alt

হারিয়ে যাচ্ছে লোকজ সংস্কৃতি

প্রতিনিধি, মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) : রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

লোকজ সংস্কৃতির দেশ বাংলাদেশ। গ্রামীণ জীবনের পরতে পরতে মিশে আছে বিভিন্ন লোকজ সংস্কৃতির মিশেল। শেকড় ঐতিহ্যের একটি নান্দনিক আয়োজন লোকজ সংস্কৃতি। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবন ধারাপাতে লোকজ সংস্কৃতির ঐতিহ্য অনেক পুরনো। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবন ঘনিষ্ট লোকজ সংস্কৃতির অনেক ধারাই এখন বিলুপ্তির পথে।

লোকজ সংস্কৃতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ধারাগুলো হলো গ্রামীণ যাত্রা, বাউল গান, কবিগান, জারিগান, গাজীর গীত, ধামাইল, মাইট্যা তামশা, পুঁথিপাঠ, কিচ্ছা কাহিনি, নৌকা বাইচ, বৈঠকিগান, সংসাজা, ঢপযাত্রা, পালাগান, মানপালা, মাথুরপালা, নিমাই সন্যাস, নৌকাবিলাস, গ্রাম্যগীত ইত্যাদি। আকাশ সংস্কৃতির দাপটে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে জীবন ঘনিষ্ট লোকজ সংস্কৃতির এসব ধারা। বিদ্যুতের আশির্বাদে গ্রামীণ জনপদের ঘরে ঘরে টিভি সেট, হাতে হাতে স্মার্ট ফোন। কে আর খবর রাখে লোকজ সংস্কৃতির। অথচ এমন এক সময় ছিল যখন গ্রামে গ্রামে আয়োজন হতো লোকজ সংস্কৃতির মেলা। এসবের মাধ্যমে মানুষে মানুষে সৃষ্টি হতো মেলবন্ধন। গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠতো শৌখিন গ্রামীণ যাত্রা,ঢপযাত্রার দল। কবির টপ্পা, আর কবির লড়াইয়ে মুখরিত হতো গ্রামীণ জনপদ। বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, হালখাতা, পুইনা উপলক্ষে জমে উঠতো বাউল ও কবিগানের আসর। বিয়েশাদি উপলক্ষে বাটাভরা পান নিয়ে বারান্দায়, আঙিনায় বসতো গ্রামীণ মহিলাদের গীতের আসর। গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠতো জারিগানের দল। প্রতিযোগিতা চলতো দলে দলে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে গজীর গীত পরিবেশন করতেন গাজীর গাইনরা। এছাড়াও তারা বায়না নিয়ে গাজীর পালা পরিবেশন করতেন। কবিগানের ডাক না পড়ায় জীবদ্দশায় নেত্রকোনার কবিয়াল মদন সরকারের সাথে কথা হয়। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কবিমশাই কবির দিন তো শেষ। আপনার এখন কি কাম। স্বভাবসুলভ ভাষায় বলেন, কামের মধ্যে কাম, তৈজসপত্রে লেখি নাম (বৃদ্ধাবস্থায় তিনি বাসনকোসনে নাম লিখতেন) অক্ষর প্রতি আট আনা দাম, এই হারেতে পাই, বৃদ্ধ বয়সে মদনে, ঠেহলাম বড় নিদানে, দন্তহীন বদনে। এভাবেই কালের অতল তলে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের চিরচেনা শেকড় ঐতিহ্য লোকজ সংস্কৃতি। বর্তমান প্রজন্মও ভুলতে বসেছে লোকজ সংস্কৃতির প্রাচীন ঐতিহ্য।

ছবি

পাহাড়ে বছরে ১২০০ কোটি টাকা চাঁদা আদায়: এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন

ছবি

শার্শায় ইছামতীতে বড়শিতেই ওঠে এলো ১৬ কেজির পাঙাস

জকিগঞ্জে স্থাপনা ভাঙচুর: স্থানীয়দের প্রতিরোধে পিছু হটলো বিএসএফ

ছবি

জমি বিরোধে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গ্রাম সংঘর্ষে ২৫ জন আহত

ছবি

উলিপুরে নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসে দিনভর অপেক্ষা করে ফিরে গেলেন পরীক্ষার্থীরা

ছবি

শেরপুরে মাদকসেবীর তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড

ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ে দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে শীতবস্ত্র বিতরণ

ছবি

যশোরে নৈশ প্রহরীকে কুপিয়ে জখম

ছবি

সিরাজদিখানে সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের মতবিনিময়

ছবি

দুবাই থেকে দেশে ফিরে সিলেটে গ্রেপ্তার, চট্টগ্রামের রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ৫৭ মামলা

ছবি

বাগাতিপাড়ায় নিখোঁজ তাওহিদা জীম ৩ সপ্তাহেও মেলেনি সন্ধান

ছবি

ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে ধেয়ে আসা পানিতে ভাঙল শিবগঞ্জের কালভার্ট

ছবি

শেরপুরে টানা বৃষ্টিতে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ

ছবি

ঘরে তোলার আগেই নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ধান

ছবি

লালপুরে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

ছবি

নাসিরনগরে প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচি

ছবি

দুমকিতে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা সেবা

ছবি

‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর

ছবি

ডুবলো ফসল দিশেহারা কৃষক

ছবি

মহাদেবপুরে ভুয়া ভাউচারে স্বাক্ষর না করায় সভাপতিকেই বাদ দিলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ

