পীরগাছা, (রংপুর) : প্রধান শিক্ষক অপসারণসহ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য মানববন্ধন -সংবাদ
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার বিহারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বাতিল, স্লীপ, কাবিখা এমারজেন্সি এডুকেশন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম, দুর্নীতির তদন্ত, বিতর্কিত এডহক কমিটি বাতিল করাসহ প্রধান শিক্ষক আকমল হোসেন অরেঞ্জকে অপসারণসহ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন নিশ্চিত করেছেন, প্রধান শিক্ষক আকমল হোসেন অতি উৎসাহী হয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিনা প্রয়োজনে পরিবেশ বান্ধব কিছু বন্ধু গাছ কাটার প্রসেস করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিহারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। মানব বন্ধনে বক্তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের মধ্যে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বাতিল, স্লীপ, কাবিখা এমারজেন্সি এডুকেশন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম, দূর্ণীতির তদন্ত ও বিতর্কিত এডহক কমিটি বাতিলের দাবী জানান।
ওই মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন, বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মুশফিকুর রহমান লিটন, সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমান অভিভাবক মো.আব্দুল হাই সার্ভেয়ার। অভিভাবক মো.খলিল মিয়া, মনিরুজ্জামান ও সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রধান শিক্ষক আকমল হোসেন অরেঞ্জ বদলি হয়ে এখানে আসার পর থেকেই শিক্ষার মান নিম্নমুখী হয়েছে, শিক্ষার্থী সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। প্রধান শিক্ষকের একক সিদ্ধান্তের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় ১৫৩ টি গাছ নিলাম করা হয়। নিলামের পূর্বে ফরেস্টের মূল্য নির্ধারণী টিমকে প্রভাবিত করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, এতে সরকার বিশাল পরিমানের রাজস্ব হারাচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবীর মধ্যে বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক আকমল হোসেন অরেঞ্জকে প্রশাসনিকভাবে অপসারণ করতে হবে। পুনরায় মূল্য নির্ধারণ করে শুধুমাত্র ইউক্যালিপ্টাস গাছ নিলাম করতে হবে। পরিবেশের অনুকুলের বা কোন বন্ধু গাছ নিলাম করা যাবে না। বিদ্যালয়ের পশ্চিমের গেটের পরিবর্তে দুই ভবনের মাঝ দিয়ে গেট করতে হবে। বিতর্কিত এডহক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন কমিটি করতে হবে। বর্তমান প্রধান শিক্ষক আকমল হোসেন এর সময়ে প্রাপ্ত স্লীপ, কাবিখা ও এমারজেন্সি এডুকেশন প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। মানববন্ধন শেষে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন এলাকাবাসী। এবিষয়ে মন্তব্য নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক আকমল হোসেন অরেঞ্জকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন বলেন, গাছ কাটার আবেদন সরাসরি নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে করেছেন প্রধান শিক্ষক। গাছ নিলামের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক অতি উৎসাহী ছিলেন, তাকে ভালো করে ধরেন, প্রকৃত সত্য বেড়িয়ে আসবে। পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মো. রাসেল বলেন, মানববন্ধনের বিষয়টি জেনেছি এবং এলাকাবাসীর পক্ষে থেকে স্মারকলিপি পেয়েছি। আপাতত গাছ কাটা স্থগিত করা হয়েছে, আগামী রোববার সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
পীরগাছা, (রংপুর) : প্রধান শিক্ষক অপসারণসহ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য মানববন্ধন -সংবাদ
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার বিহারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বাতিল, স্লীপ, কাবিখা এমারজেন্সি এডুকেশন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম, দুর্নীতির তদন্ত, বিতর্কিত এডহক কমিটি বাতিল করাসহ প্রধান শিক্ষক আকমল হোসেন অরেঞ্জকে অপসারণসহ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন নিশ্চিত করেছেন, প্রধান শিক্ষক আকমল হোসেন অতি উৎসাহী হয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিনা প্রয়োজনে পরিবেশ বান্ধব কিছু বন্ধু গাছ কাটার প্রসেস করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিহারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। মানব বন্ধনে বক্তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের মধ্যে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বাতিল, স্লীপ, কাবিখা এমারজেন্সি এডুকেশন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম, দূর্ণীতির তদন্ত ও বিতর্কিত এডহক কমিটি বাতিলের দাবী জানান।
ওই মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন, বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মুশফিকুর রহমান লিটন, সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমান অভিভাবক মো.আব্দুল হাই সার্ভেয়ার। অভিভাবক মো.খলিল মিয়া, মনিরুজ্জামান ও সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রধান শিক্ষক আকমল হোসেন অরেঞ্জ বদলি হয়ে এখানে আসার পর থেকেই শিক্ষার মান নিম্নমুখী হয়েছে, শিক্ষার্থী সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। প্রধান শিক্ষকের একক সিদ্ধান্তের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় ১৫৩ টি গাছ নিলাম করা হয়। নিলামের পূর্বে ফরেস্টের মূল্য নির্ধারণী টিমকে প্রভাবিত করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, এতে সরকার বিশাল পরিমানের রাজস্ব হারাচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবীর মধ্যে বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক আকমল হোসেন অরেঞ্জকে প্রশাসনিকভাবে অপসারণ করতে হবে। পুনরায় মূল্য নির্ধারণ করে শুধুমাত্র ইউক্যালিপ্টাস গাছ নিলাম করতে হবে। পরিবেশের অনুকুলের বা কোন বন্ধু গাছ নিলাম করা যাবে না। বিদ্যালয়ের পশ্চিমের গেটের পরিবর্তে দুই ভবনের মাঝ দিয়ে গেট করতে হবে। বিতর্কিত এডহক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন কমিটি করতে হবে। বর্তমান প্রধান শিক্ষক আকমল হোসেন এর সময়ে প্রাপ্ত স্লীপ, কাবিখা ও এমারজেন্সি এডুকেশন প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। মানববন্ধন শেষে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন এলাকাবাসী। এবিষয়ে মন্তব্য নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক আকমল হোসেন অরেঞ্জকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন বলেন, গাছ কাটার আবেদন সরাসরি নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে করেছেন প্রধান শিক্ষক। গাছ নিলামের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক অতি উৎসাহী ছিলেন, তাকে ভালো করে ধরেন, প্রকৃত সত্য বেড়িয়ে আসবে। পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মো. রাসেল বলেন, মানববন্ধনের বিষয়টি জেনেছি এবং এলাকাবাসীর পক্ষে থেকে স্মারকলিপি পেয়েছি। আপাতত গাছ কাটা স্থগিত করা হয়েছে, আগামী রোববার সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে