alt

কেশবপুরে অবাধে শামুক নিধনে জমির ঊর্বরতা শক্তি কমার আশঙ্কা

প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর) : শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

আইনের কোনো প্রয়োগের ব্যবস্থা না থাকায় যশোরের কেশবপুরে অবাধে চলছে শামুক নিধন। যতসামান্য দামে এসব শামুক চলে যাচ্ছে খাদ্য হিসেবে মাছের ঘেরে। শামুকের সংখ্যা কমে গেলে প্রাকৃতিক ফিল্টার হিসেবে পানির স্বচ্ছতা ও বিশুদ্ধতা হ্রাস পায়। বিভিন্ন মাছ ও অন্যান্য জলজপ্রাণির খাদ্য সংকট দেখা দেয়। দেশীয় প্রজাতীর মাছ ও অন্যান্য জলজপ্রাণির খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এরফলে পরিবেশের স্বাভাবিক ভারসাম্য বিনষ্টের সঙ্গে কৃষি জমির ঊর্বরতাও কমে যায়।

জানা যায়, ভবদহ অঞ্চলের কেশবপুর, অভয়নগর ও মনিরামপুর উপজেলায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯০২ বিঘা জমিতে মাছের ঘের ও ৬৬ হাজার ১৪ বিঘা জমিতে পুকুর ও দীঘি রয়েছে। এছাড়া, ৩টি উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য উন্মুক্ত জলাশয়, খাল-বিল। এলাকার হতদরিদ্র নারী-পূরুষ ও শিশুরা এসব জলাশয়ে ভোর থেকে নামে শামুক আহরণে। তারা সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত আহরণ করা শামুক বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্যান, সাইকেল, দাঁড়িপাল্লা নিয়ে বসে থাকা পাইকারদের কাছে নামমাত্র দামে বিক্রি করে থাকে। পাইকাররা শামুক থেকে মাংস বের করে ৫০-৬০ টাকা কেজী দরে ঘের মালিকদের কাছে বিক্রি করে। আর শামুকের খোলস বস্তা প্রতি ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি করে চুন তৈরির কারখানায়।

শ্রীফলা গ্রামের ফতেমা বেগম জানান, পরিবারের ২/৩ জন মিলে বিভিন্ন বিলে শামুক আহরণ করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে থাকি। সাগরদত্তকাটি গ্রামের শামুক ব্যবসায়ী জয়দেব দাস বলেন, শামুক কিনে কপালিয়া এলাকার ঘের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে থাকি। প্রতিকেজীতে ১৫/২০ টাকা পর্যন্ত লাভ থাকে। চুন তৈরি কারখানার মালিক সমিরন দাস বলেন, তার কারখানার তৈরিকৃত চুনের বেশিরভাগ ঘের মালিকদের কাছে বিক্রি করি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, শামুক মরে গেলে মাংস পচে ও খোলায় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশ জাতীয় বস্তু মাটিতে মিশে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়।

যশোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরকার মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, কেউ শামুক- ঝিনুক ধরে মাছ বা অন্য কোনো প্রাণীর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু শামুক নিধন বন্ধে মৎস্য দপ্তরের কোনো আইন প্রয়োগের ক্ষমতা নেই।

ছবি

গোপালগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, চড়-থাপ্পড় দিয়েই ‘মীমাংসা’ করলেন মাতবররা

ছবি

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: সাড়ে তিন মাস পর বাড়ি ফিরলো যমজ বোন

ছবি

বরিশালে তাপমাত্রার পারদ ক্রমেই নামছে, আসছে শীত

ছবি

রংপুরে আগেভাগেই শীতের তীব্রতা, প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা

ছবি

গাজীপুরের নিসর্গ রিসোর্টে পেট্রলবোমা সদৃশ বস্তু নিক্ষেপ, উদ্ধার পুলিশের

ছবি

পুলিশের অভিযানে মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাসভবনে সাতজন আটক

ছবি

শেরপুরে বক্কর হত্যা মামলার আসামি মনির গ্রেপ্তার

ছবি

‘আমি খুব করে বাঁচতে চেয়েছি,’: রাবি শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার, সাথে চিরকুট

জয়পুরহাটে যাত্রীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বুকিং সহকারী বরখাস্ত

৫ দিনেও জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ!

