আইনের কোনো প্রয়োগের ব্যবস্থা না থাকায় যশোরের কেশবপুরে অবাধে চলছে শামুক নিধন। যতসামান্য দামে এসব শামুক চলে যাচ্ছে খাদ্য হিসেবে মাছের ঘেরে। শামুকের সংখ্যা কমে গেলে প্রাকৃতিক ফিল্টার হিসেবে পানির স্বচ্ছতা ও বিশুদ্ধতা হ্রাস পায়। বিভিন্ন মাছ ও অন্যান্য জলজপ্রাণির খাদ্য সংকট দেখা দেয়। দেশীয় প্রজাতীর মাছ ও অন্যান্য জলজপ্রাণির খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এরফলে পরিবেশের স্বাভাবিক ভারসাম্য বিনষ্টের সঙ্গে কৃষি জমির ঊর্বরতাও কমে যায়।
জানা যায়, ভবদহ অঞ্চলের কেশবপুর, অভয়নগর ও মনিরামপুর উপজেলায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯০২ বিঘা জমিতে মাছের ঘের ও ৬৬ হাজার ১৪ বিঘা জমিতে পুকুর ও দীঘি রয়েছে। এছাড়া, ৩টি উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য উন্মুক্ত জলাশয়, খাল-বিল। এলাকার হতদরিদ্র নারী-পূরুষ ও শিশুরা এসব জলাশয়ে ভোর থেকে নামে শামুক আহরণে। তারা সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত আহরণ করা শামুক বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্যান, সাইকেল, দাঁড়িপাল্লা নিয়ে বসে থাকা পাইকারদের কাছে নামমাত্র দামে বিক্রি করে থাকে। পাইকাররা শামুক থেকে মাংস বের করে ৫০-৬০ টাকা কেজী দরে ঘের মালিকদের কাছে বিক্রি করে। আর শামুকের খোলস বস্তা প্রতি ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি করে চুন তৈরির কারখানায়।
শ্রীফলা গ্রামের ফতেমা বেগম জানান, পরিবারের ২/৩ জন মিলে বিভিন্ন বিলে শামুক আহরণ করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে থাকি। সাগরদত্তকাটি গ্রামের শামুক ব্যবসায়ী জয়দেব দাস বলেন, শামুক কিনে কপালিয়া এলাকার ঘের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে থাকি। প্রতিকেজীতে ১৫/২০ টাকা পর্যন্ত লাভ থাকে। চুন তৈরি কারখানার মালিক সমিরন দাস বলেন, তার কারখানার তৈরিকৃত চুনের বেশিরভাগ ঘের মালিকদের কাছে বিক্রি করি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, শামুক মরে গেলে মাংস পচে ও খোলায় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশ জাতীয় বস্তু মাটিতে মিশে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়।
যশোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরকার মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, কেউ শামুক- ঝিনুক ধরে মাছ বা অন্য কোনো প্রাণীর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু শামুক নিধন বন্ধে মৎস্য দপ্তরের কোনো আইন প্রয়োগের ক্ষমতা নেই।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
আইনের কোনো প্রয়োগের ব্যবস্থা না থাকায় যশোরের কেশবপুরে অবাধে চলছে শামুক নিধন। যতসামান্য দামে এসব শামুক চলে যাচ্ছে খাদ্য হিসেবে মাছের ঘেরে। শামুকের সংখ্যা কমে গেলে প্রাকৃতিক ফিল্টার হিসেবে পানির স্বচ্ছতা ও বিশুদ্ধতা হ্রাস পায়। বিভিন্ন মাছ ও অন্যান্য জলজপ্রাণির খাদ্য সংকট দেখা দেয়। দেশীয় প্রজাতীর মাছ ও অন্যান্য জলজপ্রাণির খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এরফলে পরিবেশের স্বাভাবিক ভারসাম্য বিনষ্টের সঙ্গে কৃষি জমির ঊর্বরতাও কমে যায়।
জানা যায়, ভবদহ অঞ্চলের কেশবপুর, অভয়নগর ও মনিরামপুর উপজেলায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯০২ বিঘা জমিতে মাছের ঘের ও ৬৬ হাজার ১৪ বিঘা জমিতে পুকুর ও দীঘি রয়েছে। এছাড়া, ৩টি উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য উন্মুক্ত জলাশয়, খাল-বিল। এলাকার হতদরিদ্র নারী-পূরুষ ও শিশুরা এসব জলাশয়ে ভোর থেকে নামে শামুক আহরণে। তারা সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত আহরণ করা শামুক বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্যান, সাইকেল, দাঁড়িপাল্লা নিয়ে বসে থাকা পাইকারদের কাছে নামমাত্র দামে বিক্রি করে থাকে। পাইকাররা শামুক থেকে মাংস বের করে ৫০-৬০ টাকা কেজী দরে ঘের মালিকদের কাছে বিক্রি করে। আর শামুকের খোলস বস্তা প্রতি ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি করে চুন তৈরির কারখানায়।
শ্রীফলা গ্রামের ফতেমা বেগম জানান, পরিবারের ২/৩ জন মিলে বিভিন্ন বিলে শামুক আহরণ করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে থাকি। সাগরদত্তকাটি গ্রামের শামুক ব্যবসায়ী জয়দেব দাস বলেন, শামুক কিনে কপালিয়া এলাকার ঘের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে থাকি। প্রতিকেজীতে ১৫/২০ টাকা পর্যন্ত লাভ থাকে। চুন তৈরি কারখানার মালিক সমিরন দাস বলেন, তার কারখানার তৈরিকৃত চুনের বেশিরভাগ ঘের মালিকদের কাছে বিক্রি করি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, শামুক মরে গেলে মাংস পচে ও খোলায় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশ জাতীয় বস্তু মাটিতে মিশে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়।
যশোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরকার মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, কেউ শামুক- ঝিনুক ধরে মাছ বা অন্য কোনো প্রাণীর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু শামুক নিধন বন্ধে মৎস্য দপ্তরের কোনো আইন প্রয়োগের ক্ষমতা নেই।