alt

বন্যা ছাড়াই ছয় মাস জলাবদ্ধতা ভোগান্তিতে কুমারভোগবাসী

প্রতিনিধি, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) : বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) : জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির মধ্য মানবেত জীবনযাপন -সংবাদ

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগের ৫০ থেকে ৬০ টি পরিবার প্রতি বছর বন্যা ছাড়াই প্রায় ছয় মাস পানির জলাবদ্ধতার ভোগান্তির মধ্য দিয়ে বেশ কয়েক বছর যাবৎ মানবেত জীবনযাপন করছেন বলে জানাযায়।

গত সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমারভোগ গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড আব্দুল মান্নান খানের বাড়ির পিছন দিক দিয়ে চায়না প্রজেক্ট যেতে হাতের বাম সাইড এলাকার ঘরবাড়ির আঙিনায় হাঁটুসমান পানি জমে রয়েছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেকে চর্মরোগ, ঘা, চুলকানি, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

ভুক্তভোগী বাসিন্দা জলিল তালুকদার বলেন, ‘বছরে ছয়–সাত মাস আমরা পানিবন্দী থাকি। বৃষ্টি নামলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ড্রেন করার মতো অবস্থা থাকা সত্যে ও প্রশাসনের কোনো সহায়তা আমরা এখনো পাইনী। গতবছর আমরা সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির স্যারকে বিষয়টি অবগত করেছিলাম। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন আমাদের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি ড্রেন করে দিবেন। কিন্তু আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সহায়তা পাইনী।

একই এলাকার গৃহবধূ সোনিয়া বেগম জানান, আগেও অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হয়নি। সব সময় পানি ভেঙে ঘরে বাইরে যেতে হয়। পানি ভেঙে চলতে হয়। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে আতংকে থাকি। বাচ্চারা যেকোন সময় পানিতে পড়ে যেতে পারে। বেখেয়াল হলেই বিপদ। মাঝে মাঝে ঘরের ভেতর সাপ ও ব্যঙ দেখা যায়।

ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান খান বলেন, অত্র অঞ্চলের পরিবার গুলো খুব দুর্ভোগে আছে। বৃষ্টির সময় ঘরে পানি ঢুকে পড়ে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যদি সরজমিনে এসে দেখতেন, তাহলে বুঝতে পারতেন, মানুষ কতটা কষ্টে আছে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতায় ডেঙ্গু মশার বিস্তার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কুমারভোগ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কে ফোন দিয়ে এই বিষয় জানতে চাইলে সচিব বলেন এই বিষয় আমি কিছু জানি না।

কুমারভোগ ইউনিয়নের ৪-৫-৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রিনা বেগম জানান, আমরা ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছি। দু’দিন ধরে একটি ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান তালুকদার নিজ উদ্যোগে এই কাজটি শুরু করেছেন।

স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা না নিলে এ জলাবদ্ধতা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

ছবি

গোপালগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, চড়-থাপ্পড় দিয়েই ‘মীমাংসা’ করলেন মাতবররা

ছবি

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: সাড়ে তিন মাস পর বাড়ি ফিরলো যমজ বোন

ছবি

বরিশালে তাপমাত্রার পারদ ক্রমেই নামছে, আসছে শীত

ছবি

রংপুরে আগেভাগেই শীতের তীব্রতা, প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা

ছবি

গাজীপুরের নিসর্গ রিসোর্টে পেট্রলবোমা সদৃশ বস্তু নিক্ষেপ, উদ্ধার পুলিশের

ছবি

পুলিশের অভিযানে মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাসভবনে সাতজন আটক

ছবি

শেরপুরে বক্কর হত্যা মামলার আসামি মনির গ্রেপ্তার

ছবি

‘আমি খুব করে বাঁচতে চেয়েছি,’: রাবি শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার, সাথে চিরকুট

জয়পুরহাটে যাত্রীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বুকিং সহকারী বরখাস্ত

৫ দিনেও জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ!

