alt

শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত বিরামপুরের কৃষক

প্রতিনিধি, দিনাজপুর : মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

দিনাজপুর : শীতকালীন সবজি খেত পরিচর্যা করছেন কৃষক -সংবাদ

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় শুরু হয়েছে শীতকালীন আগাম সবজি চাষ। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা এখন জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সবুজে ছেয়ে গেছে মাঠ; আগাম পাতাকপি ও ফুলকপি চাষে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতি। শীতকালীন আগাম সবজি চাষ এখন বিরামপুরের কৃষকদের প্রধান আয়ের উৎসে পরিণত হয়েছে।

অনুকূল আবহাওয়া, জমির উর্বরতা ও কৃষি বিভাগের নিবিড় তদারকির কারণে এ অঞ্চলের কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি দেশের সবজি বাজারেও বিরামপুরের নাম ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিদিন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুুমে বিরামপুর উপজেলায় প্রায় ১২৮০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ হেক্টর জমিতে পাতাকপি এবং ৪৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপি রোপণ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১৫৬ হেক্টর জমিতে বেগুন, টমেটো, মুলা ও শিমসহ অন্যান্য সবজির আবাদ চলছে। পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চক হরিদাসপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিক মন্ডলের ছেলে কৃষক সোহেল রানা জানান, তিনি নিজেই চারা তৈরি করে প্রায় ৫০ শতক জমিতে পাতাকপি চাষ করেছেন। এর পর তিনি ফুলকপি লাগাবেন। তিনি বলেন, আর এক মাসের মধ্যেই কপিগুলো বাজারে বিক্রি করতে পারব। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যদি বাজার ভালো থাকে, তাহলে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারব। সোহেল আরও বলেন, চারা রোপণ থেকে বাজারজাত করতে দেড় থেকে তিন মাস সময় লাগে। বৃষ্টি হলে ফলন তুলতে সময় লাগে কিছুটা বেশি, তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগেই বাজারজাত করা যায়। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে এই সবজি চাষ করে আসছেন এবং প্রতিবছর ২ থেকে আড়াই বিঘা জমিতে আবাদ করেন।

উৎপাদিত ফসল কখনও মাঠ থেকেই বিক্রি করে দেন, আবার ভালো দাম পেলে নিজেই বাজারে বিক্রি করেন।একি ইউনিয়নের চকবসন্ত এলাকার কৃষক নূর ইসলাম জানান, তিনি ১০ কাঠা জমিতে পাতাকপি আবাদ করেছেন। তিনি বলেন, দেড় মাসের মধ্যে কপিগুলো বাজারে তুলতে পারব। বাজারজাত করা পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়, আর ভালো দাম পেলে ৮০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করা যায়। তিনি আরও বলেন, প্রায় দশ বছর ধরে পাতাকপি ও ফুলকপি চাষ করছেন। নিয়মিত আবাদে এখন তিনি ভালোভাবে লাভবান হচ্ছে। এ বিষয়ে পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হাই বলেন, ছোট যমুনা নদীর উর্বর পলিমাটি ও অনূকূল আবহাওয়ার কারণে এই অঞ্চলে সবজির ফলন ভালো হয়। ফলে কৃষকরা প্রতিবছরই লাভবান হন।

বিরামপুুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ রায় বলেন, বিরামপুর উপজেলাজুড়ে ছোট শাখা যমুুনা নদী প্রবাহিত হওয়ায় এখানকার মাটি উর্বর এবং সবজি চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। পলিপ্রয়াগপুর, মুকুন্দপুুর, কাটলা সহ প্রায় সব ইউনিয়নেই প্রচুর শীতকালীন সবজি আবাদ হয়ে থাকে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় সবজি পাঠানো হয়। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সরকারি সহায়তা অব্যাহত থাকলে এ বছর আগাম সবজি চাষে ফলন ও লাভ দুই-ই ভালো হবে বলে তারা আশা করছেন।

ছবি

‘ঢাকা লকডাউন’, বিভিন্ন জায়গায় যানবাহনে আগুন, আতঙ্ক জনমনে

ছবি

কৃষির ইতিহাস নওগাঁর ‘শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও কৃষি জাদুঘর’

৭ দিনে নদী থেকে ৭ লাশ উদ্ধার: নৌ-পুলিশ

বরাট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র এখন মাদকসেবীদের দখলে

ছবি

সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের লকডাউন, বিএনপির অবস্থান কর্মসূচী, মহাসড়কে চলেনি দূরপাল্লার বাহন

ছবি

রাজশাহীতে বিচারকের ছেলে সুমন খুন, স্ত্রী গুরুতর আহত

ছবি

বিলুপ্তির পথে লালপুরের ঐতিহ্যবাহী চাকা শিল্প

ছবি

চাটখিলে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

ছবি

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন মামলায় বন কর্মকর্তা কারাগারে

ছবি

সিরাজদিখানে সরকারি জায়গা দখলের চেষ্টায় জরিমানা

ছবি

কালিয়াকৈরে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ছবি

মোংলায় ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যানসহ আটক ২

ছবি

গোয়ালন্দে জুট মিলে অগ্নিকাণ্ড

ছবি

মহেশপুরে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে মতবিনিময়

ছবি

ডিমলায় ৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী

ছবি

দশমিনায় নবান্ন উৎসবের আমেজ বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে পাকা ধান

