alt

তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের চরে মাশকলাই চাষে বিপর্যয়, পোকায় খেয়েছে চাষির স্বপ্ন

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা : বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

গাইবান্ধা : ফুলছড়ির উজালডাঙ্গা চরের মাশকালাই গাছে পোকার আক্রমণ -সংবাদ

উত্তরাঞ্চলের তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চল জুড়ে মাশকলাই গাছে ভয়াবহ পোকার আক্রমণে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গাছের ফুল ও ফলন অংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পুরো মৌসুমের স্বপ্ন এখন ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে।

কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার চরাঞ্চলে প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে মাশকলাই চাষ হয়েছে। বন্যা শেষে পলি জমে উর্বর মাটিতে চাষিরা সাধারণত একবার চাষ করেই বীজ ছিটিয়ে ফসল ফলান। শুরুতে গাছের বৃদ্ধি ভালো থাকলেও বর্তমানে বিভিন্ন প্রজাতির পোকার আক্রমণে গাছের ফুল ও ডোগা খেয়ে ফেলছে, ফলে ফলন মারাত্মকভাবে হ্রাস পাচ্ছে।

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উজালডাঙা চরের চাষি সাদ্দাম হোসেন বলেন, চার বিঘা জমিতে মাশকলাই চাষ করেছিলাম। সার ও শ্রম খরচ অনেক গেছে, গাছও ভালো হয়েছিল। কিন্তু পোকার আক্রমণে সব শেষ হয়ে গেছে। এখন মনে হচ্ছে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

একই উপজেলার গুপ্তমণি চরের রাজা মিয়া জানান, কোন ধরণের পোকার আক্রমণ বুঝতে পারিনি। কৃষি অফিসের কেউ চরে নিয়মিত আসে না। সময়মতো ওষুধ দিলে হয়তো গাছগুলো রক্ষা করা যেত।

সাঘাটার দিঘলকান্দি চরের সালেহা বেগমের কণ্ঠেও হতাশা এত ক্ষতি হবে তা ভাবিনি। এখন শুধু লোকসানই গুনতে হবে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আব্দুল করিম জানান, ফলন না থাকায় জমি ভেঙে, মরিচ ও পিয়াজ চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

কৃষিবিদ ড.মোজাম্মেল হক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পোকার প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। সময়মতো প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা না থাকায় কৃষকরা এসব পরিস্থিতি সামলাতে পারছেন না। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখনই মাঠপর্যায়ে সক্রিয় হতে হবে।

ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার মিন্টু মিয়া বলেন, মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের রোগ প্রতিরোধে প্রতিষেধক এর জন্য পরামর্শ দিচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিকুল ইসলাস জানান,“চরের বিচ্ছিন্ন এলাকায় কর্মকর্তাদের পৌঁছানো কঠিন হলেও আমরা চেষ্টা করছি পরামর্শ ও প্রতিষেধক ব্যবস্থাপনা পৌঁছে দিতে। আমি সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ের যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিবো যাতে দ্রুত কৃষকদের সাথে কথা বলে।

স্থানীয় কৃষকদের দাবি, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে এ অঞ্চলের চাষিরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন। অনেকেই এখন বিকল্প ফসলের চিন্তায় রয়েছেন।

ছবি

হাওরের প্রকৃতি, পরিবেশ রক্ষায় মতবিনিময় সভা

ছবি

দামুড়হুদায় বারোমাসি কাঁঠাল বাগানে রানার ভাগ্য বদল

ছবি

পদ্মার শাখা খালে বাঁধ, টঙ্গীবাড়ীতে নৌযান চলাচল বন্ধের আশঙ্কা

ছবি

শেরপুরে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, আহত ৬

ছবি

দশমিনায় পান চাষী অমলের সাফল্য

ছবি

পটুয়াখালীর মহিপুরে নিজ বসত ঘরে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মেঘনা নদীতে পাঙ্গাশে সয়লাব দেখা মিলেছে না ইলিশের

ছবি

অবৈধ স্থাপনার ক্ষতিপূরণ দিতে উদ্যোগ, জনমনে প্রশ্ন

ছবি

গলাচিপায় জাল সেলাই করে সংসার চলে সহস্রাধিক জেলের

মহেশপুর সীমান্তে ১০ মাসে ২ হাজার ৮৭৩ জন আটক

ছবি

কুষ্টিয়ায় জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ বিক্রির দায়ে ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে জায়গা মেলেনি চরাইহাটি স্কুলের, অফিস চলে জুতার দোকানে

দুমকিতে ইউপি চেয়ারম্যান আটক

ছবি

সিরাজগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ

ছবি

মোহনগঞ্জে ব্যস্ততা বাড়ছে লেপ তোষক কারিগরদের

ছবি

খোকসায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাম ফলক তুলে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

