alt

স্কুল মাঠে জলাবদ্ধতা, সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ : শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

মানিকগঞ্জ : স্কুলের সামনে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা -সংবাদ

মানিকগঞ্জ পৌর শহরের পোড়রা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও সামনের সড়ক সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে শুধু পাঠদানই নয়, শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক বিকাশও ব্যাহত হচ্ছে।

বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জেলার শিক্ষার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

বর্তমানে ৭০৫ জন শিক্ষার্থী ও ১৪ জন শিক্ষক নিয়ে পাঠদান চালাচ্ছে বিদ্যালয়টি। অথচ প্রতিষ্ঠার ৫২ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে এলেও বিদ্যালয়টি স্থানীয় শিক্ষা অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও জলাবদ্ধতা ও অবকাঠামোগত সংকটে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষক - শিক্ষার্থীরা।

কিছুদিনের টানা বৃষ্টির পর সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, প্রধান ভবনের সামনের মাঠজুড়ে পানি জমে আছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পানি ও কাদামাখা পথ ধরে বিদ্যালয় ভবনে প্রবেশ করছে। মাঠে খেলাধুলা তো দূরের কথা, দাঁড়ানোও কষ্টকর। আবার মাঠে জমে থাকা পানির কারণে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের বাসাবাড়ির পানি ও কাদার মিশ্রণে তৈরি হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। বিদ্যালয়ের একাধিক শ্রেণিকক্ষের দেয়ালে স্যাঁতসেঁতে দাগ স্পষ্ট, আর প্রধান ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ফাহিম জানায়, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠ ভরে যায় পানিতে। তখন আমরা ভিজে ভিজেই ক্লাসে যাই। খেলাধুলা বন্ধ থাকে। আমাদের শরীরচর্চা হয় না। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়।’ দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ফারিহা রোজা বলে, ‘কাদা আর দুর্গন্ধ হয়। ক্লাসে বসে পড়াশোনা করতে খুব কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। খেলতে পারিনা। সব সময় ক্লাসেই বসে থাকি।’বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দীপা ম-ল বলেন, ‘একজন শিশুর বিকাশে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা অপরিহার্য। কিন্তু জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর আমাদের চলাচলেও অনেক কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে।’

আরেক সহকারী শিক্ষক জুবায়ের রহমান যোগ করেন, ‘আমাদের প্রধান ভবনটাও ঝুঁকিপূর্ণ। আর মাঠে পানি জমে থাকায় অভিভাবকরাও শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। এমন পরিবেশে পড়াশোনার প্রতি শিশুদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে।’ অভিভাবক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন সন্তানকে স্কুলে আনা-নেওয়া করা ভোগান্তির হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানি ও কাদা পার হয়ে যেতে হয়। ওরা এই পরিস্থিতিতে স্কুলে আসতে চায় না। আমরা চাই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্বার্থে দ্রুত স্কুলের মাঠটিকে সংস্কার করা হোক।’

অন্য অভিভাবক কনক ইয়াসমিন জানান, ‘আমরা চাই সন্তানরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও অংশ নিক। কিন্তু জলাবদ্ধতার কারণে খেলাধুলা একেবারেই বন্ধ। এটা শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। আগে আমরা এই স্কুলের মাঠেই বসে অপেক্ষা করতাম। আর এখন আমাদের রাস্তায় পাশে দাড়িয়ে থাকতে হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার বলেন, ‘অবকাঠামোগত দুর্বলতা, কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব ও রক্ষণাবেক্ষণের ত্রুটির কারণে এখন এটি শিশুদের জন্য দুঃসহ পরিবেশ তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, দুর্গন্ধে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না, আর অভিভাবকরা প্রতিদিনের ভোগান্তিতে ক্ষুব্ধ। তিনি আরো বলেন, ‘জলাবদ্ধতার সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। মাঝে আমরা মাঠের পানি বের করে দেওয়ার জন্য পাইপ লাগিয়েছিলাম। পরে সেটি অকেজো হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা আবারো শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। দ্রুত সমাধান না হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি জেনে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। ইতোমধ্যে পানি নিষ্কাশন ও মাঠ সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।’ মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন বলেন, ‘প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার মাঠ শুধু বিনোদনের জায়গা নয়, এটি তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অপরিহার্য অংশ। তাই এ মাঠ সংস্কারের বিষয়টিকে আমি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। আমার দপ্তরের যেকোনো উপযুক্ত প্রকল্পের আওতায় খুব দ্রুত মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। যেহেতু আমি এ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি, তাই বিদ্যালয়টিকে আরও সুন্দর ও শিক্ষার্থীবান্ধব করে সাজানোর জন্য আমি অঙ্গীকারবদ্ধ। শিশুদের শিক্ষা ও মানসিক বিকাশের প্রশ্নে কোনো ধরনের অবহেলা কাম্য নয়। জলাবদ্ধতা সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে শত শত শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বিপন্ন হবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ছবি

গোপালগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, চড়-থাপ্পড় দিয়েই ‘মীমাংসা’ করলেন মাতবররা

ছবি

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: সাড়ে তিন মাস পর বাড়ি ফিরলো যমজ বোন

ছবি

বরিশালে তাপমাত্রার পারদ ক্রমেই নামছে, আসছে শীত

ছবি

রংপুরে আগেভাগেই শীতের তীব্রতা, প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা

ছবি

গাজীপুরের নিসর্গ রিসোর্টে পেট্রলবোমা সদৃশ বস্তু নিক্ষেপ, উদ্ধার পুলিশের

ছবি

পুলিশের অভিযানে মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাসভবনে সাতজন আটক

ছবি

শেরপুরে বক্কর হত্যা মামলার আসামি মনির গ্রেপ্তার

ছবি

‘আমি খুব করে বাঁচতে চেয়েছি,’: রাবি শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার, সাথে চিরকুট

জয়পুরহাটে যাত্রীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বুকিং সহকারী বরখাস্ত

৫ দিনেও জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ!

ছবি

বরগুনায় পানি সংরক্ষণে ৩৬ কোটি টাকার প্রকল্পে অনিয়ম

ছবি

শেরপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

ছবি

তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ছবি

চকরিয়ায় পুরস্কারের প্রলোভনে বৃত্তি পরীক্ষার নামে বাণিজ্য

ছবি

রায়গঞ্জে ফুলজোড় নদী থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

ছবি

সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

ছবি

রাজবাড়ীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সার বিতরণ

ছবি

হাওরের প্রকৃতি, পরিবেশ রক্ষায় মতবিনিময় সভা

ছবি

দামুড়হুদায় বারোমাসি কাঁঠাল বাগানে রানার ভাগ্য বদল

ছবি

পদ্মার শাখা খালে বাঁধ, টঙ্গীবাড়ীতে নৌযান চলাচল বন্ধের আশঙ্কা

ছবি

শেরপুরে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, আহত ৬

ছবি

দশমিনায় পান চাষী অমলের সাফল্য

ছবি

পটুয়াখালীর মহিপুরে নিজ বসত ঘরে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মেঘনা নদীতে পাঙ্গাশে সয়লাব দেখা মিলেছে না ইলিশের

ছবি

অবৈধ স্থাপনার ক্ষতিপূরণ দিতে উদ্যোগ, জনমনে প্রশ্ন

ছবি

গলাচিপায় জাল সেলাই করে সংসার চলে সহস্রাধিক জেলের

মহেশপুর সীমান্তে ১০ মাসে ২ হাজার ৮৭৩ জন আটক

ছবি

কুষ্টিয়ায় জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ বিক্রির দায়ে ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে জায়গা মেলেনি চরাইহাটি স্কুলের, অফিস চলে জুতার দোকানে

দুমকিতে ইউপি চেয়ারম্যান আটক

ছবি

সিরাজগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ

ছবি

মোহনগঞ্জে ব্যস্ততা বাড়ছে লেপ তোষক কারিগরদের

ছবি

খোকসায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাম ফলক তুলে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

নওগাঁ-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

গজারিয়ায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

ছবি

যশোরে তিনটি বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

tab

স্কুল মাঠে জলাবদ্ধতা, সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জ : স্কুলের সামনে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা -সংবাদ

শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

মানিকগঞ্জ পৌর শহরের পোড়রা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও সামনের সড়ক সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে শুধু পাঠদানই নয়, শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক বিকাশও ব্যাহত হচ্ছে।

বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জেলার শিক্ষার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

