লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) : জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির মধ্য মানবেত জীবনযাপন -সংবাদ
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগের ৫০ থেকে ৬০ টি পরিবার প্রতি বছর বন্যা ছাড়াই প্রায় ছয় মাস পানির জলাবদ্ধতার ভোগান্তির মধ্য দিয়ে বেশ কয়েক বছর যাবৎ মানবেত জীবনযাপন করছেন বলে জানাযায়।
গত সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমারভোগ গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড আব্দুল মান্নান খানের বাড়ির পিছন দিক দিয়ে চায়না প্রজেক্ট যেতে হাতের বাম সাইড এলাকার ঘরবাড়ির আঙিনায় হাঁটুসমান পানি জমে রয়েছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেকে চর্মরোগ, ঘা, চুলকানি, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
ভুক্তভোগী বাসিন্দা জলিল তালুকদার বলেন, ‘বছরে ছয়–সাত মাস আমরা পানিবন্দী থাকি। বৃষ্টি নামলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ড্রেন করার মতো অবস্থা থাকা সত্যে ও প্রশাসনের কোনো সহায়তা আমরা এখনো পাইনী। গতবছর আমরা সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির স্যারকে বিষয়টি অবগত করেছিলাম। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন আমাদের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি ড্রেন করে দিবেন। কিন্তু আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সহায়তা পাইনী।
একই এলাকার গৃহবধূ সোনিয়া বেগম জানান, আগেও অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হয়নি। সব সময় পানি ভেঙে ঘরে বাইরে যেতে হয়। পানি ভেঙে চলতে হয়। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে আতংকে থাকি। বাচ্চারা যেকোন সময় পানিতে পড়ে যেতে পারে। বেখেয়াল হলেই বিপদ। মাঝে মাঝে ঘরের ভেতর সাপ ও ব্যঙ দেখা যায়।
ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান খান বলেন, অত্র অঞ্চলের পরিবার গুলো খুব দুর্ভোগে আছে। বৃষ্টির সময় ঘরে পানি ঢুকে পড়ে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যদি সরজমিনে এসে দেখতেন, তাহলে বুঝতে পারতেন, মানুষ কতটা কষ্টে আছে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতায় ডেঙ্গু মশার বিস্তার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কুমারভোগ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কে ফোন দিয়ে এই বিষয় জানতে চাইলে সচিব বলেন এই বিষয় আমি কিছু জানি না।
কুমারভোগ ইউনিয়নের ৪-৫-৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রিনা বেগম জানান, আমরা ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছি। দু’দিন ধরে একটি ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান তালুকদার নিজ উদ্যোগে এই কাজটি শুরু করেছেন।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা না নিলে এ জলাবদ্ধতা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) : জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির মধ্য মানবেত জীবনযাপন -সংবাদ
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগের ৫০ থেকে ৬০ টি পরিবার প্রতি বছর বন্যা ছাড়াই প্রায় ছয় মাস পানির জলাবদ্ধতার ভোগান্তির মধ্য দিয়ে বেশ কয়েক বছর যাবৎ মানবেত জীবনযাপন করছেন বলে জানাযায়।
গত সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমারভোগ গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড আব্দুল মান্নান খানের বাড়ির পিছন দিক দিয়ে চায়না প্রজেক্ট যেতে হাতের বাম সাইড এলাকার ঘরবাড়ির আঙিনায় হাঁটুসমান পানি জমে রয়েছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেকে চর্মরোগ, ঘা, চুলকানি, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
ভুক্তভোগী বাসিন্দা জলিল তালুকদার বলেন, ‘বছরে ছয়–সাত মাস আমরা পানিবন্দী থাকি। বৃষ্টি নামলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ড্রেন করার মতো অবস্থা থাকা সত্যে ও প্রশাসনের কোনো সহায়তা আমরা এখনো পাইনী। গতবছর আমরা সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির স্যারকে বিষয়টি অবগত করেছিলাম। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন আমাদের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি ড্রেন করে দিবেন। কিন্তু আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সহায়তা পাইনী।
একই এলাকার গৃহবধূ সোনিয়া বেগম জানান, আগেও অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হয়নি। সব সময় পানি ভেঙে ঘরে বাইরে যেতে হয়। পানি ভেঙে চলতে হয়। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে আতংকে থাকি। বাচ্চারা যেকোন সময় পানিতে পড়ে যেতে পারে। বেখেয়াল হলেই বিপদ। মাঝে মাঝে ঘরের ভেতর সাপ ও ব্যঙ দেখা যায়।
ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান খান বলেন, অত্র অঞ্চলের পরিবার গুলো খুব দুর্ভোগে আছে। বৃষ্টির সময় ঘরে পানি ঢুকে পড়ে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যদি সরজমিনে এসে দেখতেন, তাহলে বুঝতে পারতেন, মানুষ কতটা কষ্টে আছে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতায় ডেঙ্গু মশার বিস্তার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কুমারভোগ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কে ফোন দিয়ে এই বিষয় জানতে চাইলে সচিব বলেন এই বিষয় আমি কিছু জানি না।
কুমারভোগ ইউনিয়নের ৪-৫-৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রিনা বেগম জানান, আমরা ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছি। দু’দিন ধরে একটি ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান তালুকদার নিজ উদ্যোগে এই কাজটি শুরু করেছেন।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা না নিলে এ জলাবদ্ধতা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।