পলাশ (নরসিংদী) : পলাশের শীতলক্ষ্যা নদীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা -সংবাদ
নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত পলাশের শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া যেত হরেকরকম দেশীয় মাছ। যার মধ্যে ছিল রুই, কাতলা, মৃগেল, বাছা, সিলুন, বেলে, চাপিলা, খল্লা,কোরাল, কেসকি, গোলাইয়া, টেংরা, বজরি, বাইম, গুতুমসহ নানা জাতে দেশীয় মাছ। সুস্বাদু এসব মাছ খেতে যেমন পাওয়া যেত প্রচুর পরিমানে। নদীর পাড় জুড়ে শিল্পায়ন, নদীর চর ভরাটে, বর্ষায় সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া, এসব দেশীয় মাছ শীতলক্ষ্যা নদীতে এখন বিলুপ্তপ্রায়। আবার কিছু অসাধু মৎস্যজীবি কারেন্ট জাল পেতে, বর্ষার শেষের দিকে ডিমওয়ালা মাছ ধরে ও বিক্রি করে। এখন পলাশের বাজারগুলোতে দেশীয় মাছ চোখেই পড়েনা। যা পাওয়া সিংহভাগ চাষের মাছ। অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করতে গত ১৪ অক্টোবর বিকালে পলাশের শীতলক্ষ্যা নদীতে বিকালে তিন ঘন্টা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫ এর অংশ হিসেবে নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর বিকেল তিনটায় পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিকী এর নেতৃত্বে পলাশ বাজার সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল রাশেদী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কাউসার আলম সরকার, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কেয়া, এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহায়তা করে পলাশ থানা পুলিশ।
অভিযান চলাকালে প্রায় দুই হাজার (২০০০) মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে এসব জাল তাৎক্ষণিকভাবে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শেষে ইউএনও আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, মা ইলিশ রক্ষায়, অবৈধ কারেন্ট জাল, চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করা ছিল এই অভিযান লক্ষ্য। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ সময় কেউ আইন অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”যদিও এখন শীতলক্ষ্যায় এখন আগের ইলিশ নেই। ইলিশ মুলত মাইগ্রেটেট মাছ।বর্ষার শেষের দিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিঠা পানির নদীতে ইলিশ ও অন্যান্য দেশীয় মাছের প্রজননের সময়। সরকারি আইন অনুযায়ী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
পলাশ (নরসিংদী) : পলাশের শীতলক্ষ্যা নদীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা -সংবাদ
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত পলাশের শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া যেত হরেকরকম দেশীয় মাছ। যার মধ্যে ছিল রুই, কাতলা, মৃগেল, বাছা, সিলুন, বেলে, চাপিলা, খল্লা,কোরাল, কেসকি, গোলাইয়া, টেংরা, বজরি, বাইম, গুতুমসহ নানা জাতে দেশীয় মাছ। সুস্বাদু এসব মাছ খেতে যেমন পাওয়া যেত প্রচুর পরিমানে। নদীর পাড় জুড়ে শিল্পায়ন, নদীর চর ভরাটে, বর্ষায় সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া, এসব দেশীয় মাছ শীতলক্ষ্যা নদীতে এখন বিলুপ্তপ্রায়। আবার কিছু অসাধু মৎস্যজীবি কারেন্ট জাল পেতে, বর্ষার শেষের দিকে ডিমওয়ালা মাছ ধরে ও বিক্রি করে। এখন পলাশের বাজারগুলোতে দেশীয় মাছ চোখেই পড়েনা। যা পাওয়া সিংহভাগ চাষের মাছ। অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করতে গত ১৪ অক্টোবর বিকালে পলাশের শীতলক্ষ্যা নদীতে বিকালে তিন ঘন্টা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫ এর অংশ হিসেবে নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর বিকেল তিনটায় পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিকী এর নেতৃত্বে পলাশ বাজার সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল রাশেদী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কাউসার আলম সরকার, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কেয়া, এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহায়তা করে পলাশ থানা পুলিশ।
অভিযান চলাকালে প্রায় দুই হাজার (২০০০) মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে এসব জাল তাৎক্ষণিকভাবে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শেষে ইউএনও আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, মা ইলিশ রক্ষায়, অবৈধ কারেন্ট জাল, চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করা ছিল এই অভিযান লক্ষ্য। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ সময় কেউ আইন অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”যদিও এখন শীতলক্ষ্যায় এখন আগের ইলিশ নেই। ইলিশ মুলত মাইগ্রেটেট মাছ।বর্ষার শেষের দিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিঠা পানির নদীতে ইলিশ ও অন্যান্য দেশীয় মাছের প্রজননের সময়। সরকারি আইন অনুযায়ী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।