শাহরাস্তিতে বাড়ীর চলাচলের রাস্তায় কাঁটা তারের বেড়া দেড় শতাধিক লোকের দূরাবস্থা -সংবাদ
শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের নরিংপুর নতুন মৃধা বাড়িতে নিজ সম্পত্তি দাবি করে জোরপূর্বক দখল এবং চলাচলের পথে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ১৭টি পরিবারের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করার অভিযোগ উঠেছে। ফলে দেড় শতাধিক মানুষ অবরুদ্ধ অবস্থায় ‘বন্দী জীবন’ যাপন করছেন বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দাবি করছে । গত ০৬ নভেম্বর ভুক্তভোগী শাহআলম ও জিয়াউল হক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), শাহরাস্তি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, তারা নরসিংহপুর মৌজার হাল বি.এস ১১৬ নং খতিয়ানভুক্ত ২৫৯০-২৬৪০ নং খারিজ খতিয়ানভুক্ত জমি ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর (দলিল নং ৫২৬১) ও ২৬ নভেম্বর (দলিল নং ৫০৮৮) যথাক্রমে চিতোষী সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছিলেন। আরোও জানান, একই এলাকার মুকসুদা বেগম ও শনুরা আক্তার নামে দুই ব্যক্তি তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে তাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। অভিযোগকারীরা আরও জানান, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনে দক্ষিণ সূচিপাড়া ইউনিয়নে স্থানীয়ভাবে সালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে আপোষনামাও সম্পন্ন হয়েছিল। তবে বিবাদীপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করে পুনরায় চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টি করে নৈরাজ্য অব্যাহত রেখেছে। সরেজমিনে গেলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান ক্ষতিগ্রস্ত আবদুল মতিন (৬৫) বলেন, এ বাড়ির কয়েকজন রোগী অপারেশন করাতে পারছে না। সফিউল্লাহ (৮৫), আনা মিয়া (৬৫), রশিদা বেগম (৫৫), ইমান হোসেন (৪৫), এবং নার্গিস বেগম (৫০) অভিযোগ করেন, আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না, সিজারের রোগী চিকিৎসা নিতে পারছে না। মানিক (৩০) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা দেশের প্রচলিত আইনে এই ঘটনার বিচার চাই। এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী শাহআলম সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, বেআইনিভাবে দখল করা জমিটি পুনরায় তাদের ভোগদখলে বুঝিয়ে দেওয়া হোক এবং ১৭টি পরিবারের চলাচলের পথ দ্রুত খুলে দেওয়া হোক। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুকসুদা বেগম জানান, আমার ক্রয়কৃত জায়গায় আমি বেড়া দিয়েছি। তারা এ সম্পওি উপর রক্ষিত গাছ বিনষ্ট করছে।
তারা আমার উপর অত্যাচার গালমন্দ করছে। ভেড়া দেওয়া ঠিক হয়েছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আমার জায়গায় আমি বেড়া দিয়েছি, তারা পথের জন্য কিছু অংশ সম্পওি দিয়ে পথ ব্যবহার করুক।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী শাহআলম ও জিয়াউল হক সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, বেআইনিভাবে দখল করা জমিটি পুনরায় তাদের ভোগদখলে বুঝিয়ে দেওয়া হোক এবং ১৭টি পরিবারের চলাচলের পথ দ্রুত খুলে দেওয়া হোক।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শাহরাস্তিতে বাড়ীর চলাচলের রাস্তায় কাঁটা তারের বেড়া দেড় শতাধিক লোকের দূরাবস্থা -সংবাদ
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের নরিংপুর নতুন মৃধা বাড়িতে নিজ সম্পত্তি দাবি করে জোরপূর্বক দখল এবং চলাচলের পথে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ১৭টি পরিবারের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করার অভিযোগ উঠেছে। ফলে দেড় শতাধিক মানুষ অবরুদ্ধ অবস্থায় ‘বন্দী জীবন’ যাপন করছেন বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দাবি করছে । গত ০৬ নভেম্বর ভুক্তভোগী শাহআলম ও জিয়াউল হক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), শাহরাস্তি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, তারা নরসিংহপুর মৌজার হাল বি.এস ১১৬ নং খতিয়ানভুক্ত ২৫৯০-২৬৪০ নং খারিজ খতিয়ানভুক্ত জমি ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর (দলিল নং ৫২৬১) ও ২৬ নভেম্বর (দলিল নং ৫০৮৮) যথাক্রমে চিতোষী সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছিলেন। আরোও জানান, একই এলাকার মুকসুদা বেগম ও শনুরা আক্তার নামে দুই ব্যক্তি তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে তাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। অভিযোগকারীরা আরও জানান, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনে দক্ষিণ সূচিপাড়া ইউনিয়নে স্থানীয়ভাবে সালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে আপোষনামাও সম্পন্ন হয়েছিল। তবে বিবাদীপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করে পুনরায় চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টি করে নৈরাজ্য অব্যাহত রেখেছে। সরেজমিনে গেলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান ক্ষতিগ্রস্ত আবদুল মতিন (৬৫) বলেন, এ বাড়ির কয়েকজন রোগী অপারেশন করাতে পারছে না। সফিউল্লাহ (৮৫), আনা মিয়া (৬৫), রশিদা বেগম (৫৫), ইমান হোসেন (৪৫), এবং নার্গিস বেগম (৫০) অভিযোগ করেন, আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না, সিজারের রোগী চিকিৎসা নিতে পারছে না। মানিক (৩০) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা দেশের প্রচলিত আইনে এই ঘটনার বিচার চাই। এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী শাহআলম সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, বেআইনিভাবে দখল করা জমিটি পুনরায় তাদের ভোগদখলে বুঝিয়ে দেওয়া হোক এবং ১৭টি পরিবারের চলাচলের পথ দ্রুত খুলে দেওয়া হোক। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুকসুদা বেগম জানান, আমার ক্রয়কৃত জায়গায় আমি বেড়া দিয়েছি। তারা এ সম্পওি উপর রক্ষিত গাছ বিনষ্ট করছে।
তারা আমার উপর অত্যাচার গালমন্দ করছে। ভেড়া দেওয়া ঠিক হয়েছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আমার জায়গায় আমি বেড়া দিয়েছি, তারা পথের জন্য কিছু অংশ সম্পওি দিয়ে পথ ব্যবহার করুক।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী শাহআলম ও জিয়াউল হক সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, বেআইনিভাবে দখল করা জমিটি পুনরায় তাদের ভোগদখলে বুঝিয়ে দেওয়া হোক এবং ১৭টি পরিবারের চলাচলের পথ দ্রুত খুলে দেওয়া হোক।