিপুরে হাতিয়া গণ-হত্যা দিবস পালিত

চান্দিনায় দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ ডাকাত গ্রেপ্তার

নাজিরপুরে গাজাঁসেবির ৬ মাসের কারাদণ্ড

ছবি

নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

কলমাকান্দায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে ছাগল ও উপকরণ বিতরণ

tab

চকরিয়ায় জমি বিক্রিতে নজিরবিহীন জালিয়াতি

১২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতিনিধি, চকরিয়া (কক্সবাজার)

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

কক্সবাজারের চকরিয়ায় নদীতে নিমজ্জিত জমিকে বাড়ি করার উপযোগী দেখিয়ে শাররীক প্রতিবন্ধি নারীর কাছে জমি বিক্রির নামে নজিরবিহীন জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ১২ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে একটি চক্র। এ ঘটনায় জন্নাত আরা বেগম নামের ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত চক্রের ৬ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা রুজু করেছেন।

আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল কবির মামলাটি আমলে নিয়ে এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল রোববার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদিপক্ষের কৌসুলী চকরিয়া আদালতের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট গোলাম ছরওয়ার।

মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন চকরিয়া পৌরসভার আবদুলবারী পাড়ার মোহাম্মদ সাকের আহমদ, উপজেলার মানিকপুরের ছাবের আহমদ, একই এলাকার বাসিন্দা (বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাও বিব্লকের ৪০৮ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা ডাক্তার আবদুল গণি সিকদার, কাকারা ইউনিয়নের মাইজকাকারা এলাকার মিজানুর রহমান, সরওয়ার আলম ও মানিকপুরের ভুমি সার্ভেয়ার নুরুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বাদি চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর মাজেরমুড়া এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী জন্নাত আরা বেগম বলেন, চারমাস আগে এজাহারনামীয় তিন নম্বর আসামি ডাক্তার আবদুল গণি সিকদার থেকে আমমোক্তার নামামুলে মালিক হয়ে এক নম্বর আসামি সাকের আহমদ ও দুই নম্বর আসামি ছাবের আহমদ চকরিয়া উপজেলার ফাইতং মৌজার বিএস ১৩৮ নম্বর খতিয়ানের বিএস ২৭৪ ও ২৬৮ নম্বর দাগের ৩০ শতক বাড়ির করার উপযোগী জমি বিক্রি করা হবে বলে আমাকে এবং আমার স্বামীকে জানান।

পরে তাদের কথা মতো আমরা জমি দেখতে যাই। এসময় ছয় নম্বর আসামি সার্ভেয়ার নুরুল ইসলাম জমি পরিমাপ করে আমাদের বিক্রি যোগ্য জমির পজিশন দেখান।

বাদি জন্নাত আরা বেগম মামলার এজাহারে আরও বলেন, জমি দেখার পর আমরা আমমোক্তার নামামুলে জমি মালিক এক ও দুই নম্বর বিবাদির কাছে নগদে ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করে উল্লেখিত ৩০ শতক জমি ২০২৫ সালের ৬ মে তারিখে চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ১৭৮৭ নম্বর রেজিস্ট্রাট দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে ক্রয় করি। অবশ্য জমি ক্রয়ের আগে চৌহদ্দি অনুযায়ী চারপাশে থাকা অপরাপর জমি মালিকদের কাছে ক্রয়কৃত জমি নিয়ে কোন আপত্তি আছে কীনা তা যাছাই করি। কিন্তু সে সময় কারো কোন অভিযোগ ছিল না।

ভুক্তভোগী জন্নাত আরা বেগম মামলার আর্জিতে বলেন, উল্লেখিত ৩০ শতক জমি ক্রয়ের পর প্রায় চার লাখ টাকা খরচ করে জমির বিপরীতে আমাদের নামীয় নতুন জমাভাগ খতিয়ানও সৃজিত হয়েছে। যার নম্বর ৪০৪।

এরপর গত ১ জুলাই তারিখে ক্রয়কৃত উক্ত জমিতে আমি ও আমার স্বামী ঘেরাবেড়া দিতে যাই। এসময় মামলার ৪ নম্বর আসামি মিজানুর রহমান ও ৫ নম্বর আসামি সরওয়ার আলম আমাদেরকে বাঁধা দেন, তারা বলেন আমাদের ক্রয়কৃত জমিটি নাকি তাদের। তারা এই জমি ডাক্তার আবদুল গণি সিকদার থেকে কিনেছেন। আমার কেনা জমি নাকি নদী ভাঙনে পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ভবিষ্যতে কোন সময় জেগে উঠলে আমরা ওই জমির মালিকানা দখল পাবো।

মামলার বাদি জন্নাত আরা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির করার উপযোগী সরস জমি আমাদেরকে দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে এই প্রতারক চক্র নদীতে তলিয়ে থাকা জমি বিক্রি করে আমাদের ১২ লাখ টাকা সুকৌশলে আত্মসাত করেছেন। ঘটনাটি আমমোক্তার নামামুলে বিক্রেতা মালিক সাকের আহমদ ও ছাবের আহমদ এবং জমির মুল মালিক ডাক্তার আবদুল গণি সিকদারকে জানালে তারা আমাকে জমি বুঝিয়ে দিতে নানাভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকে। মুলত সার্ভেয়ার নুরুল ইসলামের কুটচালের মাধ্যমে তারা জমি বিক্রির নামে আমার সঙ্গে জালিয়াতি ও প্রতারণা করেছে।

এ অবস্থায় বিষয়টি স্থানীয় সমাজপতি এবং জমি মালিকের ভাই মামলার স্বাক্ষী এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম সিকদারের কাছে নালিশ দিই। তাঁরা একাধিকবার বৈঠক করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেও জমির মুল মালিক ডাক্তার আবদুল গণি সিকদারের চল-চাতুরীর কারণে সমাধান করতে পারেনি।

এ অবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে সর্বশেষ গত ৮ সেপ্টেম্বর তারিখে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জালিয়াতি ও প্রতারণার ঘটনায় জড়িত চক্রের ৬ জনের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

বাদিপক্ষের আইনজীবী চকরিয়া আদালতের সিনিয়র এডভোকেট গোলাম ছরওয়ার বলেন, এজাহারনামীয় আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জমি বিক্রির নামে বাদির সঙ্গে প্রতারণা করে তার ১২ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। আদালত বাদির মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে কক্সবাজারের পিবিআই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

back to top