ছবি

বরগুনায় পানি সংরক্ষণে ৩৬ কোটি টাকার প্রকল্পে অনিয়ম

ছবি

শেরপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

ছবি

তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ছবি

চকরিয়ায় পুরস্কারের প্রলোভনে বৃত্তি পরীক্ষার নামে বাণিজ্য

ছবি

রায়গঞ্জে ফুলজোড় নদী থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

ছবি

সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

ছবি

রাজবাড়ীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সার বিতরণ

ছবি

হাওরের প্রকৃতি, পরিবেশ রক্ষায় মতবিনিময় সভা

ছবি

দামুড়হুদায় বারোমাসি কাঁঠাল বাগানে রানার ভাগ্য বদল

ছবি

পদ্মার শাখা খালে বাঁধ, টঙ্গীবাড়ীতে নৌযান চলাচল বন্ধের আশঙ্কা

ছবি

শেরপুরে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, আহত ৬

ছবি

দশমিনায় পান চাষী অমলের সাফল্য

ছবি

পটুয়াখালীর মহিপুরে নিজ বসত ঘরে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মেঘনা নদীতে পাঙ্গাশে সয়লাব দেখা মিলেছে না ইলিশের

ছবি

অবৈধ স্থাপনার ক্ষতিপূরণ দিতে উদ্যোগ, জনমনে প্রশ্ন

ছবি

গলাচিপায় জাল সেলাই করে সংসার চলে সহস্রাধিক জেলের

মহেশপুর সীমান্তে ১০ মাসে ২ হাজার ৮৭৩ জন আটক

ছবি

কুষ্টিয়ায় জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ বিক্রির দায়ে ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে জায়গা মেলেনি চরাইহাটি স্কুলের, অফিস চলে জুতার দোকানে

দুমকিতে ইউপি চেয়ারম্যান আটক

ছবি

সিরাজগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ

ছবি

মোহনগঞ্জে ব্যস্ততা বাড়ছে লেপ তোষক কারিগরদের

ছবি

খোকসায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাম ফলক তুলে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

নওগাঁ-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

গজারিয়ায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

ছবি

যশোরে তিনটি বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

tab

বন্যা ছাড়াই ছয় মাস জলাবদ্ধতা ভোগান্তিতে কুমারভোগবাসী

প্রতিনিধি, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ)

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) : জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির মধ্য মানবেত জীবনযাপন -সংবাদ

বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগের ৫০ থেকে ৬০ টি পরিবার প্রতি বছর বন্যা ছাড়াই প্রায় ছয় মাস পানির জলাবদ্ধতার ভোগান্তির মধ্য দিয়ে বেশ কয়েক বছর যাবৎ মানবেত জীবনযাপন করছেন বলে জানাযায়।

গত সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমারভোগ গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড আব্দুল মান্নান খানের বাড়ির পিছন দিক দিয়ে চায়না প্রজেক্ট যেতে হাতের বাম সাইড এলাকার ঘরবাড়ির আঙিনায় হাঁটুসমান পানি জমে রয়েছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেকে চর্মরোগ, ঘা, চুলকানি, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

ভুক্তভোগী বাসিন্দা জলিল তালুকদার বলেন, ‘বছরে ছয়–সাত মাস আমরা পানিবন্দী থাকি। বৃষ্টি নামলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ড্রেন করার মতো অবস্থা থাকা সত্যে ও প্রশাসনের কোনো সহায়তা আমরা এখনো পাইনী। গতবছর আমরা সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির স্যারকে বিষয়টি অবগত করেছিলাম। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন আমাদের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি ড্রেন করে দিবেন। কিন্তু আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সহায়তা পাইনী।

একই এলাকার গৃহবধূ সোনিয়া বেগম জানান, আগেও অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হয়নি। সব সময় পানি ভেঙে ঘরে বাইরে যেতে হয়। পানি ভেঙে চলতে হয়। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে আতংকে থাকি। বাচ্চারা যেকোন সময় পানিতে পড়ে যেতে পারে। বেখেয়াল হলেই বিপদ। মাঝে মাঝে ঘরের ভেতর সাপ ও ব্যঙ দেখা যায়।

ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান খান বলেন, অত্র অঞ্চলের পরিবার গুলো খুব দুর্ভোগে আছে। বৃষ্টির সময় ঘরে পানি ঢুকে পড়ে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যদি সরজমিনে এসে দেখতেন, তাহলে বুঝতে পারতেন, মানুষ কতটা কষ্টে আছে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতায় ডেঙ্গু মশার বিস্তার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কুমারভোগ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কে ফোন দিয়ে এই বিষয় জানতে চাইলে সচিব বলেন এই বিষয় আমি কিছু জানি না।

কুমারভোগ ইউনিয়নের ৪-৫-৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রিনা বেগম জানান, আমরা ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছি। দু’দিন ধরে একটি ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান তালুকদার নিজ উদ্যোগে এই কাজটি শুরু করেছেন।

স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা না নিলে এ জলাবদ্ধতা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

back to top