রাজশাহী : আশানুরূপ ফল পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা -সংবাদ
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট-এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। ছাত্র পাসের হার ৫০ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৬৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ বছর এ বোর্ডে ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এছাড়াও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ১৩৭ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের দপ্তরে চেয়ারম্যান প্রফেসর আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, গত বছর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ২৪ হাজার ৯০২ জন। অর্থাৎ এ বছর জিপিএ-৫ কমে পেয়েছে ১৪ হাজার ৭৬৫ জন।
এ বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৮২ জন ছাত্রী ও ৪ হাজার ৪৫৫ জন ছাত্র। ছাত্র পাসের হার ৫০ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৬৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। অর্থাৎ জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ও পাসের হারেও এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের আওতায় বিভাগের আট জেলায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৭৭ হাজার ৭৪২ জন শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এবার শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ১৮টি কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। আর ৩৫টি কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মোট ৭৫০টি কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০৭টি পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল বলে জানান বোর্ড চেয়ারম্যান।
মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এইচএসসি’তে অভাবনীয় সাফল্য: পাশের হার শতকরা ৯৮.৪৭ ভাগ
টাঙ্গাইলের মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। পাশের হারের ভিত্তিতে জেলার মধ্যে অনন্য ফলাফল করেছে। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর এ থেকেই ভালো ফলাফল করে আসছে বলে জানা গেছে। এ বারের এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ৩৯২ জন অংশ নিয়ে ৩৮৫ জন পাশ করেছে। পাশের হার শতকরা ৯৮.৪৭ ভাগ। জিপিএ ৫ পেয়েছে মোট ৬৩ জন। এমন প্রাপ্তি উচ্ছ্বসিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্র ছাত্রী অভিভাবকসহ ম্যানেজিং কমিটি।
টাঙ্গাইলের অন্যতম বিদ্যাপিঠের নাম মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। লাল মাটির বংশাই বিধৌত নদীর তীরে অবস্থিত এ বিদ্যাপিঠটি শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অট্রালিকা সুরম্যসম সুন্দর মনোরম পরিবেশে চলছে পাঠদান। যোগাযোগ ব্যবস্থা আর বিদ্যালয়ের কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার কারণে বরাবরের মতো এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অর্জন করেছে অভাবনীয় সাফল্য। শিক্ষক ছাত্রদের উপস্থিতি অভিভাবক সম্মেলন ও নিয়মিত পাঠদান পরীক্ষার কারণেই বিদ্যালয়টি জেলার মধ্যে বরাবরই অনন্য স্বাক্ষর রেখে চলছে। প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় শতকরা ৯৮.৪৭ ভাগ পাশ আর জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৩ জন। এমন অর্জনে শহরে সর্বত্র বইছে বিদ্যালয়ের প্রশংসা। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বারের এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ৩৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ছিল। বিজ্ঞান বিভাগে ১৪৩ জনের মধ্যে ১৪১ জন পাশ করেছে। জিপিএ ৫ আর ৩৮ জন এ গ্রেড পেয়েছে। পাশের হার ৯৮.৬০%। মানবিকে ১৬৬ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৬৫ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২১, এ ১২২ ও এ মাইনাস পেয়েছে ১৭ জন। ব্যবসায় শিক্ষায় ৮৩ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৭৯ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ জন। এ ১৮ ও এ মাইনাস পেয়েছে ৩১, বি ১৯, সি ৭ জন শিক্ষার্থী। শতভাগ ৯৮.৪৭ পাশ ও জিপিএ প্রাপ্তিতে আনন্দের বন্যা বইছে।
মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র কর জানান, হোম ভিজিট তদারকি, অভিভাবক সমাবশ নিয়মিত পরীক্ষা ক্লাস টেস্ট, মডেল টেস্ট নিয়ে দুর্বল শিক্ষার্থীদের স্পেশাল ক্লাস পরীক্ষা নেয়া হয়। নিয়মিত পাঠদানের মধ্যে দিয়ে কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলায় এ বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন পরীক্ষা শিক্ষকদের আন্তরিক পাঠদানের ফলে বরাবরই সুনাম অর্জন করে আসছে।
দোয়ারাবাজারে প্রগতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভয়াবহ ফলাফল : ৭৩ জনের মধ্যে পাস মাত্র ৪ জন
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রগতি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এ বছর জেলায় সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে। কলেজের ৭৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ৪ জন। পাশের হার মাত্র ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, কলেজের শিক্ষক ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের তদারকি ও একাডেমিক মনোযোগের ঘাটতি রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, বর্তমানে কলেজটি শিক্ষার চেয়ে বিনোদনের স্থানে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না গিয়ে মোবাইল ফোনে টিকটক ও রিলস বানাতে ব্যস্ত থাকে। প্রয়োজনীয় শৃঙ্খলা না থাকায় ফলাফল এমন ভয়াবহ হয়েছে।
অভিভাবক আব্দুল গফুর বলেন, ৭৩ জন পরীক্ষার্থী দিয়ে মাত্র ৪ জন পাশ— এটি পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার জন্যই উদ্বেগজনক। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও প্রশাসনিক তদারকি এখন সময়ের দাবি। এলাকাবাসীর অনেকেই মনে করছেন, নিয়মিত প্রশাসনিক তদারকি ও শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলে ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হবে। এ বিষয়ে প্রগতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলী উসমান বলেন, শিক্ষকের স্বল্পতা, শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহ ও অভিভাবকদের উদাসীনতার কারণেই এমন ফলাফল হয়েছে। এদিকে স্থানীয় শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি বাড়ানো, শিক্ষক নিয়োগ ও মানসম্পন্ন পাঠদান নিশ্চিত না করলে আগামীতে এই অবস্থার উন্নতি সম্ভব নয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রাজশাহী : আশানুরূপ ফল পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা -সংবাদ