ছবি

বরগুনায় পানি সংরক্ষণে ৩৬ কোটি টাকার প্রকল্পে অনিয়ম

ছবি

শেরপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

ছবি

তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ছবি

চকরিয়ায় পুরস্কারের প্রলোভনে বৃত্তি পরীক্ষার নামে বাণিজ্য

ছবি

রায়গঞ্জে ফুলজোড় নদী থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

ছবি

সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

ছবি

রাজবাড়ীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সার বিতরণ

ছবি

হাওরের প্রকৃতি, পরিবেশ রক্ষায় মতবিনিময় সভা

ছবি

দামুড়হুদায় বারোমাসি কাঁঠাল বাগানে রানার ভাগ্য বদল

ছবি

পদ্মার শাখা খালে বাঁধ, টঙ্গীবাড়ীতে নৌযান চলাচল বন্ধের আশঙ্কা

ছবি

শেরপুরে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, আহত ৬

ছবি

দশমিনায় পান চাষী অমলের সাফল্য

ছবি

পটুয়াখালীর মহিপুরে নিজ বসত ঘরে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মেঘনা নদীতে পাঙ্গাশে সয়লাব দেখা মিলেছে না ইলিশের

ছবি

অবৈধ স্থাপনার ক্ষতিপূরণ দিতে উদ্যোগ, জনমনে প্রশ্ন

ছবি

গলাচিপায় জাল সেলাই করে সংসার চলে সহস্রাধিক জেলের

মহেশপুর সীমান্তে ১০ মাসে ২ হাজার ৮৭৩ জন আটক

ছবি

কুষ্টিয়ায় জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ বিক্রির দায়ে ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে জায়গা মেলেনি চরাইহাটি স্কুলের, অফিস চলে জুতার দোকানে

দুমকিতে ইউপি চেয়ারম্যান আটক

ছবি

সিরাজগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ

ছবি

মোহনগঞ্জে ব্যস্ততা বাড়ছে লেপ তোষক কারিগরদের

ছবি

খোকসায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাম ফলক তুলে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

নওগাঁ-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

গজারিয়ায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

ছবি

যশোরে তিনটি বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

tab

কেশবপুরে অবাধে শামুক নিধনে জমির ঊর্বরতা শক্তি কমার আশঙ্কা

প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)

শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

আইনের কোনো প্রয়োগের ব্যবস্থা না থাকায় যশোরের কেশবপুরে অবাধে চলছে শামুক নিধন। যতসামান্য দামে এসব শামুক চলে যাচ্ছে খাদ্য হিসেবে মাছের ঘেরে। শামুকের সংখ্যা কমে গেলে প্রাকৃতিক ফিল্টার হিসেবে পানির স্বচ্ছতা ও বিশুদ্ধতা হ্রাস পায়। বিভিন্ন মাছ ও অন্যান্য জলজপ্রাণির খাদ্য সংকট দেখা দেয়। দেশীয় প্রজাতীর মাছ ও অন্যান্য জলজপ্রাণির খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এরফলে পরিবেশের স্বাভাবিক ভারসাম্য বিনষ্টের সঙ্গে কৃষি জমির ঊর্বরতাও কমে যায়।

জানা যায়, ভবদহ অঞ্চলের কেশবপুর, অভয়নগর ও মনিরামপুর উপজেলায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯০২ বিঘা জমিতে মাছের ঘের ও ৬৬ হাজার ১৪ বিঘা জমিতে পুকুর ও দীঘি রয়েছে। এছাড়া, ৩টি উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য উন্মুক্ত জলাশয়, খাল-বিল। এলাকার হতদরিদ্র নারী-পূরুষ ও শিশুরা এসব জলাশয়ে ভোর থেকে নামে শামুক আহরণে। তারা সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত আহরণ করা শামুক বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্যান, সাইকেল, দাঁড়িপাল্লা নিয়ে বসে থাকা পাইকারদের কাছে নামমাত্র দামে বিক্রি করে থাকে। পাইকাররা শামুক থেকে মাংস বের করে ৫০-৬০ টাকা কেজী দরে ঘের মালিকদের কাছে বিক্রি করে। আর শামুকের খোলস বস্তা প্রতি ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি করে চুন তৈরির কারখানায়।

শ্রীফলা গ্রামের ফতেমা বেগম জানান, পরিবারের ২/৩ জন মিলে বিভিন্ন বিলে শামুক আহরণ করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে থাকি। সাগরদত্তকাটি গ্রামের শামুক ব্যবসায়ী জয়দেব দাস বলেন, শামুক কিনে কপালিয়া এলাকার ঘের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে থাকি। প্রতিকেজীতে ১৫/২০ টাকা পর্যন্ত লাভ থাকে। চুন তৈরি কারখানার মালিক সমিরন দাস বলেন, তার কারখানার তৈরিকৃত চুনের বেশিরভাগ ঘের মালিকদের কাছে বিক্রি করি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, শামুক মরে গেলে মাংস পচে ও খোলায় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশ জাতীয় বস্তু মাটিতে মিশে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়।

যশোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরকার মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, কেউ শামুক- ঝিনুক ধরে মাছ বা অন্য কোনো প্রাণীর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু শামুক নিধন বন্ধে মৎস্য দপ্তরের কোনো আইন প্রয়োগের ক্ষমতা নেই।

back to top