নওগাঁ-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

গজারিয়ায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

ছবি

যশোরে তিনটি বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

কর্তৃক চাঁদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

ছবি

তালায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ছবি

চাটখিলে পুলিশ কর্মকর্তাসহ সোর্সের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

ছবি

গোয়ালন্দে চক্ষু রোগীদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা

ছবি

শাহরাস্তিতে বাড়ির চলাচলের রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া

ছবি

কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য ও কার্যকর কৃষিনীতি বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

বোয়ালখালীতে চলছে আমন ধান কাটার ধুম

ছবি

মীরসরাইয়ে আগুনে পুড়লো প্লাস্টিকের গোডাউন

ছবি

বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রাঙ্গণে কাব স্কাউটদের মিলনমেলা

১৯৭০ সনের ১২ নভেম্বরের কথা স্মরন করলে জীবিতরা আঁতকে ওঠে

শরীয়তপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলাতক, কিন্তু নিয়মিত স্বাক্ষর হচ্ছে হাজিরা খাতায়

ছবি

বাসচালকের মায়ের আহাজারি: আমার ছেলে তো রাজনীতি করে না, পুড়িয়ে মারলো কেন

ছবি

চাটমোহরের কুমড়ো বড়ি যাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকা

ছবি

ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নির্মাণ কাজ বন্ধ

ছবি

হাটহাজারীতে দুই দিনে ৩ অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার

ছবি

প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে চাটমোহরে বিএনপির সমাবেশ

ছবি

মোরেলগঞ্জে শিক্ষকের মারপিটে ছাত্রীর প্রানহানির অভিযোগ

tab

তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের চরে মাশকলাই চাষে বিপর্যয়, পোকায় খেয়েছে চাষির স্বপ্ন

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

গাইবান্ধা : ফুলছড়ির উজালডাঙ্গা চরের মাশকালাই গাছে পোকার আক্রমণ -সংবাদ

বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

উত্তরাঞ্চলের তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চল জুড়ে মাশকলাই গাছে ভয়াবহ পোকার আক্রমণে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গাছের ফুল ও ফলন অংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পুরো মৌসুমের স্বপ্ন এখন ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে।

কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার চরাঞ্চলে প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে মাশকলাই চাষ হয়েছে। বন্যা শেষে পলি জমে উর্বর মাটিতে চাষিরা সাধারণত একবার চাষ করেই বীজ ছিটিয়ে ফসল ফলান। শুরুতে গাছের বৃদ্ধি ভালো থাকলেও বর্তমানে বিভিন্ন প্রজাতির পোকার আক্রমণে গাছের ফুল ও ডোগা খেয়ে ফেলছে, ফলে ফলন মারাত্মকভাবে হ্রাস পাচ্ছে।

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উজালডাঙা চরের চাষি সাদ্দাম হোসেন বলেন, চার বিঘা জমিতে মাশকলাই চাষ করেছিলাম। সার ও শ্রম খরচ অনেক গেছে, গাছও ভালো হয়েছিল। কিন্তু পোকার আক্রমণে সব শেষ হয়ে গেছে। এখন মনে হচ্ছে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

একই উপজেলার গুপ্তমণি চরের রাজা মিয়া জানান, কোন ধরণের পোকার আক্রমণ বুঝতে পারিনি। কৃষি অফিসের কেউ চরে নিয়মিত আসে না। সময়মতো ওষুধ দিলে হয়তো গাছগুলো রক্ষা করা যেত।

সাঘাটার দিঘলকান্দি চরের সালেহা বেগমের কণ্ঠেও হতাশা এত ক্ষতি হবে তা ভাবিনি। এখন শুধু লোকসানই গুনতে হবে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আব্দুল করিম জানান, ফলন না থাকায় জমি ভেঙে, মরিচ ও পিয়াজ চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

কৃষিবিদ ড.মোজাম্মেল হক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পোকার প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। সময়মতো প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা না থাকায় কৃষকরা এসব পরিস্থিতি সামলাতে পারছেন না। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখনই মাঠপর্যায়ে সক্রিয় হতে হবে।

ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার মিন্টু মিয়া বলেন, মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের রোগ প্রতিরোধে প্রতিষেধক এর জন্য পরামর্শ দিচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিকুল ইসলাস জানান,“চরের বিচ্ছিন্ন এলাকায় কর্মকর্তাদের পৌঁছানো কঠিন হলেও আমরা চেষ্টা করছি পরামর্শ ও প্রতিষেধক ব্যবস্থাপনা পৌঁছে দিতে। আমি সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ের যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিবো যাতে দ্রুত কৃষকদের সাথে কথা বলে।

স্থানীয় কৃষকদের দাবি, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে এ অঞ্চলের চাষিরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন। অনেকেই এখন বিকল্প ফসলের চিন্তায় রয়েছেন।

back to top