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট-এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। ছাত্র পাসের হার ৫০ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৬৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ বছর এ বোর্ডে ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এছাড়াও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ১৩৭ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের দপ্তরে চেয়ারম্যান প্রফেসর আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, গত বছর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ২৪ হাজার ৯০২ জন। অর্থাৎ এ বছর জিপিএ-৫ কমে পেয়েছে ১৪ হাজার ৭৬৫ জন।
এ বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৮২ জন ছাত্রী ও ৪ হাজার ৪৫৫ জন ছাত্র। ছাত্র পাসের হার ৫০ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৬৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। অর্থাৎ জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ও পাসের হারেও এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের আওতায় বিভাগের আট জেলায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৭৭ হাজার ৭৪২ জন শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এবার শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ১৮টি কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। আর ৩৫টি কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মোট ৭৫০টি কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০৭টি পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল বলে জানান বোর্ড চেয়ারম্যান।
মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এইচএসসি’তে অভাবনীয় সাফল্য: পাশের হার শতকরা ৯৮.৪৭ ভাগ
টাঙ্গাইলের মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। পাশের হারের ভিত্তিতে জেলার মধ্যে অনন্য ফলাফল করেছে। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর এ থেকেই ভালো ফলাফল করে আসছে বলে জানা গেছে। এ বারের এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ৩৯২ জন অংশ নিয়ে ৩৮৫ জন পাশ করেছে। পাশের হার শতকরা ৯৮.৪৭ ভাগ। জিপিএ ৫ পেয়েছে মোট ৬৩ জন। এমন প্রাপ্তি উচ্ছ্বসিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্র ছাত্রী অভিভাবকসহ ম্যানেজিং কমিটি।
টাঙ্গাইলের অন্যতম বিদ্যাপিঠের নাম মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। লাল মাটির বংশাই বিধৌত নদীর তীরে অবস্থিত এ বিদ্যাপিঠটি শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অট্রালিকা সুরম্যসম সুন্দর মনোরম পরিবেশে চলছে পাঠদান। যোগাযোগ ব্যবস্থা আর বিদ্যালয়ের কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার কারণে বরাবরের মতো এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অর্জন করেছে অভাবনীয় সাফল্য। শিক্ষক ছাত্রদের উপস্থিতি অভিভাবক সম্মেলন ও নিয়মিত পাঠদান পরীক্ষার কারণেই বিদ্যালয়টি জেলার মধ্যে বরাবরই অনন্য স্বাক্ষর রেখে চলছে। প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় শতকরা ৯৮.৪৭ ভাগ পাশ আর জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৩ জন। এমন অর্জনে শহরে সর্বত্র বইছে বিদ্যালয়ের প্রশংসা। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বারের এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ৩৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ছিল। বিজ্ঞান বিভাগে ১৪৩ জনের মধ্যে ১৪১ জন পাশ করেছে। জিপিএ ৫ আর ৩৮ জন এ গ্রেড পেয়েছে। পাশের হার ৯৮.৬০%। মানবিকে ১৬৬ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৬৫ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২১, এ ১২২ ও এ মাইনাস পেয়েছে ১৭ জন। ব্যবসায় শিক্ষায় ৮৩ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৭৯ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ জন। এ ১৮ ও এ মাইনাস পেয়েছে ৩১, বি ১৯, সি ৭ জন শিক্ষার্থী। শতভাগ ৯৮.৪৭ পাশ ও জিপিএ প্রাপ্তিতে আনন্দের বন্যা বইছে।
মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র কর জানান, হোম ভিজিট তদারকি, অভিভাবক সমাবশ নিয়মিত পরীক্ষা ক্লাস টেস্ট, মডেল টেস্ট নিয়ে দুর্বল শিক্ষার্থীদের স্পেশাল ক্লাস পরীক্ষা নেয়া হয়। নিয়মিত পাঠদানের মধ্যে দিয়ে কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলায় এ বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন পরীক্ষা শিক্ষকদের আন্তরিক পাঠদানের ফলে বরাবরই সুনাম অর্জন করে আসছে।
দোয়ারাবাজারে প্রগতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভয়াবহ ফলাফল : ৭৩ জনের মধ্যে পাস মাত্র ৪ জন
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রগতি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এ বছর জেলায় সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে। কলেজের ৭৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ৪ জন। পাশের হার মাত্র ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, কলেজের শিক্ষক ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের তদারকি ও একাডেমিক মনোযোগের ঘাটতি রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, বর্তমানে কলেজটি শিক্ষার চেয়ে বিনোদনের স্থানে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না গিয়ে মোবাইল ফোনে টিকটক ও রিলস বানাতে ব্যস্ত থাকে। প্রয়োজনীয় শৃঙ্খলা না থাকায় ফলাফল এমন ভয়াবহ হয়েছে।
অভিভাবক আব্দুল গফুর বলেন, ৭৩ জন পরীক্ষার্থী দিয়ে মাত্র ৪ জন পাশ— এটি পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার জন্যই উদ্বেগজনক। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও প্রশাসনিক তদারকি এখন সময়ের দাবি। এলাকাবাসীর অনেকেই মনে করছেন, নিয়মিত প্রশাসনিক তদারকি ও শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলে ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হবে। এ বিষয়ে প্রগতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলী উসমান বলেন, শিক্ষকের স্বল্পতা, শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহ ও অভিভাবকদের উদাসীনতার কারণেই এমন ফলাফল হয়েছে। এদিকে স্থানীয় শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি বাড়ানো, শিক্ষক নিয়োগ ও মানসম্পন্ন পাঠদান নিশ্চিত না করলে আগামীতে এই অবস্থার উন্নতি সম্ভব নয়।