ছবি

মানিকগঞ্জ টিআরইউর সভাপতি খোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক লিটন

ছবি

ডিমলায় কয়েক দিনের দমকা ঝড়ো বৃষ্টিতে আমন ধানসহ শীতকালীন শাকসব্জির ব্যাপক ক্ষতি

ছবি

ভালুকায় ফসলের ক্ষতিপূরণ দাবিতে কৃষকের মানববন্ধন

ছবি

বড়াল নদীতে খেওয়া জাল উৎসবে মেতেছে স্থানীয়রা

ছবি

গলাচিপার টেলিফোন একচেঞ্জ ভবনটি এখন ভূতুড়ে বাড়ি

ছবি

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যু

ছবি

ডালিয়া পাউবোর নাকের ডগায় অবৈধ পাথর উত্তোলন

ছবি

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে নদী ভাঙ্গনের নতুন আতঙ্ক

ছবি

দশমিনায় ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে আপেল কূল

ছবি

সাংসারেক ঐতিহ্যের খক মান্দি বৈচিত্র্যময় জীবনধারায় অনন্য

ছবি

চোর সন্দেহে হত্যা ১, আটক ১

ছবি

দুবলার চরে রাস উৎসবে যেতে পারবেন না পর্যটকরা, কঠোর অবস্থানে বনবিভাগ

ছবি

সন্ধ্যা নামলেই জ্বলে ওঠে সড়কবাতি আলোকিত হয়ে ওঠে চান্দপুর গ্রাম

ছবি

উত্তরে বৃষ্টির ছোবল : শীতকালীন ফসলের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শঙ্কা

ছবি

নদী পারাপারে বাঁশের সাঁকোই ভরসা

ছবি

বরগুনার কাক্সিক্ষত দাম না পেয়ে হতাশ পান চাষিরা

tab

হারিয়ে যাচ্ছে লোকজ সংস্কৃতি

প্রতিনিধি, মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা)

রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

লোকজ সংস্কৃতির দেশ বাংলাদেশ। গ্রামীণ জীবনের পরতে পরতে মিশে আছে বিভিন্ন লোকজ সংস্কৃতির মিশেল। শেকড় ঐতিহ্যের একটি নান্দনিক আয়োজন লোকজ সংস্কৃতি। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবন ধারাপাতে লোকজ সংস্কৃতির ঐতিহ্য অনেক পুরনো। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবন ঘনিষ্ট লোকজ সংস্কৃতির অনেক ধারাই এখন বিলুপ্তির পথে।

লোকজ সংস্কৃতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ধারাগুলো হলো গ্রামীণ যাত্রা, বাউল গান, কবিগান, জারিগান, গাজীর গীত, ধামাইল, মাইট্যা তামশা, পুঁথিপাঠ, কিচ্ছা কাহিনি, নৌকা বাইচ, বৈঠকিগান, সংসাজা, ঢপযাত্রা, পালাগান, মানপালা, মাথুরপালা, নিমাই সন্যাস, নৌকাবিলাস, গ্রাম্যগীত ইত্যাদি। আকাশ সংস্কৃতির দাপটে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে জীবন ঘনিষ্ট লোকজ সংস্কৃতির এসব ধারা। বিদ্যুতের আশির্বাদে গ্রামীণ জনপদের ঘরে ঘরে টিভি সেট, হাতে হাতে স্মার্ট ফোন। কে আর খবর রাখে লোকজ সংস্কৃতির। অথচ এমন এক সময় ছিল যখন গ্রামে গ্রামে আয়োজন হতো লোকজ সংস্কৃতির মেলা। এসবের মাধ্যমে মানুষে মানুষে সৃষ্টি হতো মেলবন্ধন। গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠতো শৌখিন গ্রামীণ যাত্রা,ঢপযাত্রার দল। কবির টপ্পা, আর কবির লড়াইয়ে মুখরিত হতো গ্রামীণ জনপদ। বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, হালখাতা, পুইনা উপলক্ষে জমে উঠতো বাউল ও কবিগানের আসর। বিয়েশাদি উপলক্ষে বাটাভরা পান নিয়ে বারান্দায়, আঙিনায় বসতো গ্রামীণ মহিলাদের গীতের আসর। গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠতো জারিগানের দল। প্রতিযোগিতা চলতো দলে দলে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে গজীর গীত পরিবেশন করতেন গাজীর গাইনরা। এছাড়াও তারা বায়না নিয়ে গাজীর পালা পরিবেশন করতেন। কবিগানের ডাক না পড়ায় জীবদ্দশায় নেত্রকোনার কবিয়াল মদন সরকারের সাথে কথা হয়। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কবিমশাই কবির দিন তো শেষ। আপনার এখন কি কাম। স্বভাবসুলভ ভাষায় বলেন, কামের মধ্যে কাম, তৈজসপত্রে লেখি নাম (বৃদ্ধাবস্থায় তিনি বাসনকোসনে নাম লিখতেন) অক্ষর প্রতি আট আনা দাম, এই হারেতে পাই, বৃদ্ধ বয়সে মদনে, ঠেহলাম বড় নিদানে, দন্তহীন বদনে। এভাবেই কালের অতল তলে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের চিরচেনা শেকড় ঐতিহ্য লোকজ সংস্কৃতি। বর্তমান প্রজন্মও ভুলতে বসেছে লোকজ সংস্কৃতির প্রাচীন ঐতিহ্য।

back to top