বর্তমানে ৭০৫ জন শিক্ষার্থী ও ১৪ জন শিক্ষক নিয়ে পাঠদান চালাচ্ছে বিদ্যালয়টি। অথচ প্রতিষ্ঠার ৫২ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে এলেও বিদ্যালয়টি স্থানীয় শিক্ষা অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও জলাবদ্ধতা ও অবকাঠামোগত সংকটে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষক - শিক্ষার্থীরা।

কিছুদিনের টানা বৃষ্টির পর সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, প্রধান ভবনের সামনের মাঠজুড়ে পানি জমে আছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পানি ও কাদামাখা পথ ধরে বিদ্যালয় ভবনে প্রবেশ করছে। মাঠে খেলাধুলা তো দূরের কথা, দাঁড়ানোও কষ্টকর। আবার মাঠে জমে থাকা পানির কারণে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের বাসাবাড়ির পানি ও কাদার মিশ্রণে তৈরি হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। বিদ্যালয়ের একাধিক শ্রেণিকক্ষের দেয়ালে স্যাঁতসেঁতে দাগ স্পষ্ট, আর প্রধান ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ফাহিম জানায়, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠ ভরে যায় পানিতে। তখন আমরা ভিজে ভিজেই ক্লাসে যাই। খেলাধুলা বন্ধ থাকে। আমাদের শরীরচর্চা হয় না। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়।’ দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ফারিহা রোজা বলে, ‘কাদা আর দুর্গন্ধ হয়। ক্লাসে বসে পড়াশোনা করতে খুব কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। খেলতে পারিনা। সব সময় ক্লাসেই বসে থাকি।’বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দীপা ম-ল বলেন, ‘একজন শিশুর বিকাশে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা অপরিহার্য। কিন্তু জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর আমাদের চলাচলেও অনেক কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে।’

আরেক সহকারী শিক্ষক জুবায়ের রহমান যোগ করেন, ‘আমাদের প্রধান ভবনটাও ঝুঁকিপূর্ণ। আর মাঠে পানি জমে থাকায় অভিভাবকরাও শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। এমন পরিবেশে পড়াশোনার প্রতি শিশুদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে।’ অভিভাবক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন সন্তানকে স্কুলে আনা-নেওয়া করা ভোগান্তির হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানি ও কাদা পার হয়ে যেতে হয়। ওরা এই পরিস্থিতিতে স্কুলে আসতে চায় না। আমরা চাই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্বার্থে দ্রুত স্কুলের মাঠটিকে সংস্কার করা হোক।’

অন্য অভিভাবক কনক ইয়াসমিন জানান, ‘আমরা চাই সন্তানরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও অংশ নিক। কিন্তু জলাবদ্ধতার কারণে খেলাধুলা একেবারেই বন্ধ। এটা শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। আগে আমরা এই স্কুলের মাঠেই বসে অপেক্ষা করতাম। আর এখন আমাদের রাস্তায় পাশে দাড়িয়ে থাকতে হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার বলেন, ‘অবকাঠামোগত দুর্বলতা, কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব ও রক্ষণাবেক্ষণের ত্রুটির কারণে এখন এটি শিশুদের জন্য দুঃসহ পরিবেশ তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, দুর্গন্ধে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না, আর অভিভাবকরা প্রতিদিনের ভোগান্তিতে ক্ষুব্ধ। তিনি আরো বলেন, ‘জলাবদ্ধতার সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। মাঝে আমরা মাঠের পানি বের করে দেওয়ার জন্য পাইপ লাগিয়েছিলাম। পরে সেটি অকেজো হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা আবারো শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। দ্রুত সমাধান না হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি জেনে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। ইতোমধ্যে পানি নিষ্কাশন ও মাঠ সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।’ মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন বলেন, ‘প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার মাঠ শুধু বিনোদনের জায়গা নয়, এটি তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অপরিহার্য অংশ। তাই এ মাঠ সংস্কারের বিষয়টিকে আমি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। আমার দপ্তরের যেকোনো উপযুক্ত প্রকল্পের আওতায় খুব দ্রুত মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। যেহেতু আমি এ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি, তাই বিদ্যালয়টিকে আরও সুন্দর ও শিক্ষার্থীবান্ধব করে সাজানোর জন্য আমি অঙ্গীকারবদ্ধ। শিশুদের শিক্ষা ও মানসিক বিকাশের প্রশ্নে কোনো ধরনের অবহেলা কাম্য নয়। জলাবদ্ধতা সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে শত শত শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বিপন্ন হবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

back to top