ছবি

বোয়ালখালীতে বেশি লাভের আশায় আগাম শীতকালীন সবজি চাষ

ছবি

লালমনিরহাটে ভেজাল বীজ বিক্রির দায়ে ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

নবীগঞ্জে ফিশারি থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

ছবি

লালপুরে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের হাসি

ছবি

তাহিরপুরে সাবেক যুবলীগ সভাপতি আটক

ছবি

জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

গৌরীপুরে বিদ্যুৎপৃষ্টে দিনমজুরে মৃত্যু

ছবি

কাজিপুরে শীতকালীন সবজিতে স্বস্তি ফিরছে বাজারে

ছবি

নবাবগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ডিমলায় ৫ খাদ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ছবি

শ্রীপুরের দক্ষিণ বেড়াইদেরচালা-বেলতলি সড়কের এক’শ ফুট অংশে বছর জুড়েই পানি, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

ছবি

নবীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই নেতা আটক

ছবি

রাণীশংকৈলে সরকারি সার বরাদ্দে অনিয়ম, ডিলারকে জরিমানা

ছবি

ঢাকা ও বিভিন্ন জেলায় সাত যানবাহনে আগুন

ছবি

চাটমোহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

ছবি

দুমকিতে কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী তালগাছ

ছবি

ঝালকাঠিতে আমনের বাম্পার ফলনের আশা ধান কর্তন শুরু

ছবি

মতলবে ২৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গভীর রাতে রেললাইনে আগুন, সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল

পদ্মা সেতুর সামনে অবরোধ, ট্রাকে আগুন

tab

শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত বিরামপুরের কৃষক

প্রতিনিধি, দিনাজপুর

দিনাজপুর : শীতকালীন সবজি খেত পরিচর্যা করছেন কৃষক -সংবাদ

মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় শুরু হয়েছে শীতকালীন আগাম সবজি চাষ। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা এখন জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সবুজে ছেয়ে গেছে মাঠ; আগাম পাতাকপি ও ফুলকপি চাষে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতি। শীতকালীন আগাম সবজি চাষ এখন বিরামপুরের কৃষকদের প্রধান আয়ের উৎসে পরিণত হয়েছে।

অনুকূল আবহাওয়া, জমির উর্বরতা ও কৃষি বিভাগের নিবিড় তদারকির কারণে এ অঞ্চলের কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি দেশের সবজি বাজারেও বিরামপুরের নাম ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিদিন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুুমে বিরামপুর উপজেলায় প্রায় ১২৮০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ হেক্টর জমিতে পাতাকপি এবং ৪৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপি রোপণ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১৫৬ হেক্টর জমিতে বেগুন, টমেটো, মুলা ও শিমসহ অন্যান্য সবজির আবাদ চলছে। পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চক হরিদাসপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিক মন্ডলের ছেলে কৃষক সোহেল রানা জানান, তিনি নিজেই চারা তৈরি করে প্রায় ৫০ শতক জমিতে পাতাকপি চাষ করেছেন। এর পর তিনি ফুলকপি লাগাবেন। তিনি বলেন, আর এক মাসের মধ্যেই কপিগুলো বাজারে বিক্রি করতে পারব। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যদি বাজার ভালো থাকে, তাহলে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারব। সোহেল আরও বলেন, চারা রোপণ থেকে বাজারজাত করতে দেড় থেকে তিন মাস সময় লাগে। বৃষ্টি হলে ফলন তুলতে সময় লাগে কিছুটা বেশি, তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগেই বাজারজাত করা যায়। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে এই সবজি চাষ করে আসছেন এবং প্রতিবছর ২ থেকে আড়াই বিঘা জমিতে আবাদ করেন।

উৎপাদিত ফসল কখনও মাঠ থেকেই বিক্রি করে দেন, আবার ভালো দাম পেলে নিজেই বাজারে বিক্রি করেন।একি ইউনিয়নের চকবসন্ত এলাকার কৃষক নূর ইসলাম জানান, তিনি ১০ কাঠা জমিতে পাতাকপি আবাদ করেছেন। তিনি বলেন, দেড় মাসের মধ্যে কপিগুলো বাজারে তুলতে পারব। বাজারজাত করা পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়, আর ভালো দাম পেলে ৮০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করা যায়। তিনি আরও বলেন, প্রায় দশ বছর ধরে পাতাকপি ও ফুলকপি চাষ করছেন। নিয়মিত আবাদে এখন তিনি ভালোভাবে লাভবান হচ্ছে। এ বিষয়ে পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হাই বলেন, ছোট যমুনা নদীর উর্বর পলিমাটি ও অনূকূল আবহাওয়ার কারণে এই অঞ্চলে সবজির ফলন ভালো হয়। ফলে কৃষকরা প্রতিবছরই লাভবান হন।

বিরামপুুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ রায় বলেন, বিরামপুর উপজেলাজুড়ে ছোট শাখা যমুুনা নদী প্রবাহিত হওয়ায় এখানকার মাটি উর্বর এবং সবজি চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। পলিপ্রয়াগপুর, মুকুন্দপুুর, কাটলা সহ প্রায় সব ইউনিয়নেই প্রচুর শীতকালীন সবজি আবাদ হয়ে থাকে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় সবজি পাঠানো হয়। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সরকারি সহায়তা অব্যাহত থাকলে এ বছর আগাম সবজি চাষে ফলন ও লাভ দুই-ই ভালো হবে বলে তারা আশা করছেন।

back to top