ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ৬ মাসের ব্যবধানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু ও এডিস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় একাধিক ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের ডেঙ্গু জ্বর ও এডিস মশা সংক্রান্ত ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও মশা প্রতিরোধে ফগার যন্ত্রে ওষধ স্প্রে করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, গজারিয়া উপজেলা প্রশাসক ও গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারী মাস হতে চলতি নভেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ের ব্যবধানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগির সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীলদের কপালে। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে
চলতি বছরের জানুয়ারী হতে নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত সময়ে গত ১১ মাসে ৩১৯জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী গজারিয়া উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়াও এর কয়েকগুন বেশী রোগি বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার গজারিয়া উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের বর্হিঃবিভাগে দায়িত্বরত একাধিক চিকিৎসক জানালেন, গত কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিন একাধিক ডেঙ্গু পজেটিভ রোগি তাদের কাছ থেকে ব্যবস্হা পত্র ও চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
সূত্র আরো জানান, গজারিয়া মূলত এখন ডেঙ্গুর হটস্পট এ পরিনত হয়েছে গত ১১ মাসে, জানুয়ারী থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গড়ে প্রতি মাসে ৭ জন রোগি ভর্তি হলেও জুন মাসে ২৬ জন জুলাই মাসে ৩৯ জন অগাস্টে ৪০ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ৭৭ জন, অক্টোবর মাসে ৮২ ও চলতি নভেম্বর মাসের ১০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২৪ জন রোগি। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্র মতে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্হ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন ২ জন রোগী।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পুরুষ রোগিদের জন্য আলাদা “ডেঙ্গু কর্ণার” থাকলেও স্হান সংকুলান না হওয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত মহিলা রোগীদের জন্য “ ডেঙ্গু কর্ণার “ খোলা হয়নি, তাদের মহিলা ওয়ার্ডের সাধারণ রোগিদের সাথেই চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমীন আহমেদ তিথী গত সোমবার সংবাদকে বলেন, স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আগত ডেঙ্গু আক্রান্তদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিটি পরিবারের বাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনার আশপাশে এডিসের প্রজণনের অনুকুল পবিবেশ প্রতিরোধে জন সচেতনতা জরুরী, সেই প্রেক্ষিতে জনসচেতনতা তৈরীতে কাজ করছেন আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ৬ মাসের ব্যবধানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু ও এডিস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় একাধিক ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের ডেঙ্গু জ্বর ও এডিস মশা সংক্রান্ত ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও মশা প্রতিরোধে ফগার যন্ত্রে ওষধ স্প্রে করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, গজারিয়া উপজেলা প্রশাসক ও গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারী মাস হতে চলতি নভেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ের ব্যবধানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগির সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীলদের কপালে। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে
চলতি বছরের জানুয়ারী হতে নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত সময়ে গত ১১ মাসে ৩১৯জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী গজারিয়া উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়াও এর কয়েকগুন বেশী রোগি বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার গজারিয়া উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের বর্হিঃবিভাগে দায়িত্বরত একাধিক চিকিৎসক জানালেন, গত কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিন একাধিক ডেঙ্গু পজেটিভ রোগি তাদের কাছ থেকে ব্যবস্হা পত্র ও চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
সূত্র আরো জানান, গজারিয়া মূলত এখন ডেঙ্গুর হটস্পট এ পরিনত হয়েছে গত ১১ মাসে, জানুয়ারী থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গড়ে প্রতি মাসে ৭ জন রোগি ভর্তি হলেও জুন মাসে ২৬ জন জুলাই মাসে ৩৯ জন অগাস্টে ৪০ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ৭৭ জন, অক্টোবর মাসে ৮২ ও চলতি নভেম্বর মাসের ১০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২৪ জন রোগি। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্র মতে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্হ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন ২ জন রোগী।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পুরুষ রোগিদের জন্য আলাদা “ডেঙ্গু কর্ণার” থাকলেও স্হান সংকুলান না হওয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত মহিলা রোগীদের জন্য “ ডেঙ্গু কর্ণার “ খোলা হয়নি, তাদের মহিলা ওয়ার্ডের সাধারণ রোগিদের সাথেই চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমীন আহমেদ তিথী গত সোমবার সংবাদকে বলেন, স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আগত ডেঙ্গু আক্রান্তদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিটি পরিবারের বাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনার আশপাশে এডিসের প্রজণনের অনুকুল পবিবেশ প্রতিরোধে জন সচেতনতা জরুরী, সেই প্রেক্ষিতে জনসচেতনতা তৈরীতে কাজ করছেন আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা।