কুষ্টিয়ার খোকসার একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথের তোরণ থেকে দুর্বৃত্তরা স্কুলটির নাম ফলক তুলে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপি একাংশ মনে করছে তোরণ থেকে “রুমী” শব্দটি তুলে ফেলার পেছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত হতে পারে।
জানা গেছে, গত রোববার সকালে কমলাপুর রুমী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকট প্রতিবেশী এক নারী দুর্বৃদের ভেঙ্গে ফেলা নাম ফলকের অংশটি বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরির কাছে হস্তান্তর করেন। প্রধান শিক্ষকের দাবি কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে প্রধান তোরণ থেকে “রুমী” শব্দটি ভেঙ্গে রেখে যেতে পারে। তিনি এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। বিএনপির স্থানীয় একাধিক নেতা মনে করেন, প্রায় শোয়াশো বছর আগের বিদ্যালয়টি বিএনপির মনোনিত সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমীর পূর্ব পুরুষদের প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ের নামের সাথে রুমী শব্দটি ছিলো। দুর্বৃত্তরা সেই রুমী শব্দটি তুলে ফেলেছে। এতে রুমী পরিবারটির সন্মানহানী করা হয়েছে। বিদ্যালয়টির নৈশ প্রহরী রনজু জানান, শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বিদ্যালয়টি বন্ধ ছিলো। রবিবার সকালে তিনি এসে পরীচ্ছন্নতার কাজ করছিলেন। এমন সময় এক নারী প্রতিবেশী তার কাছে নাম ফলকের ভাঙ্গা অংশটি পৌচ্ছে দিয়ে যান। তিনি সাথে সাথে বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানান।
বিদ্যালয়টির নিকট প্রতিবেশী বিথী খাতুন জানান, শনিবার বিকালে স্কুল আঙ্গিনা থেকে ছাগল নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় তিনি নাম ফলকের ভাঙ্গা অংশটি কুড়িয়ে পান। অংশটি নিজের কাছে সংরক্ষন করে। রোববার বিদ্যালয় খোলার সাথে সাথে তিনি ওই ষ্টিলের টুকরাটি নৈশ প্রহরীর কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রধান শিক্ষক আব্দুর সবুর জানান, রোববার সকালে তিনি বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা স্বাক্ষর করেন। এর পর প্রাথমিক বৃত্তি মডেল টেষ্ট পরীক্ষার ডিউটিতে মডেল স্কুল কেন্দ্রে যান। দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী রনজু তাকে ফোনে নামফলক ভাঙ্গার বিষয়ে অবহিত করেন। তিনি স্কুলে ফিরে এসে নাম ফলকের ভাঙ্গা অংশ দেখেন। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। তাদের পরামর্শে থানায় অভিযোগ দিতে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষা অফিসার নাহিদ আকবর বলেন, বিদ্যালয়ের নাম ফলক থেকে “রুমী” শব্দটি তুলে ফেলে রেখে গেছেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষককে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নাফিজ আহমদ রাজু বলেন, শতবর্ষী বিদ্যালয়টির প্রধান তোরণ থেকে রুমী শব্দটি মুছে ফেলার পেছনে আওয়ামীদের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমীর বাড়ির পাশের স্কুল থেকে তাদের পারিবারিক পদবি “রুমী” শব্দ তুলে ফেলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।
কমলাপুর রুমী পরিবারের সদস্য ও বিএনপির মনোনিত সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমীর সাথে কথা বলা হলে তিনি বিষয় সম্পর্কে শোনেনি বলে জানান। এ নিয়ে কোন মন্তব্যও করেনি।
উল্লেখ্য, ২০ নম্বর কমলাপুর রুমী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯০৬ সালে স্থানীয় রুমী পরিবার নিজেদের জমিতে প্রতিষ্ঠা করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
কুষ্টিয়ার খোকসার একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথের তোরণ থেকে দুর্বৃত্তরা স্কুলটির নাম ফলক তুলে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপি একাংশ মনে করছে তোরণ থেকে “রুমী” শব্দটি তুলে ফেলার পেছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত হতে পারে।
জানা গেছে, গত রোববার সকালে কমলাপুর রুমী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকট প্রতিবেশী এক নারী দুর্বৃদের ভেঙ্গে ফেলা নাম ফলকের অংশটি বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরির কাছে হস্তান্তর করেন। প্রধান শিক্ষকের দাবি কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে প্রধান তোরণ থেকে “রুমী” শব্দটি ভেঙ্গে রেখে যেতে পারে। তিনি এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। বিএনপির স্থানীয় একাধিক নেতা মনে করেন, প্রায় শোয়াশো বছর আগের বিদ্যালয়টি বিএনপির মনোনিত সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমীর পূর্ব পুরুষদের প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ের নামের সাথে রুমী শব্দটি ছিলো। দুর্বৃত্তরা সেই রুমী শব্দটি তুলে ফেলেছে। এতে রুমী পরিবারটির সন্মানহানী করা হয়েছে। বিদ্যালয়টির নৈশ প্রহরী রনজু জানান, শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বিদ্যালয়টি বন্ধ ছিলো। রবিবার সকালে তিনি এসে পরীচ্ছন্নতার কাজ করছিলেন। এমন সময় এক নারী প্রতিবেশী তার কাছে নাম ফলকের ভাঙ্গা অংশটি পৌচ্ছে দিয়ে যান। তিনি সাথে সাথে বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানান।
বিদ্যালয়টির নিকট প্রতিবেশী বিথী খাতুন জানান, শনিবার বিকালে স্কুল আঙ্গিনা থেকে ছাগল নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় তিনি নাম ফলকের ভাঙ্গা অংশটি কুড়িয়ে পান। অংশটি নিজের কাছে সংরক্ষন করে। রোববার বিদ্যালয় খোলার সাথে সাথে তিনি ওই ষ্টিলের টুকরাটি নৈশ প্রহরীর কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রধান শিক্ষক আব্দুর সবুর জানান, রোববার সকালে তিনি বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা স্বাক্ষর করেন। এর পর প্রাথমিক বৃত্তি মডেল টেষ্ট পরীক্ষার ডিউটিতে মডেল স্কুল কেন্দ্রে যান। দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী রনজু তাকে ফোনে নামফলক ভাঙ্গার বিষয়ে অবহিত করেন। তিনি স্কুলে ফিরে এসে নাম ফলকের ভাঙ্গা অংশ দেখেন। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। তাদের পরামর্শে থানায় অভিযোগ দিতে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষা অফিসার নাহিদ আকবর বলেন, বিদ্যালয়ের নাম ফলক থেকে “রুমী” শব্দটি তুলে ফেলে রেখে গেছেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষককে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নাফিজ আহমদ রাজু বলেন, শতবর্ষী বিদ্যালয়টির প্রধান তোরণ থেকে রুমী শব্দটি মুছে ফেলার পেছনে আওয়ামীদের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমীর বাড়ির পাশের স্কুল থেকে তাদের পারিবারিক পদবি “রুমী” শব্দ তুলে ফেলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।
কমলাপুর রুমী পরিবারের সদস্য ও বিএনপির মনোনিত সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমীর সাথে কথা বলা হলে তিনি বিষয় সম্পর্কে শোনেনি বলে জানান। এ নিয়ে কোন মন্তব্যও করেনি।
উল্লেখ্য, ২০ নম্বর কমলাপুর রুমী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯০৬ সালে স্থানীয় রুমী পরিবার নিজেদের জমিতে প্রতিষ্ঠা করেন।